টুকরো খবর
সন্দেশখালিতে নদীবাঁধে ধস, আতঙ্কিত গ্রামবাসী
রায়মঙ্গল নদীর বাড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি-২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম আতাপুর গ্রামের কাছে প্রায় দু’শো ফুট এলাকায় নদীবাঁধ ধসে গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, অবিলম্বে বাঁধ মেরামতি জরুরি। না হলে ধসে যাওয়া বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকলে কোড়াকাটি এবং মনিপুর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম ভেসে যাবে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দেওয়া হলেও গ্রামবাসীদের আতঙ্ক কাটেনি। ব্লক প্রসাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম আতাপুর গ্রামের কাছে এমনিতেই রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের অবস্থা শোচনীয় ছিল। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ জলের চাপে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে বাঁধে ধস নামে। ভয়ে বাঁধের আশপাশের বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুনীল পড়ুয়া বলেন, “নদীবাঁধের অবস্থা যে ভাল নয়, তা অনেক আগেই বিডিওকে জানানো হয়েছিল। বাঁধ সারানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ না হওয়ায় বাঁধ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ায় এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এখন দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে।”

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অবরোধ
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মোটর সাইকেল আরোহীর। পুলিশ জানয়েছে, মসলন্দপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম কার্তিক দাস (৩৬)। বৃহস্পতিবার রাতে বসিররহাট মহকুমার বাদুড়িয়ায় চণ্ডীপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনার পরে রাস্তা মেরামতি ও লরির চালককে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ গিয়ে রাস্তার মেরামতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানোর প্রতশ্রুতি দিলে এবং লরিচালককে গ্রেফতার ও গাড়িটি আটক করার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কাজ থেকে মোটর সাইকলে বাড়ি ফিরছিলেন কার্তিকবাবু। সেই সময় চণ্ডীপুরের কাছে একটি লরির গায়ে থাকা হুকে তাঁর মোটর সাইকেলের হ্যান্ডেল আটকে যায়। এতে ভয় পেয়ে লরিরি চালক গাড়ি না থামিয়ে আরও গতি বাড়িয়ে দেন। ওই অবস্থাতেই প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে লরি টেনে যায় কার্তিকবাবুকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এর পর জনতা লরিটি আটক করে চালককে আটকে রাখে। রাস্তা মেরামতির দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাঁদের দাবি, পিচ-পাথর উঠে গিয়ে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের হুঁশ নেই। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বজ্রাঘাতে মৃত ২ কাকদ্বীপে
বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই মৎস্যজীবীর। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটমাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নয়াচরের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম তপন পট্টনায়ক (২৬) ও শেখ রবি (২৫)। তাঁদের বাড়ি কাকদ্বীপের ৮ নম্বর কালীনগর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তপন, শেক রবি-সহ ৭-৮ জন মৎস্যজীবীর একটি দল একটি ছোটো ট্রলারে মুড়িগঙ্গায় মাছ ধরতে যায়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রলারে আচমকা বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান তপন ও শেখ রবি। জখন হন কয়েকজন। শুক্রবার ভোরে লট-৮ ঘাটে মৃতদের নিয়ে ফিরে আসেন সঙ্গীরা। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজের দেহ উদ্ধার
তিনদিন ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হল বিদ্যাধরী নদীতে। পুলিশ জানিয়েছে, বসিরহাট থানার শ্রীপলকাটি গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের নাম ইউসুফ মণ্ডল (৬১)। দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অগস্ট সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ির সামনে বিদ্যাধরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে যান তিনি। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চণ্ডীতলা গ্রামের কাছে একটি দেহ ভাসতে দেখেন লোকজন। খবর পেয়ে ইউসুফ মণ্ডলের চেলেরা গিয়ে বার দেহ শনাক্ত করেন।

থানায় বিক্ষোভ
মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ দলীয় কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করছে এই অভিযোগে, শুক্রবার বসিরহাট হকুমায় বিভিন্ন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মুজিবর রহমান বলেন, “পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করছে। তৃণমূলের কথায় পুলিশ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের হেনস্থা করছে।” পুলিশ সঠিক ভূমিকা পালন না করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।’’

তরুণীর অপমৃত্যু
হালিশহরের নবনগরে নিজের ঘরেই নিবেদিতা পাল নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.