অলিম্পিকের টুকিটাকি: পুরস্কার |
১৯১২ সালে সুইডেন অলিম্পিকে শেষ বারের মতো খাঁটি সোনার তৈরি পদক দেওয়া হয়েছিল। পরে ধার্য হয় অলিম্পিকের সোনার পদকে অন্তত ৯২.৫ শতাংশ রুপো ছাড়াও কমপক্ষে ৬ গ্রাম গোল্ড প্লেটিং থাকতে হবে। সমস্ত অলিম্পিক পদক অন্তত ৬০ মিলিমিটার ব্যাসার্দ্ধের ও ৩ মিলিমিটার পুরু হওয়া আবশ্যক। অলিম্পিকের পদক তৈরির দায়িত্বে থাকে আয়োজক দেশ। ১৯২৮ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পদকগুলি দেখতে ছিল একই রকমের— পদকের এক পিঠে ফ্লোরেন্সবাসী শিল্পী জিইসেপে ক্যাসিওলি-র তৈরি নকশা-সহ আয়োজক দেশের নাম এবং উল্টো পিঠে এক জন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের নকশা। ১৯৭২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্যাসিওলি-র নকশা করা পদকই ব্যবহার করা হত। ২০০৪ সালের আথেন্স অলিম্পিকে পদকের উপরের দিকের নকশায় সামান্য পরিবর্তন করে একটি নতুন ডিজাইনের পদক দেওয়া হয় বিজয়ীদের। ক্যাসিওলি-র নকশায় রোমান অ্যাম্ফিথিয়েটারের ছবি আসলে ছিল গ্রিসের অলিম্পিক গেমসের। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের পদক ছিল ব্যাসার্দ্ধে ৭০ মিলিমিটার ও ৬ মিলিমিটার পুরু। এই পদকের উপরের দিকে ছিল জয়ের চিহ্নযুক্ত একটি উড়ন্ত অবয়ব এবং পেছনের বেজিং অলিম্পিকের প্রতীক। |