খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে রেশনে সাড়ে ১২ টাকা কেজি দরে আলু সরবরাহের কাজ শুরু হল মঙ্গলবার। এ দিন খণ্ডঘোষের পোলেমপুরে এক ডিস্ট্রিবিউটারের গুদাম থেকে আউশগ্রাম, রায়না, খণ্ডঘোষের রেশন দোকানগুলিতে আলু পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিষ্ট্রিবিউটর্স সমিতি’র রাজ্য সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, “শীঘ্রই আমরা রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানে না লাভ-না ক্ষতির ভিত্তিতে এই আলু সরবরাহ করব। এই সপ্তাহেই রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানে এই কম দামের আলু মিলবে।” গত ২ অগস্ট খাদ্যমন্ত্রী মোট সাতটি রেশন সামগ্রীর ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থাকে রাজ্যের সব জেলার রেশন দোকানে আলু সরবরাহের নির্দেশ দেন। |
এ দিনের অনুষ্ঠানে খণ্ডঘোষের শাঁখারি-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমীর ঘোষ বলেন, “বাজারে বর্তমানে আলুর দাম ১৫ টাকার কম নয়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে তুলনায় কম দামে আলু পাবেন সাধারণ মানুষ।” স্থানীয় শালগাছা গ্রামের চাষি শেখ সামসুরজ্জোহা বলেন, “গত বার বাজারে এই সময়ে মাত্র ৫-৬ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছিল। চাষিরা হিমঘরে মজুত আলু তুলতে ভয় পাচ্ছিলেন। শেষে প্রচুর আলু ফেলে দিতে হয়। এ বার বাজার তেজি থাকায় সে সমস্যা হবে না।” অপর চাষি, পোলেমপুরের বাসিন্দা বাবলু মেটের অভিযোগ, “বাজার চড়া করে এক দল ব্যবসায়ী মোটা লাভ করতে চেষ্টা করছিলেন। রেশনে কম দামে আলু দিলে তারা সমস্যায় পড়বে।”
যদিও বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্ধমান জেলা আলু ব্যবসায়ি সমিতির সম্পাদক সাগর সরকার। তাঁর দাবি, “রেশনে আলু দেওয়া হলেও খোলা বাজারে আমরা অনায়াসেই উন্নত মানের আলু বেচতে পারব। তাই আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।”
ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের বর্ধমান জেলা সম্পাদক কিরণশঙ্কর মণ্ডলের দাবি, “আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। তা সত্ত্বেও হিমঘর থেকে আলু এনে বর্ধমান-সহ সারা রাজ্যে রেশন দোকানে সরবরাহ করছি আমরা। তাতেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে ব্যবসায়ীরা।” সাগরবাবু অবশ্য বলেন, “কৃষি বিপণন মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েই আমরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছি।” |