হাতে-গরম রুটি পাতে দিতে রাতেও চলুক জেলের হেঁশেল (১৯-৪) সংবাদ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। গত বছর অমৃতসরে স্বর্ণমন্দির দর্শনে ওখানকার লঙ্গরের (ভোজনালয়) জন্য রুটি তৈরির বিশাল ব্যবস্থা দেখে বিস্মিত হয়েছি, রুটি তৈরির জন্য লঙ্গর সংলগ্ন এক খোলামেলা কামরা জুড়ে আছে বিশাল এক প্ল্যান্ট। প্ল্যান্টের এক প্রান্তের এক বড়সড় ড্রামে ঢালা হচ্ছে বস্তা বস্তা আটা। বিদ্যুৎচালিত স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় আটা মাখা, লেচি তৈরি, রুটি বেলা, সেঁকা সব কিছুই হয়ে যাচ্ছে। তার পর অন্য প্রান্তে ধাতব কনভয় বেল্টের মাধ্যমে বিরামহীন ভাবে চলে আসছে গরমাগরম রুটি। করসেবকরা বেতের ঝুড়িতে গুছিয়ে তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ভোজনগৃহে। যেখানে সহস্র সহস্র পুণ্যার্থী-দর্শক একই সঙ্গে আহারে বসেছেন। এই প্রক্রিয়া দিবারাত্রি অবিচ্ছিন্ন ভাবে চলছে।
জলের মাত্রা নির্ধারণ, উত্তাপ, রুটির মান ইত্যাদি নজরদারির জন্য আছেন মাত্র ৪/৫ জন কর্মী। পঙ্ক্তি ভোজনে বসে দেখলাম, একটু মোটা হলেও রুটি বেশ নরম, একই আকার, সঠিক ভাবে সেঁকা। পোড়া বা কাঁচা নেই, তাই বেশ সুস্বাদু।
মনে হয়, প্রতিবেদনে উল্লিখিত দশ হাজার রুটি তৈরি এই প্ল্যান্টের পক্ষে ‘বাঁয়ে হাত কী খেল’। উপরন্তু এক স্থানে প্ল্যান্ট বসিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও এই রুটি অন্যান্য সংশোধনাগারে সরবরাহ করা যেতে পারে।
কৃষ্ণদাস সাহা। কলকাতা-৫২
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত দিঘা-মেচেদা রাজ্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত কালীনগর-আড়গোয়াল (পাহাড়পুর) সড়কপথটি। উক্ত সড়কপথে পাঁউশি থেকে শুকুনিয়া প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা গত ছয় বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। খানা-খন্দে ভরা রাস্তার উপর দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে চলছে যাত্রিবাহী ট্রেকার, মিনিবাস, ধান ও ইট-বালি ভর্তি বড় বড় ট্রাক। এই সড়কপথটি ভূপতিনগর থানার সঙ্গে রাজ্যের অন্য অংশের সংযোগসাধন করেছে। মাঝে বাগদা নদীর উপর রয়েছে পাঁউশি দেশপ্রাণ সেতু। পার্শ্ববর্তী বরোজ, অর্জুননগর, আড়গোয়াল প্রভৃতি এলাকার কয়েক হাজার কৃষকের কৃষিজাত সামগ্রী এই পথ দিয়েই পরিবাহিত হয়। ইদানীং এই এলাকায় বাগদা চাষ বাড়ায় রাস্তাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। নিত্যযাত্রীরা অসহায় অবস্থায় পড়ছেন।
সমীরকুমার পড়্যা। কাঁথি |