মহাকরণ থেকে এ বার সেই ইঁদুরদের তাড়াতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার।
বেশ কিছু দিন ধরেই উপদ্রব চলছে। সুযোগ পেলেই একদল ইঁদুর খুবলে দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দফতরের কম্পিউটারের কি-বোর্ড। কখনও আবার কেটে দিচ্ছে কম্পিউটারের তারও। মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কেটে-কুটে দফারফা করে দিতেও কোনও ক্লান্তি নেই তাদের। |
রাজ্যের এই প্রধান প্রশাসনিক ভবনে এমন নানা উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন দফতরের কর্মী থেকে সচিব। এর সঙ্গে তো রয়েছেই ছোট-বড় আরশোলা, উই-সহ নানা ধরনের পোকা-মাকড়ের উপদ্রব। অথচ, নানা চেষ্টা করেও তাড়ানো যাচ্ছে না এই ‘দুষ্টু’ ইঁদুরের দলকে।
এ সমস্যার মোকাবিলা করতে তাই এ বার ডাকা হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউসিং কর্পোরেশন’কে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থাটি কৃষিজাত শস্য, শিল্পপণ্য নিজেদের গুদামে সংরক্ষিত করে রাখার কাজ করার পাশাপাশি ইঁদুর, পোকা-মাকড় তাড়াতে না কি সিদ্ধহস্ত।
রাজ্যের পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন জানিয়েছেন, সংস্থাটির অভিজ্ঞতার কথা জেনেই মহাকরণে ইঁদুর, আরশোলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওই সংস্থার কর্মী, আধিকারিকেরা মহাকরণে এসে সব কিছু খতিয়ে দেখে খরচ-সহ অন্যান্য বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পূর্ত দফতরকে দেবে বলে জানান সচিব।
মহাকরণ সূত্রের খবর, সেখানে ইঁদুরের উপদ্রব বহু দিনের সমস্যা। বছরের পর বছর জমে থাকা ফাইলের পাহাড়ে আরশোলা ও বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের বাসাও নতুন কোনও কথা নয়। সরকারের তরফ থেকে মাঝেমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও কাজের কাজ বিশেষ হয় না। তাই এ বার একেবারে অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে সম্মুখ সমরে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার।
পূর্ত দফতরের সচিব জানাচ্ছেন, সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউসিং কর্পোরেশন খোদ রাষ্ট্রপতি ভবনেও পোকা-মাকড় মারার দায়িত্বে রয়েছে। তাই মহাকরণের ইঁদুর-কূলের কাছে লড়াইটা এ বার খুব একটা সহজ হবে না। |