রেণু সরকার খুনের মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার এক সাক্ষীকে বিরূপ ঘোষণা করলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এ দিন ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে শনাক্ত করেন সাক্ষী। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “বোলপুরের সুঁড়িপাড়ার বাসিন্দা গৌতম বাগদি আগে পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছিলেন, এ দিন অন্য কথা বলেন। তাই তাঁকে ‘বিরূপ সাক্ষী’ ঘোষণা করেছি। আর এক সাক্ষী এনভিএফ কর্মী হাসিবউদ্দিন অনুপস্থিত ছিলেন।” গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন রেণুদেবী। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার এবং দুই দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে ধরে। আজ, শুক্রবার এই ঘটনায় এক সাংবাদিক মুনতাজ রহমান এবং বোলপুরের বাসিন্দা সন্ন্যাসী থান্দার সাক্ষ্য দেবেন।
|
গোপন সূত্রে খবর নলহাটি থানার বারা গ্রাম থেকে বুধবার সন্ধায় একটি লরি ভর্তি গম আঠক করলেন নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও গঙ্গাধর দাস। বিডিও বলেন, “সিউড়িতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে থাকাকালীন এলাকা থেকে খবর আসে বেআইন একটি গমভর্তি লরি লোহাপুর বাজারের বাসিন্দারা আটক করেছেন। পুলিশের সহযোগিতায় লরিটি আটক করা হয়। কারণ, লরিতে যে গম ছিল তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। সে জন্য চালক ও খালাসিকে আটক করা হয়।” বৃহস্পতিবার গমভর্তি লরিটিতে ব্লক অফিসে নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরে। সকালে এলাকায় যান খাদ্য সরবরাহ দফতরের রামপুরহাট মহকুমা বিভাগের দুই আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। দুপুরে এলাকার একটি বেসরকারি গমের গুদাম সিল করা হয়েছে। নলহাটি ২ ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দফতরের পরিদর্শক অশোক রায় বলেন, “তদন্ত চলছে। গমগুলি খাদ্য সরবরাহ দফতরের কি না সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
নিজের বিধানসভা এলাকায় বিকল ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা, রাস্তার উন্নয়ন, এলাকার কিছু সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মুরারই স্টেশনে নামতে পাঁচ যুবক তাঁকে ঘিরে ধরেন। পরে রেলগেটের কাছে মন্ত্রী গাড়িতে উঠতে গেলে শ’খানেক বাসিন্দা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তার পরে এলাকার নানা সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে মিনিট কুড়ির পরে তিনি ঘেরাও মুক্ত হন। চেষ্টা করেও মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্য দিকে, ট্রান্সফর্মারের দাবিতে বুধবার রাতে মুরারইয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রে তালা দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১৯ জন কর্মী ঢুকতে পারেননি। ফলে কাজ ব্যাহত হয়। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট মহকুমা বিভাগীয় আধিকারিক নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “ওই ট্রান্সফর্মার বদল করে দেওয়া হবে।”
|
বধূকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামী ও জা-এর যানজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন সিউড়ির চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থসারথি সেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ২ অগস্ট সন্ধ্যার ঘটনা। সাঁইথিয়ার আমোদপুরের ছোটলাইন পাড়ের বাসিন্দা বধূ সুমিত্রা সাহানিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী যোগেশ্বর সাহানি ও জা তারি সাহানির বিরুদ্ধে। চার দিন পরে সুমিত্রাদেবীর মৃত্যু হয়। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ সহিদুল আলম বলেন, “বুধবার বিচারক দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার দু’জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়।”
|
দু’টি ক্লাবের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় ধৃত রাজু চক্রবর্তী ও বাপি দাসকে বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। বুধবার সাঁইথিয়ার হাটতলা এলাকায় দু’টি ক্লাবের মধ্যে বোমাবাজি হয়েছিল। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিশ।” |