মায়েদের অফ পিরিয়ড কখন?
মায়েদের দিনটা জেট প্লেনের গতিতে উড়ে যায়। সকালে টিফিন-ব্রেকফাস্ট আর পোগোকে রেডি করা। স্কুল বাস বেরিয়ে গেলেই অফিসের দৌড় শুরু। কখন যে সকাল গড়িয়ে বেলা পড়ে বিকেল হল, সে খবর ঠান্ডা ঘরে পৌঁছয় না! সন্ধেয় বিচ্ছুটাকে ক্যারাটে ক্লাস থেকে তুলে এনে, ডিনার বানাতে বানাতে, পড়া দেখাতে দেখাতেই দিন শেষ। গবেষণা বলছে, এই ভাবেই মেয়েরা নিজের সময়টুকু একেবারেই পান না। কিন্তু চাইলে এই সময়টুকু বার করাই যায়। সংসার-সন্তান সামলানোর ওই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের মুহূর্তগুলোও খুঁজে নিন।

এক ঢিলে দুই পাখি
মা হলে ছেলেমেয়ের চিন্তাই সবার আগে থাকে। তার মধ্যেই নিজের ভালমন্দ ভাবনাটাও গুঁজে দিন। সারা ক্ষণ সাঁতার ক্লাসের পাড়ে বসে না থেকে নিজে পাশের বড়দের পুলটাতে একটু ঝাঁপাঝাঁপি করে আসুন। তাতে মজা পাবেন, মন চাঙ্গা থাকবে, শরীরটাও স্লিম-ট্রিম রাখতে পারবেন। সনা বাথ বা জাকুজি’ও করিয়ে নিতে পারেন। ও যদি উইক-এন্ড-এ ক্রিকেট বা টেনিস শেখে, আপনি তখন পাশের বিউটি পার্লার থেকে স্পা, ফেশিয়াল, আরও অনেক কিছুই করিয়ে আসতে পারেন।
বাড়ির কাছে পার্ক থাকলে সেখানে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খুদেটাকে খেলতে দিন। তখন অন্য বাবা-মায়েদের সঙ্গেও আপনার দিব্যি ভাব হয়ে যাবে। কখনও কখনও বন্ধুর মায়ের দায়িত্বে ওদের রেখে পার্কের পাশের যোগ বা রান্না শেখার ক্লাসে ঢুকে পড়ুন। চিলড্রেন্স পার্কের বন্ধুরা মিলে বা স্কুলের অন্য বন্ধুদের সঙ্গে গেট টুগেদার করুন, বেড়াতে যান। সব বাচ্চারা যখন নিজের মনে খেলবে, তখন অনেকটা সময় নিজের মতো উপভোগ করতে পারবেন।
বাচ্চা সামলানোর বাইরে যেটুকু সময় পাবেন, পুরোটাই স্বামীকে দিয়ে দেবেন না। স্কুলকলেজের কোনও না কোনও বন্ধু ঠিক শহরে থাকবে। ফোন বা সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্বটা তাজা করে নিন। আবার স্টুডেন্ট লাইফের মতো একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান। বাচ্চার কিছু কেনাকাটি থাকলে বন্ধুরা মিলে এক সঙ্গে যান। তার পর আধ ঘণ্টার কফি-আড্ডা বা ঘণ্টাখানেকের ডিনার করে এলে, ক্ষতি কী?
সপ্তাহের কতটা সময় বাচ্চার দেখভাল করার জন্য বরাদ্দ করছেন, একটা রুটিনে আগে থেকে লিখে রাখুন। এ ভাবে সব কাজের সময় ভাগ করে রাখলে ঠিক অনেকটা অবসর সময় পেয়ে যাবেন। ওই সময়টা শুধু আপনার। সিনেমা দেখবেন, বই পড়বেন, কোনও দিন বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন। তার পর বাচ্চাকে দাদু বা পিসির বাড়ি রেখে একটা গোটা দিন বাইরে কোথাও ঘুরে আসবেন। ও সে দিন দারুণ আনন্দে কাটাবে, আর আপনি পোগোর মাম্মা নন ‘আমি’ হয়ে বাঁচবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.