টুকরো খবর
বধূ ও প্রণয়ীর ‘বিচার’, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিচারে বসে বধূ ও প্রণয়ী যুবককে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানোর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত উত্তম মণ্ডল চন্দ্রকোনা ১ ব্লকে তৃণমূলের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল সভাপতি। মঙ্গলবার দুপুরে চন্দ্রকোনারই কৃষ্ণপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চন্দ্রকোনা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” অভিযোগ, সোমবার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মৌলা গ্রামে রীতিমতো সালিশি সভা বসিয়ে ওই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ‘বিচার’ করছিলেন উত্তমবাবু ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা। প্রণয়ী যুবকটিকে মারধর করা হয়। তারপর ওই বধূ ও যুবকটিকে জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। যুবকটির পরিজনের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। উত্তমবাবু দলের চন্দ্রকোনা-১ ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “অভিযোগ সত্য হলে অভিযুক্তকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। দলীয় ভাবেও তদন্ত হচ্ছে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এ দিকে, সোমবার ঘটনার পর থেকেই মৌলা গ্রামের অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সোমবার রাতেই ওই গ্রামে তল্লাশিতে গিয়েছিল পুলিশ। তারপর থেকে মূলত ধরপাকড়ের ভয়েই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ বাড়ি ছেড়েছেন। সোমবারই ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী গ্রামে পাঠিয়েছিলেন যুগ্ম বিডিও অমিত গায়েনকে। পুলিশকেও কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসক বলেন, “কেউ অন্যায় করলে প্রশাসন আছে। কিন্তু কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না।”

সমর্থন তুলে নিল তৃণমূল
সদ্য গণ্ডগোলের জেরে দাঁতন ১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের ঠেকাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেধে ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল দাঁতন সিপিএম (ডিসিপিএম)। প্রধান ও উপপ্রধানদু’টি পদই ডিসিপিএমের দখলে। পরে ক্রমশই দু’টি দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। রবিবার সন্ধ্যায় মারামারিও হয় দু’টি দলের মধ্যে। তারই জেরে তৃণমূলের একাংশ দলীয় নেতৃত্বের কাছে দাঁতন ১ পঞ্চায়েত থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের দাবি জানান। এই নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে বৈঠক হয়। এরপরেই পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য মিলন কর ও গীতা রায় দাঁতন ১ ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান। তৃণমূলের দাঁতন ১ ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “ওরা আমাদের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত চালাবে, আবার আমাদেরই সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করবেএমনটা মানা যায় না। আমরা অনাস্থা আনিনি। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি শুধু।” ৯ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে চার জন ডিসিপিএমের, দু’জন তৃণমূলের, দু’জন সিপিএমের ও এক জন সিপিআইয়ের। বিডিও জ্যোতি ঘোষ বলেন, “অনাস্থা আনতে গেলে অন্তত তিন জন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দু’জন সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। সব কিছু খতিয়ে দেখার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” ডিসিপিএম নেতা অলোক নন্দীর বক্তব্য, “অন্যায় দেখে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও করতে হচ্ছে। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবে নিক।”

তৃণমূলকর্মী ‘খুনে’ গ্রেফতার তৃণমূলকর্মী
তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকেই গ্রেফতার করল চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। ধৃত আনন্দ মণ্ডল অসুস্থ থাকায় মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রতন পাখিরার দাদা বাবলু পাখিরার অভিযোগের ভিত্তিতেই আনন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা শুরু হয়েছে। সোমবারই কোমরে যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন আনন্দ। মঙ্গলবার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে ‘রেফার’ করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশি নজরদারিতে সেখানেই চিকিৎসা চলছে এই তৃণমূল কর্মীর। রবিবার রাতে চন্দ্রকোনার রামপুরের বাসিন্দা পেশায় বাসকর্মী রতন ওরফে হাবল পাখিরাকে আনন্দ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। আনন্দরও বাড়ি রামপুরেই। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি রতন। সোমবার সকালে রামপুর সংলগ্ন পলাশচাবড়ি গ্রামে পাকা সেতুর নীচে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। সোমবারই মৃতের দাদা বাবলু মণ্ডল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ‘রবিবার রাতে ভাইকে আনন্দ মণ্ডল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আমাদের সন্দেহ, ভাইকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরই আনন্দকে ধরে পুলিশ।

সমবায়ের মনোনয়ন তোলা ঘিরে অশান্তি
কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহতে। মূলত, তৃণমূলের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধীপক্ষের সংঘর্ষ হয়। প্রহৃত হন ঝাড়খন্ড অনুশীলন পার্টির নেতা অসিত খাটুয়া। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠী অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বুদ্ধ বেরা বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেউ কেউ অশান্তি করতে এসেছিল। স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।” মণিদহের কৃষি সমবায় সমিতি দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের দখলে। এ বার এই সমিতির দখল পেতে ‘তৎপর’ হয়েছে তৃণমূল। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চেয়ে এ দিন কয়েকজন মনোনয়নপত্র তুলতে আসেন। অপর গোষ্ঠী তুলতে বাধা দেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিষ্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির মদনমোহন ঘোষ বলেন, “এআরও’র (অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার) কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

বিক্ষোভ-মিছিল
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, জেলায় প্রস্তাবিত শিল্পগুলির রূপায়ণ, নতুন শিল্প স্থাপন, সংগঠিত ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা মজুরি নিশ্চিত করা-সহ নানা দাবিতে মঙ্গলবার জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন কালেক্টরেট মোড়ে বিক্ষোভ সভা করল সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি। তার আগে বিদ্যাসাগর হল চত্বর থেকে শুরু হয় মিছিল। ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রদীপ মৈত্র-সহ জেলা নেতৃত্ব। সংগঠনের অভিযোগ, জেলায় এখন নতুন শিল্পস্থাপন দূর, প্রস্তাবিত শিল্পেরও কোনও অগ্রগতি নেই। একের পর এক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। চালু কারখানাগুলিতেও শ্রম-আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কৃষকেরাও ফাঁপড়ে পড়েছেন। ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পরে জেলাশাসককের কাছে স্মারকলিপিও দেন এআইটিইউসি নেতৃত্ব।

চোর সন্দেহে পিটুনি
চোর সন্দেহে এক যুবককে মারধর করল উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সামনে। স্থানীয়দের দাবি, সাইকেল চুরি করতে গিয়ে ওই যুবক হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরপরই উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। ছোটন রায় নামের ওই যুবকের বাড়ি মেদিনীপুরের বাস ব্রীজ সংলগ্ন মোহনপুরে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে রাজু সাউ নামে এক ব্যক্তি তাঁর সাইকেল রেখে কলেজ মাঠের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ছোটন তখনই ওই সাইকেলটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়রাই তাকে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে।

বিদায় সংবর্ধনা
মঙ্গলবার রেল শাখার প্রশাসনিক কমান্ডার বিক্রমাদিত্য সোয়াইনকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হল। খড়্গপুরের সাউথ সাইডে সেন্ট জন অ্যাম্বুল্যান্সের খড়্গপুর শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিয়কৃষ্ণ পট্টনায়ক, ইন্দ্রনীল কুলাভী প্রমুখ। সোমবার ওই একই সংগঠনর পক্ষ থেকে খড়্গপুর মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা জানান হয়। মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শতদল বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত গুপ্ত প্রমুখ।

স্কুলে ফুটবল
গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের উদ্যোগে স্কুলে ৩০ জন ছাত্রীকে নিয়ে তৈরি হল ফুটবল দল। মঙ্গলবার এই ছাত্রীদের নিয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়। খেলা দেখে মুগ্ধ স্কুলের শিক্ষকেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রলয় বিশ্বাস বলেন, “জঙ্গলমহলে বর্তমানে বিভিন্ন যে ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে তাতে যোগদান করাই লক্ষ্য। পরবর্তীকালে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করা যায় তাহলে তাদের উন্নতির জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে চিন্তাভাবনা করা হবে।”

স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস
মঙ্গলবার খড়্গপুর শহরের তেলেগু বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় সভাগৃহে আয়োজিত হল বিদ্যালয়ের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে মঙ্গলা, কাউন্সিলার অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টরা। ১৯৪৪ সালে রাম দাস এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই দিনে প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করা হয়।

ফুটবল টুর্নামেন্ট
সম্প্রতি তালবাগিচা হাইস্কুল মাঠে শেষ হল দু’দিন ব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট। নেতাজি ব্যায়ামাগার আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি দল যোগদান করে। ফাইনালে ডিভিসি-র ভবতারা কালীমন্দির দল, চিত্তরঞ্জন স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন খেলার শেষে আয়োজিত হয় পুরস্কার বিতরণ সভা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর জয়া পাল-সহ বিশিষ্টজনেরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.