ছাত্র আন্দোলনের নামে ফের তাণ্ডবের অভিযোগ। ঘটনাস্থল ফের নদিয়ার মাজদিয়া কলেজ।
কিছু দিন আগেই অধ্যক্ষ নিগ্রহের অভিযোগে মাজদিয়ায় সুধীরঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের তিন এসএফআই সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তেত্রিশ দিন জেল হাজতে থাকার পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। ওই ঘটনায় পুলিশের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নেমেছিল সিপিএম। রায়গঞ্জ কলেজে অশান্তির ঘটনায় টিএমসিপি সমর্থকেরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় ‘রায়গঞ্জে বেল, মাজদিয়ায় জেল’ স্লোগানও তোলা হয়।
শনিবার ফের কিছু এসএফআই সমর্থকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন কলেজের এক তৃণমূল সমর্থক অস্থায়ী শিক্ষকর্মী। পুলিশের কাছেও তা জানানো হয়। ঘটনাচক্রে, আগের বার যে তিন এসএফআই সমর্থককে জেল হাজতে থাকতে হয়েছিল, এ বারও অভিযুক্তের তালিকায় তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে। এ দিনই টিএমসিপি আবার অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল উল্টে, কাগজপত্র ছড়িয়ে ফেলে প্রায় আধ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। যদিও তারা তা অস্বীকার করে এসএফআইয়ের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। অধ্যক্ষ সরোজেন্দ্রনাথ কর অবশ্য পুলিশে কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেননি। এ নিয়ে কোনও মন্তব্যও করতে চাননি।
কলেজ সূত্রের খবর, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিয়ে এ দিন গণ্ডগোলের সূত্রপাত। টিএমসিপি-র অভিযোগ, এসএফআই সমর্থক বলে পরিচিত কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্র কলেজে আচমকা কলেজে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষকে জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। অস্থায়ী কর্মী দীপক হাজরার অভিযোগ, “ব্রতচারী প্রশিক্ষণের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছিলাম। এসএফআই সমর্থকেরা এসে টাকা দাবি করে। দিতে না চাওয়ায় আমায় মারধর করে।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থক হওয়ার কারণেই তিনি এসএফআইয়ের চক্ষুশূল হয়েছেন। তাঁর উপরে আক্রমণের ‘প্রতিবাদ’ জানাতেই টিএমসিপি সমর্থকেরা অধ্যক্ষের ঘরে গিয়েছিলেন। এসএফআই এবং টিএমসিপি অবশ্য পরস্পরের বিরুদ্ধে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।” |