টুকরো খবর
ঘরে ফিরছেন মনোরোগী তরুণী
সপরিবার অনুপ্রিয়া। ছবি: প্রদীপ আদক
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন কেশপুরের বাসিন্দা অনুপ্রিয়া দলুই। রাস্তা হারিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। সেই অবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রথমে ঠাঁই হয় পাভলভ মানসিক হাসপাতাল এবং পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। মাস দুয়েক আগে ন্যাশনালেই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন অনুপ্রিয়া। মানসিক ভাবে তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। হাসপাতালের তরফে বহু চেষ্টার পরে তাঁর বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারলেও আইনি জটের কারণে বাড়ি ফেরা হয়নি ওই তরুণীর। অবশেষে শুক্রবার আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরে স্বামী, কন্যা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন অনুপ্রিয়া। ন্যাশনালের সুপার পার্থ প্রধান জানান, মাস ছয়েকের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনুপ্রিয়া হাসপাতালে আসেন। তখনই থেকেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। প্রসবের পরে তাঁর স্মৃতি ফিরে আসে। তাঁর দেওয়া একটি ফোন নম্বরের সূত্র ধরে কেশপুরে শ্বশুরবাড়িতে অনুপ্রিয়ার স্বামী দুখিরাম দলুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। স্বামী তাঁকে নিতে কলকাতায় আসেন। পার্থবাবু বলেন, “আদালতের নির্দেশেই মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাই বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রেও আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন ছিল। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্য দফতরও এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছে।” ন্যাশনালে ডাক্তারদের একটি বোর্ড অনুপ্রিয়াকে পরীক্ষা করে সুস্থতার ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে আপাতত তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। মেয়েকে কোলে নিয়ে কলকাতা ছাড়ার আগে ওই তরুণী জানালেন, এই শহরই তাঁকে ফের নিজের সংসারে ফেরার সুযোগ করে দিল।

আসানসোলে ট্রমা সেন্টারের কাজ বন্ধ পড়ে
নির্মাণ সামগ্রীর মান খারাপ, এই অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ৭২ ঘন্টার উপর ধরে বন্ধ রয়েছে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার নির্মাণের কাজ। শুক্রবারেও নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা। পূর্ত দফতরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার মহম্মদ রাকিব জানান, শনিবার তাঁদের কাজে আবার বাধা দেওয়া হলে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। বুধবার আসানসোল পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শিবদাস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় বাসিন্দা আচমকা ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এর পর মহকুমাশাসক প্রতুল কুমার ভুঁইয়া পূর্ত দফতরকে নির্মাণ সামগ্রীর মান যাচাই করে রিপোর্ট দিতে বলেন। মহকুমাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমাশাসকের পরামর্শ মতো ওই ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ সামগ্রীর মান পরীক্ষা করে জেলাশাসকের কাছে একটি সন্তোষজনক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন পূর্ত দফতরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার মহম্মদ রাকিব। তিনি বলেন, “আমি নিজে নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা করেছি। সঠিক মানের সিমেন্ট, ইট, রড ও বালি দিয়েই নির্মাণ কাজটি হচ্ছে। জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। শনিবার মহকুমাপ্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা পড়বে।” তবে ৭২ ঘন্টার উপর কাজ বন্ধ থাকায় চিন্তিত পূর্ত দফতর। এ প্রসঙ্গে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, মহকুমাশাসকের কাছে রিপোর্ট এলে তা দেখে সন্তুষ্ট হওয়ার পরে তবেই কাজ করতে দেবেন তাঁরা।

অজানা জ্বরে মৃত্যু
ডুয়ার্সে মালবাজার ব্লকে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃ্ত্যু হয়েছে। মৃত কিশোরটির নাম রাকিব আলম (১১)। রাকিবের বাবা আবু হাসান জানান, গত ৭ দিন ধরেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাকিব জ্বরে ভুগছিল। মালবাজার মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাকে গত বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তার রক্তের ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া না গেলেও কী কারণে জ্বর তা জানা যায়নি। মালবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক রঞ্জন দাস বলেন, “মৃত্যুর সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রী ওই যুবকের নাম মোয়াজ্জম আলি। তাঁর বাড়ি ইটাহার থানার কাপাসিয়া এলাকায়। ওই যুবক দমদম এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সেখানেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই রক্তপরীক্ষা করার পর তাঁর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে জানতে পেরেছি ওই যুবক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।”

খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি ও ডিমসিদ্ধ খেয়ে ২৪ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার সকালে মালবাজার ব্লকের রাঙামাটি পঞ্চায়েতের নিউ মাল জংশন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। অসুস্থ রাঁধুনিও। বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনের মত খাবার খেয়ে শিশুরা বাড়ি ফেরে। ঘণ্টাখানেক পর থেকেই তারা অসুস্থ হতে শুরু করে। বমি ও পাতলা পায়খানা হতে থাকে। ১২ টার পর থেকেই এক দু’জন করে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা মালবাজার হাসপাতালে আসতে থাকেন। যে শিশুরা বাড়িতে অসুস্থবোধ করছিল প্রত্যেককেই হাসপাতালে আনা হয়। অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা চম্পা রসাইলি কেন্দ্রটির রাঁধুনির পদে কর্মরত। তিনিও খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন, “রান্না ঠিকই হয়েছিল। পোকাও পড়েনি। কী হল বুঝছি না।” তবে জল থেকে সমস্যা হতে পারে বলে অভিভাবকেরা মনে করছেন। মালবাজার ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক রঞ্জন দাস বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। শিশুদের চিকিৎসা করা হয়েছে।” মালবাজারের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক রণজিৎ দত্ত বলেন, “খিচুড়ির নমুনার পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”

চিহ্নিতকরণ শিবির
যে সব পড়ুয়ার ঠোঁটে বিকৃতি রয়েছে, নিখরচায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা সারিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সর্বশিক্ষা মিশন। এ জন্য বৃহষ্পতিবার ঝাড়গ্রামে চিহ্নিতকরণ শিবির হয়েছে। শুক্রবার সেই শিবির হল মেদিনীপুর শহরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। ১১৫ জন ছাত্রছাত্রীর সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সর্বশিক্ষা অভিযানের জেলা প্রকল্প আধিকারিক শাশ্বতী দাস জানিয়েছেন। এক বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে এই অস্ত্রোপচার করানো হবে।

পিছোল শুনানি
ঢাকুরিয়ার আমরি-কাণ্ডে শুনানি পিছিয়ে হবে ৩ অক্টোবর। তার মধ্যে থাকছে অভিযুক্ত রাধেশ্যাম অগ্রবালের তরফে আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন ও মামলার নথির কিছু প্রতিলিপি না পাওয়া। এই মামলায় জামিনে মুক্ত ১৬ জন অভিযুক্ত শুক্রবার আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ম মাফিক হাজিরা দেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক পুকর প্রধান অভিযুক্তদের ফের ৩ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.