|
|
|
|
কৃষিপণ্য |
পরিকাঠামোয় ‘পরিবর্তন’ চাই, ফের সওয়াল বুদ্ধের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কৃষিপণ্য বাজারজাত হওয়ার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করেও বুদ্ধবাবুর বক্তব্য, “গ্রামে সব্জি উৎপাদনের পরে যে ভাবে বাজারে বিক্রি ব্যবস্থা হয়, তা পুরনো। মান্ধাতা আমলের এই ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই ব্যবস্থা সংস্কারের কথাই বলেছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু তাঁর নিজের দলেরই কৃষক নেতাদের একাংশ এর তীব্র বিরোধিতা করেন। এমনকী, বাম আমলে যাদের হাতে কৃষি দফতর ছিল, সেই বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও এর বিরোধিতা করেছিল। শেষ পর্যন্ত শহরে একটি জার্মান সংস্থা কিছু কৃষিপণ্যের পাইকারি বিক্রির অনুমতি পায়। তবে রিল্যায়ান্স-সহ কিছু দেশি সংস্থার বিপণি খুলেছিল বাম আমলেই।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও সিপিএমের ‘বাস্তববাদী’ পলিটব্যুরোর সদস্য বুদ্ধবাবু যে তাঁর অবস্থান বদলাননি, বুধবার হাওড়ায় এক দলীয় আলোচনা সভায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ‘সময়াময়িক বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারত’ শীর্ষক আলোচনায় বুদ্ধবাবু বলেন, “পুরনো ব্যবস্থায় গ্রাম থেকে ঠেলাগাড়ি, ভ্যান রিক্সায় শহরে সব্জি আসে। এই ভাবে মাঝপথে অনেক সব্জি নষ্ট হয়। মাঝখানে ফড়েরা কিছু লাভ করে। এই পদ্ধতি পরিবর্তনের দরকার।” এখন বাজারে সব্জির দাম বৃদ্ধি নিয়ে ফড়েদের ভূমিকাকেও তিনি কটাক্ষ করেন। বুদ্ধবাবুর স্পষ্ট কথা, কৃষিপণ্য বাজারজাত করার পরিকাঠামো আরও আধুনিক করতে হবে। তবে খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির যে তাঁরা বিরোধী, তা ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন বুদ্ধবাবু। আজ তিনি বলেন, “আমাদের দেশে ৩০-৪০ কোটি মধ্যবিত্ত। তারা নিয়মিত বাজারে গিয়ে সব্জি-মাছ কেনেন। তাঁদের বাজার ধরার জন্য ওয়ালমার্টের জিভ দিয়ে জল বেরোচ্ছে! আমরা এর বিরোধী।” বস্তুত, সিপিএমের এই অবস্থানের সঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বক্তব্যের কোনও বিরোধিতা নেই। বুদ্ধবাবু বলেন, “সব সব্জি যদি দু-একটা বড় কাম্পানি কিনে নিলে চাষিরা ঠিকমতো দাম পাবে কি না, কে জানে!”
|
প্রণবকে সংবর্ধনা দেবে রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কে বলবে, কার্যত তাঁদের কথা বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মাস! এক জনের পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আর এক জন বলেছিলেন, মন থেকে কোনও সায় পেলাম না। সেই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ সারলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইলিশ আর পোনা মাছ দিয়ে ভূরিভোজ করলেন। ঘুরে ঘুরে দেখলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের বিভিন্ন ঘরও। আগামী মাসের ১৪ তারিখ কলকাতা আসছেন নতুন রাষ্ট্রপতি। থাকবেন তিন দিন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ তারিখেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। |
|
|
|
|
|