|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
স্মৃতির ইতিহাসে উপেক্ষিত |
বইপোকা |
‘প্রকৃতপক্ষে অসিত সেনের পুরো জীবনটাই জুড়ে রয়েছে বাংলা ও হিন্দি সিনেমার এক অলিখিত ইতিহাস।’ জানাইতেছে চিত্রপরিচালক অসিত সেনের স্মৃতির সোনালি রেখা-র (দে’জ পাবলিশিং, অনুলেখন ভূমিকা: নির্মল ধর) ব্লার্ব। প্রায় ছয় দশক পূর্বে ‘চলাচল’ এবং ক্রমে ‘পঞ্চতপা’, ‘জীবনতৃষ্ণা’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’ কিংবা ‘উত্তর ফাল্গুনী’র ন্যায় চলচ্চিত্র যাঁহার পরিচালিত তাঁহার নামের পূর্বে চিত্রপরিচালক শব্দটি বলিয়া দিতে হইতেছে, ইহা দুর্ভাগ্যের কথা। প্রায় আড়ালে থাকা উপেক্ষিত এই পরিচালকের স্মৃতিকথা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছে, ইহা বড়ই আনন্দের খবর। কিন্তু আত্মজীবনীকে ‘অলিখিত ইতিহাস’-এর উপাদান করিয়া তুলিতে হইলে যে সম্পাদনার প্রয়োজন তাহা এই গ্রন্থে নাই। বস্তুত নির্মল ধর অনুলিখিত এই গ্রন্থের কোনও সম্পাদকই নাই। ফলে গ্রন্থে উল্লিখিত ব্যক্তিগণের একলাইন পরিচিতিও কেহ করিয়া দেন নাই। অথচ তাহার মধ্যেও ছিল বাংলা ও হিন্দি সিনেমার অলিখিত ইতিহাস। কেবল পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী লইয়াই ত সিনেমার ইতিহাস হয় না, ইতিহাসে উপেক্ষিত ক্যামেরাম্যান, শব্দযন্ত্রী, সম্পাদক, প্রযোজক সেই ইতিহাসের অন্যতম চরিত্র। অসিত সেনের কথনেও বারংবার আসিয়াছে তাঁহাদের কথা। কিঞ্চিৎ উদ্ধার করি: ‘বোম্বাই গিয়ে প্রথম যোগাযোগ করলাম ক্যামেরাম্যান কমল বসু-র সঙ্গে। আমাদের প্রিয় কমলদা।’ কিন্তু কে এই কমল বসু, কী তাঁহার কীর্তি? কোন কোন উল্লেখযোগ্য ছবির কাজ তাঁহার? সম্পাদনার দায়িত্ব ছিল তাহা বলা। কাজটি কঠিন। কিন্তু সূচনাটি করা প্রয়োজন, অন্তত ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই শতবর্ষে। |
|
|
|
|
|