প্রকল্প ঘোষণার এক বছরের মধ্যেই উদ্বোধন!
দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করার এমন নজিরে দৃশ্যতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন নিউ টাউনে রবীন্দ্রতীর্থের উদ্বোধন করে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “কিছু করার ইচ্ছা যদি তীব্র হয়, তা হলে ফল ফলবেই।”
নিউ টাউনে পাঁচ একর জমির উপরে ২০ কোটি টাকার এই প্রকল্প তৈরি হয়েছে এক বছরেরও কম সময়ে। মঙ্গলবার উদ্বোধনী বক্তৃতা থেকে শুরু করে ফেসবুক, সর্বত্রই এই বিষয়টিকে সামনে আনতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, “গত বছর ৭ অগস্ট (বাইশে শ্রাবণ) প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়। এক বছরের মধ্যেই তার উদ্বোধন হয়ে গেল।” |
নিউটাউন-সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি জটে আটকে আছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। জমি না মেলায় অনেক প্রকল্প শুরু করা যাচ্ছে না, অথবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না। রবীন্দ্রতীর্থের ৫ একর জমির ক্ষেত্রে অবশ্য অধিগ্রহণজনিত সমস্যাটা প্রায় ছিল না বললেই চলে। প্রকল্পের উদ্বোধন হবে জেনে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার এ দিন অবশ্য বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি, জোর করে তাঁদের কাছ থেকে জমি নিয়েছিল আগের বাম সরকার। তাঁরা জমির দাম নেননি। এই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবে বিতর্কিত জমির পরিমাণ সামান্যই। এই নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও তা হিডকোর অধিগৃহীত জমিতে প্রকল্পটির দ্রুত রূপায়ণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ পছন্দের প্রকল্প হওয়ার কারণে ‘রবীন্দ্রতীর্থ’-এর নির্মাণ পর্বে নজরদারিও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ও অগ্রগতি খতিয়ে দেখার জন্য দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী, শাঁওলী মিত্র, অজয় চক্রবর্তী, মোহন সিংহ-সহ বিশিষ্ট জনেদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছিলেন মমতা। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে একটি অডিটোরিয়াম, মিউজিক সেন্টার, সিনেমা হল, প্রদর্শনী হল। অতিথিদের জন্য তিনটি কটেজ। মূল অডিটোরিয়ামের সামনের পুকুরে রবীন্দ্রনাথের ব্রোঞ্জমূর্তি। মমতা এ দিন বলেন, “রবীন্দ্রনাথের উপর গবেষণা করার জন্য যে ছাত্রছাত্রীরা এখানে থাকতে চান, তাদের জন্য এখানে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ঘরবাড়ি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে মনে হবে শান্তিনিকেতনেই রয়েছি।” এ দিনের অনুষ্ঠানে শুধু রবীন্দ্রতীর্থ নয়, মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউটাউন থানার নতুন ভবনও। |