অলিম্পিকের টুকিটাকি: অলিম্পিক গেমসের বাণিজ্যিকীকরণ
গোড়ার দিকে আইওসি অলিম্পিকে কর্পোরেট স্পনসরশিপের বিরোধিতা করলেও ১৯৭২-এ তত্কালীন আইওসি প্রেসিডেন্ট অ্যাভেরি ব্রানডেজ-এর অবসরের পর স্পনসরশিপের বিরাট বাজার সম্পর্কে আগ্রহ দেখাতে শুরু করে। পরবর্তী কালের আইওসি প্রেসিডেন্ট য়ুয়ান অ্যান্তোনিও সামারাঞ্চ-এর নেতৃত্বে টেলিভিশন-সহ অন্যান্য বিজ্ঞাপনী মাধ্যমে অলিম্পিককে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে তুলে ধরে আইওসি।
১৯৩৬-এ বার্লিনের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক সর্বপ্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচারিত করা হয়, যদিও তা ছিল কেবলমাত্র স্থানীয় দর্শকদের জন্য। সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক স্থরে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয় ১৯৫৬-র শীতকালীন অলিম্পিক। এর পরবর্তী কালের শীতকালীন গেমসে সর্বপ্রথম টেলিভিশন সম্প্রচারকারী সংস্থার কাছে সম্প্রচার-স্বত্ত্ব বিক্রি করা হয়।
অলিম্পিকে খরচের বহর নিয়ে প্রভূত তথ্যানুসন্ধান করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বেন্ট ফ্লাইবার্গ ও অ্যালিসন স্টুয়ার্ট। তাঁরা জানিয়েছেন, বিগত ৫০ বছরে সবচেযে ব্যয়বহুল গেমস ১৯৯২-এর বার্সেলোনা ও ১৯৭৬-এর মন্ট্রিওল অলিম্পিক। খরচ হয়েছিল যথাক্রমে ১১৪০ ও ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এ বারের লন্ডন অলিম্পিক ছাপিয়ে যাবে আগের সব হিসেব। খরচের অঙ্ক ছোঁবে ১৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার।