রাজ্যে মহিলাদের উপরে নির্যাতন যে ভাবে বাড়ছে, তাতে অধিকাংশ মানুষ মমতা-সরকারের উপর ক্ষুব্ধ বলে সিপিএম মনে করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ‘অসন্তোষ’কে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন।
সিপিএমের বর্ধিত রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক শনিবার শুরু হয়েছে। বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু যে প্রতিবেদন পেশ করেন তাতে তৃণমূল-জোট সরকারের কাজের এক বছরের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে যে ভাবে নারী নির্যাতন বেড়েছে, তাতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ। এরা অনেকেই গত নির্বাচনে বামেদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। প্রতিবেদন পেশ করে বৈঠকে বিমানবাবু অভিযোগ করেছেন, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। মানুষকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ করে আন্দোলনে নামার জন্য বিমানবাবু আহ্বান জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সুতরাং নারী-নির্যাতনের ঘটনাকে তুলে ধরে প্রচারে নামলে সিপিএম রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবে বলে আলিমুদ্দিন মনে করছে। এ দিনের বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তিনি বলেছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি ও কাজ নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, তা কাজে লাগাতে হবে। ব্যাপক প্রচার আন্দোলনে নামার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। কারাট ছাড়াও বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি এবং এস আর পিল্লাই উপস্থিত আছেন।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তরুণ ও মহিলা প্রার্থীর উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে সিপিএম। বিমানবাবু বলেছেন, প্রতিটি লোকাল ও শাখা কমিটিকে দ্রুত প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ‘সন্ত্রাস’ কবলিত বিভিন্ন জেলায় কী পরিস্থিতি, কত আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব ইত্যাদি নিয়ে জেলাগুলি থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল আলিমুদ্দিন। বৈঠকে বিমানবাবু বলেছেন, যে সব জায়গায় প্রার্থী দেওয়া সমস্যা বলে মনে হচ্ছে, সে সব জায়গায় অন্য কোনও ভাবে (নির্দল হিসাবে) লড়াই সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। |