প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী |
আজ নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের জেলা সফর শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের স্টেডিয়ামের মাঠে জনসভা করেন তিনি। বৈঠক চলাকালীন প্রশাসনিক কাজে বিলম্বের কারণে যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই বৈঠকে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক সরকারি আধিকারিকেরা। প্রকল্প রূপায়ণে বিলম্ব নিয়ে আধিকারিকদের প্রশ্ন করার পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াবার পরামর্শও দেন তিনি। জনসভায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেন, যার মধ্যে—
• কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামের নাম বদলে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নামে অ্যাকাডেমি ও তাঁর জন্মভিটে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
• জেলায় ১০৮টি পানীয় জলের প্রকল্প করা হবে।
• খোলা হবে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।
• কল্যাণীতে আইআইটি খোলা হবে।
• বেতাই-এ আম্বেদকরের নামে কলেজ তৈরি করা হবে।
• ১৮ হাজার পঞ্চায়েত স্কুলকে শিক্ষা দফতরের আওতায় আনা হবে, নিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার জন শিক্ষককে।
• শিক্ষকদের ১ তারিখের মধ্যে মাইনে চালু করার নির্দেশ দেন।
• চলতি বছরে ১৮টি প্রাথমিক স্কুল চালু করার পরিকল্পনা।
• ১৯২টি প্রাথমিক স্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে, ২৫টি মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকের স্তরে উন্নীত করা হবে।
• ৪৬ জন ছাত্রকে উচ্চশিক্ষার জন্য মোট ১২ লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
• কয়েকটি নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা।
• প্রতি ব্লকে কিষাণ বাজার ও হিমঘর বানানো হবে।
|
কৃষ্ণনগরে জনসভা শেষ করে বহরমপুরে বারাক স্কোয়ার ময়দানে জনসভায় একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচী নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
• ভগবানগোলায় পিটিটিআই স্কুল ২টি হোস্টেল-সহ কলেজের সূচনা করা হবে।
• জেলায় ১২১টি পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য মোট ৭০০কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। আজ এর মধ্যে ১৭টি আর্সেনিকমুক্ত ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
• সংখ্যালঘু উন্নয়নে বরাদ্দ করা হবে ১২৭কোটি টাকা।
• সাগরদিঘি, জঙ্গিপুর ও ডোমকলে তিনটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল খোলা হবে।
• ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক চালু করার পরিকল্পনা।
• বহরমপুরে আইটিআই ক্যাম্পাসে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণ করা হবে।
• ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা। ৫৭৯৪ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী।
|
আজ গোধরা পরবর্তী হিংসা মামলার রায় দিল আমদাবাদের বিশেষ আদালত। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই হিংসার কারণে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। আজ নারোদা পাটিয়া হিংসা কাণ্ডের রায়ে ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। মুক্তি দেওয়া হল অভিযুক্ত ২৭ জনকে। আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা বাবু বজরঙ্গি ও গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানি।
|
পুলিশ সার্জেন্টকে নিগ্রহ বাইক আরোহীর |
কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুবনেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে আলিপুর রোডে। হেলমেটবিহীন অবস্থায় বাইক চালককে ধরেন অনুজ চাকলাদার নামে ওই সার্জেন্ট। এরপর উভয়পক্ষে বচসা শুরু হয়। বাইক আরোহী নিজেকে তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সার্জেন্ট। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
‘বউ বিক্রি’ করতে গিয়ে ধৃত ‘স্বামী’ |
আজ মহাকরণের সামনে বউ বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ল স্বামী। মেদিনীপুর থেকে ওই আদিবাসী মহিলাকে আনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশি তত্পরতায় হাতেনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে নারী পাচারচক্রের যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত কাসভের ফাঁসির সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ৬ মে ২০১০ মুম্বই হামলায় ধৃত পাকিস্তানি জঙ্গি ২৫ বছরের আজমল কাসভের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বই আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়ে মামলা করে কাসভ। আজ সেই মামলার রায়ে তার আর্জি খারিজ করে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম। অন্যদিকে কাসভের আরও বড় সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি।
|
বিদ্যুত্ বিভ্রাটের সম্ভাবনা |
কয়লার জোগানের অভাবে আজ বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে বিদ্যুত্ বিভ্রাটের সম্ভাবনা রয়েছে। মেজিয়ার তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে ১,২ ও ৮ ইউনিট। এ ছাড়া পাইপ লিকেজের কারণে বন্ধ রয়েছে ৪ নং ইউনিট। ফলে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতির জেরে ভারতের ইস্টার্ণ গ্রিডের বিদ্যুত্ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে রেল ও ইসিএল-এও। তবে ত্রুটি সারিয়ে আজ রাতের মধ্যেই একটি ইউনিট চালু করা যেতে পারে বলে মনে করছেন মেজিয়া তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের আধিকারিকরা। |