মুখোমুখি ১...
সকালে উঠে কাজের লোককে খবরের কাগজ লুকিয়ে রাখতে বলি
পত্রিকা: শশীজি (কপূর) কেমন আছেন? আমরা শুনেছি উনি খুবই অসুস্থ।
রণবীর: হ্যাঁ, উনি অনেক দিন ধরে ভুগছেন। কিন্তু আজও মানুষ হিসেবে দারুণ প্রাণবন্ত। জানেন, হুইল চেয়ারে চেপে হলে আমার ‘রকস্টার’ পর্যন্ত দেখতে গিয়েছিলেন। ছবি দেখার পর আমাকে বলেছিলেন, “বেটা তুমহারা কাম মুঝে বহত আচ্ছা লাগা।” যে মানুষটা ইন্ডাস্ট্রিকে এত কিছু দিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে এই ধরনের প্রশংসা আনবিলিভেবল। ঈশ্বরের কাছে শশী কপূরের সুস্থতা কামনা করি।

পত্রিকা: আপনার প্লেবয় ইমেজ অনেক দিন ধরেই। আগে দীপিকা পাড়ুকোন, তার পর ক্যাটরিনা কাইফ, মাঝখানে নার্গিস ফকরি। এই প্লেবয় ইমেজটা এমনই, শনিবার রাতে কার সঙ্গে পার্টি করছেন সেই হাঁড়ির খবরও মিডিয়া জেনে যায়। এ সব শুনে ঋষি কপূর-নীতু সিংহ কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করেন? সেটা ভেবে কখনও নার্ভাস হয়েছেন?
রণবীর: আরে কী বলছেন। আমি সাংঘাতিক ভয় পেয়ে যাই। কাগজে যে মুহূর্তে এই ধরনের খবর বেরোয় আমার মনে হয়, “ আরে, ইন লোগো কো মালুম ক্যায়সে পড়া!” বাড়ির কাজের লোকদের বলি কাগজগুলো লুকিয়ে রাখতে। ওরা আমায় বলে, “সাব, মেমসাব কো ক্যায়া বোলু?” তখন বলি, বলে দাও আজকের খবরের কাগজ আসেনি। যে সব দিনে কাগজে ওই সব খবর বেরোয়, আমার তো ওঁদের সঙ্গে ব্রেকফার্স্ট টেবিলে বসতেও ভয় করে। মনে মনে বলি ভগবান, ওঁরা যেন আজ কাগজ না পড়েন।

পত্রিকা: কপূর পরিবারের ছেলে হয়েও আপনি এত ছিপছিপে থাকলেন কী করে? কপূর পরিবার তো ব্ল্যাক লেবেল আর চিকেন তন্দুরির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার।
রণবীর: আমার ছিপছিপে, টানটান শরীরের সব কৃতিত্ব মায়ের। মা খুব কঠোর ভাবে আমার ডায়েট কনট্রোল করেন। সবচেয়ে বড় কথা, আমি মদ্যপান করতে ভালবাসি না। আর যেহেতু বয়স অল্প, বেসিক মেটাবলিজম রেটটাও খুব ভাল। তা ছাড়া ফুটবল খেলি রেগুলারলি। তবে হ্যাঁ, আমারও শরীরের ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। আমাদের কপূর পরিবারের লোকজনদের বয়স চল্লিশের কোঠায় এলেই মুটিয়ে যাওয়ার দিকে চলে যায়। আমার অবশ্য চল্লিশ আসতে অনেক দেরি!
পত্রিকা: ‘বরফি’ ছবিতে কাজ করার পর আপনার অভিনয় দক্ষতা, ‘লুক’, ‘স্টারডম’ সব কিছুই একটা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। তা হলে এ বার কি আমির, সলমন, শাহরুখের আপনাকে ভয় পাওয়া উচিত?
রণবীর: আমার মনে হয় না। সলমন খানজি, শাহরুখ খানজি, আমির খানজি এখনও এমন সব ছবিতে অভিনয় করছেন যা অনায়াসে ১০০ কোটির বক্স অফিস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। মনে হয় না, আমার ছবির সঙ্গে ওঁদের ছবির কোনও তুলনা হয়। তা ছাড়া ওঁরা কুড়ি বছরেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। আর স্টারডমের কথা যদি বলেন, দাদাজির কথা শুনেছি ঠাকুরমার মুখেরাশিয়াতে ‘আওয়ারা’র স্ক্রিনিংয়ের পর রাজ কপূর যে গাড়িতে বসেছিলেন সেই গাড়িটাকে জনতা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে কাঁধে তুলে নিয়ে হোটেলে পৌঁছে দিয়েছিল। একেই বলে স্টারডম। শুধু আমি কেন? আর কারও সঙ্গেই রাজ কপূরের স্টারডমের তুলনা হয় না।

পত্রিকা: দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে এক সময় লড়াই ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, যুবরাজ সিংহ, আর আপনার মধ্যে। যে ভাবে ধোনি আর যুবরাজকে আপনি পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন ওঁরা নিশ্চয়ই আজও আপনাকে খুব হিংসে করে?
রণবীর: (চোখ টিপে হেসে) বরং আমি বলব, ওঁদেরকে আমি বেশি হিংসে করি। কী বুঝলেন!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.