মঙ্গল নিয়ে হাজারো কৌতূহলের নিরসন করতেই তার মঙ্গলযাত্রা। কিন্তু নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটির ক্যামেরায় তোলা একটি ছবি বরং উস্কে দিয়েছে কৌতূহল। ছবিটি কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা, কিউরিওসিটির ক্যামেরায় নাকি ধরা পড়েছে ‘উড়ন্ত চাকি’। ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ইউএফও নামেই যা বেশি পরিচিত!
কী রয়েছে সেই ছবিতে? ভালো করে লক্ষ করলে ছবিতে মঙ্গলের দিগন্তরেখার কাছাকাছি সাদা আলোর মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া, রয়েছে চারটি উজ্জ্বল বিন্দু।
মঙ্গল থেকে যে সব ছবি পাঠাচ্ছে কিউরিওসিটি, নাসার ওয়েবসাইট খুললেই তা দেখতে পাচ্ছেন যে কেউ। সেই ছবি থেকেই বিষয়টা প্রথম নজরে পড়ে এক ইউএফও সন্ধানীর। ইউটিউবে সেই ব্যক্তির নাম ‘স্টিফেন হানার্ড এডিজিইউকে।’ তাঁর কথায়, “চারটে বিন্দু আসলে কী, আসল ছবি থেকে তা বোঝা মুশকিল। তাই আমি কয়েকটা ফিল্টার ব্যবহার করে ওগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।” এর পরই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “ওগুলো আসলে কী? ইউএফও, ধূলিকণা, নাকি অন্য কিছু? আপনারাই ভাবুন!” |
সেই শুরু। তখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছেন ইউএফও সন্ধানীরা। তাঁদের দাবি, ওগুলো আসলে মঙ্গল গ্রহের ‘অধিবাসী’দের ‘নজরদার জাহাজ।’ তাদের দুনিয়ায় মানুষের ‘হাঁটাচলা’র উপরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তারা!
বিপরীত মতেরও অভাব নেই। ফোটোগ্রাফি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওসব কিচ্ছু নয়। বিন্দুর মতো যা দেখা যাচ্ছে, সেগুলো আসলে ছবির উপরে কয়েকটা দাগ মাত্র। ছবি তোলার সময় লেন্সে ধুলো ঢুকে ওগুলো তৈরি হয়ে থাকতে পারে। মার্কিন সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পে ভিডিও অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন মার্ক দান্তোনিও। ইউএফও-তত্ত্ব মানতে নারাজ তিনিও। তার দাবি, ছবি তোলার সময় ওই অংশগুলো জ্বলে গিয়েছে। সেই জন্যই ওরকম দেখাচ্ছে। গোটা বিষয়টায় অবশ্য এখনও কোনও মন্তব্য করেনি নাসা।
এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলের বুকে প্রথম বার সফল ভাবে হাঁটল কিউরিওসিটি। নিজের অবতরণের জায়গা থেকে এই মুহূর্তে ৬ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে সে। এই ছ’মিটারের যাত্রা সম্পূর্ণ করতে তার সময় লেগেছে দশ মিনিট। তার পর পাঁচ মিনিট ধরে নিজের প্রথম পদচিহ্নের ছবি তুলেছে সে। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার পিট থিসিঙ্গারের মন্তব্য, “মঙ্গলে হেঁটেচলে বেড়াবে বলেই ওর নাম রোভার। তাই যতক্ষণ সেটা না হচ্ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাপারটার কোনও অর্থ ছিল না।”
কিউরিওসিটি সংক্রান্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আজ নাসার তরফে করা হয়েছে। যে জায়গায় অবতরণ করেছিল কিউরিওসিটি, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্র্যাডবারি ল্যান্ডিং।’ মঙ্গল নিয়ে অসংখ্য কল্পবিজ্ঞান কাহিনির লেখক রে ব্র্যাডবারিকে সম্মান জানাতেই এই পদক্ষেপ। নাসার ‘মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম’-এর অন্যতম বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার বলেন, “ওঁর বই আমাদের মঙ্গল নিয়ে ভাবনার অনুপ্রেরণা। এর মাধ্যমে ওঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে নাসা।”
|
ব্ল্যাকবেরিতে হ্যাকার-হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হ্যাকারের খপ্পরে ব্ল্যাকবেরি। ই-মেল বার্তার মাধ্যমে ভাইরাস আক্রমণের বিষয়টি নজরে এসেছে নিরাপত্তা সংস্থা ওয়েবসেন্স থ্রেটসিকার নেটওয়ার্ক-এর। তারা জানিয়েছে, ভাইরাস ছড়াতে ‘ব্ল্যাকবেরি আইডি’ শীর্ষক একটি জাল ই-মেল পাঠানো হচ্ছে ব্ল্যাকবেরির গ্রাহকদের। সেখানে বলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের জন্য ‘ব্ল্যাকবেরি আইডি’ তৈরি করা হয়েছে। তার সুবিধা পেতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট বার্তায় যুক্ত ফাইল-টি খুলতে হবে। গ্রাহক তা করলেই তাঁর ব্ল্যাকবেরি ফোনটি ভাইরাসের কবলে পড়বে। |