পরিকাঠামো দেখবে হাইকোর্টের দল
লতি সপ্তাহের শেষে অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো পরিদর্শন করতে জলপাইগুড়িতে আসতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭-২১ অগস্টের মধ্যে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে আসবে। প্রতিনিধি দলে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলও থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের থেকে এই নির্দেশ পাওয়ার পরে অস্থায়ী পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ আগামী ১৭ অগস্টের মধ্যে সেরে ফেলার নির্দেশ পূর্ত দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১ সেপ্টেম্বর সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন শিল্যানাসের আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল অস্থায়ী পরিকাঠামো পরিদর্শনে আসবেন। সেই মতো ১৮ অগস্টের আগে অস্থায়ী ভবনে সব ধরনের সংস্কার কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। সোমবার রাজ্যের নির্দেশ পাওয়ার পরে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ অগস্টের আগেই সংস্কারের কাজ সেরে ফেলা হবে।অস্থায়ী পরিকাঠামো সংস্কারের কাজে প্রাথমিক ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান করা হলেও তা বেড়ে প্রায় এক কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে বলে সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে। সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন তথা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সব ধরনের আসবাব পরিবর্তন করা হচ্ছে। অস্থায়ী ভবনে এর আগে স্থানীয় ভাবে বরাত দিয়ে তৈরি করা আসবাবের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী ভবন তালা বন্ধ থাকায় সে সব কাঠের আসবাব বর্তমানে ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে জানানো হয়েছে। সেই আসবাবের পরিবর্তে বহুজাতিক সংস্থার আসবাব বসানোর তোড়জোর চলছে। অস্থায়ী ভবন এবং বিচারপতিদের থাকার আবাসন তিস্তা ভবন ও সার্কিট হাউজের সম্প্রসারিত অংশের আসবাবেরও পরিবর্তন হচ্ছে। অস্থায়ী ভবনে যে টাইলস বা পাথর বসানো হয়েছিল সেগুলিও ক্ষয় হতে শুরু করায় নতুন করে পাথর বাসানো হচ্ছে। পাহাড়পুর এলাকায় সার্কিট বেঞ্চের কর্মীদের থাকার আবাসনগুলিতেও সংস্কারের কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের তরফে যে ২৫টি নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, সেগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “প্রথমে যে ব্যয়ের হিসেব ধরা হয়েছিল তা কবেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ দেড় কোটি টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে টাকা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.