প্রযুক্তির কারিগর
হল যন্ত্র ও যোগাযোগের পেশা।
যন্ত্র তৈরি হয়। তৈরি হলে বিগড়োয়। সারানো না গেলে ফের কিনতে হয়। হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের দুনিয়া এই বৃত্তটা ঘিরেই। আর, এই যে বিশ্ব জুড়ে যোগাযোগ, এক যন্ত্রের সঙ্গে অন্য যন্ত্রের কিংবা যন্ত্রের মাধ্যমে একজন মানুষের সঙ্গে কাছে বা দূরে থাকা আর একজন মানুষের, তার গোটা ব্যবস্থাপনাটাই বর্তায় নেটওয়ার্কিং পেশাদারদের কাঁধে।
কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার্স (আইআইএইচই)-এর ডিরেক্টর শঙ্কু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হার্ডওয়্যারে কাজের ক্ষেত্রকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি, ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন। যেখানে যন্ত্রে ব্যবহৃত উপাদানগুলি তৈরি করা হয়। যেমন, মাদার বোর্ড, সিপিইউ, র্যাম, হার্ড ডিস্ক, ডিভিডি, মনিটর, ক্যাবিনেট, মাউস, কিবোর্ড ইত্যাদি। আর দ্বিতীয়টি, কম্পিউটার তৈরির পর তা চালু করা, বিভিন্ন অংশের রক্ষণাবেক্ষণ এবং খারাপ হলে মেরামতের কাজ।
অন্য দিকে, নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ দু’টি কম্পিউটারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। শঙ্কুবাবু জানিয়েছেন, এর মধ্যে পড়ে সঞ্চালনা, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, ইউজার পাসওয়ার্ড, নেটওয়ার্ক সিস্টেম, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইত্যাদি। অর্থাৎ পুরো ব্যবস্থাটায় একসঙ্গে জুড়তে হয় অনেকগুলি কম্পিউটার, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে, যাতে এক বা একাধিক ব্যবহারকারী একসঙ্গে বহু তথ্য আদানপ্রদান করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান-এর মতো খুব প্রচলিত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ছোট পরিসরের ভৌগলিক দূরত্বে জুড়ে দেয় বিভিন্ন কম্পিউটারকে। যেমন, অফিস বাড়ি, আবাসন। আবার বিভিন্ন শহর ও দেশের কম্পিউটারকে যুক্ত করে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়্যান। শঙ্কুবাবুর কথায়, “হালে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ওয়্যান-এর প্রয়োগ। ওয়্যান-এর কাজ হয় মূলত স্যাটেলাইট মারফত। ব্যবহার হয় তারের সংযোগও। ওয়্যারলেস ল্যান-এর মূল সংযোগকারী যন্ত্র দু’টি, রুটার ও সুইচ। যা তৈরি করে সিস্কো, ডিলিঙ্ক-এর মতো সংস্থা। এ রকমই নানা সংস্থার রুটার ও সুইচ-এর পণ্য পরিচিতি, গঠন ও সমস্যা তৈরি হলে তা সমাধানের কাজ শিখতে হয়। তাই বহু ক্ষেত্রেই এই সব সংস্থার অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।”
রাজারহাটে টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ অফ টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান স্বাগত পাল-এর দাবি, হার্ডওয়্যার-নেটওয়ার্কিং পেশাদারদের ভারত-সহ সারা বিশ্ব জুড়েই চাহিদা। স্থানীয় সংস্থা থেকে শুরু করে বহুজাতিক, বিভিন্ন পর্যায়ে এই পেশাদারদের কেরিয়ার বা কাজের জায়গাগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন তিনি। যেমন শুরু এখান থেকে:

১) হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,
২) হেল্পডেস্ক এগ্জিকিউটিভ,
৩) ল্যান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর,
৪) ল্যান ইঞ্জিনিয়ার,
৫) ল্যান টেকনিশিয়ান,
৬) লিনাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটর,
৭) মেসেজিং স্পেশ্যালিস্ট,
৮) নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর,
৯) নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার,
১০) নেটওয়ার্ক স্পেশ্যালিস্ট,
১১) নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান,
১২) পি সি টেকনিশিয়ান,
১৩) সার্ভার স্পেশ্যালিস্ট,
১৪) সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার,
১৫) নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি প্রফেশনালস।

আরও তৈরি হওয়ার পর
১) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট,
২) ডেটা সেন্টার ম্যানেজমেন্ট,
৩) ই-মেল ম্যানেজমেন্ট,
৪) হেল্পডেস্ক সার্ভিস,
৫) সার্ভার ম্যানেজমেন্ট,
৬) স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট।

যাঁরা হার্ডওয়্যার-নেটওয়ার্কিং-কে কেরিয়ার করতে চান, তাঁদের জন্য স্বাগতবাবুর পরামর্শ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজ শেখার পর কেরিয়ার শুরু হয় হেল্পডেস্ক অ্যানালিস্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে। পরে বিশেষত নেটওয়ার্কিং নিয়ে কাজ করতে চাইলে, রয়েছে, ডেটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ল্যান ইঞ্জিনিয়ার, মেসেজিং স্পেশ্যালিস্ট, নেটওয়ার্কিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ওয়েব সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইত্যাদি ক্ষেত্র।

চাহিদার খতিয়ান
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জব ট্রেনিং বা আইআইজেটি এডুকেশনের বিভাগীয় প্রধান শুভঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং পেশাদারদের চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ যত দিন যাচ্ছে যে কোনও ধরনের শিল্পেই বেড়ে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। সুতরাং মাত্র পাঁচ জন কর্মী নিয়ে তৈরি সংস্থাও এই পেশাদারদের ছাড়া কার্যত অচল।
শুভঙ্করবাবুর মতে, “সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা, কল সেন্টার, তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সংস্থার মতো জায়গায় তো হার্ডওয়্যার-নেটওর্য়াকিং পেশাদাররা অনেকটা নিউক্লিয়াসের মতো। আইডিসি-ম্যাকিনসে সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ কম্পিউটার পেশাদারের ডাক পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। যার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে শুধু হার্ডওয়্যার-নেটওয়ার্ক পেশাদারেরা। অন্য একটি সমীক্ষার দাবি, আগামী পাঁচ বছরে শুধু হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই তৈরি হবে ১২ লক্ষ চাকরির সুযোগ।”
“বিশেষত, তথ্যপ্রযুক্তিকে এখন প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দিতে বহু কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ফলে ভারতে এই ক্ষেত্রে যত কাজের সম্ভাবনা, সেই তুলনায় পেশাদার মাত্র এক তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ এখনকার তুলনায় তিন গুণ পেশাদার তৈরি হলে তবেই চাহিদা মেটানো সম্ভব”, জানিয়েছেন আইআইএইচই-এর শঙ্কুবাবুও। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১১-১২ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং-এই কাজ পেয়েছেন ২ লক্ষেরও বেশি ছেলেমেয়ে।



যে যোগ্যতা জরুরি
হার্ডওয়্যার-নেটওয়ার্কিংয়ের বিভিন্ন ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রমে ভর্তি হতে চাইলে বিজ্ঞান নিয়ে ন্যূনতম পক্ষে ১০+২ পেরলে ভাল হয় বলে জানিয়েছেন শুভঙ্করবাবু। নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পরে গ্লোবাল সার্টিফিকেশন অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন, রেড হ্যাট ভার্সন ৬, মাইক্রোসফটের এম সি আই টি পি, সিস্কো-র সি সি এন এ, সি সি এন পি, সি ডব্লিউ এন এ ইত্যাদি।
বহু কেরিয়ার বিশেষজ্ঞের আবার মত, অন্যান্য শাখা নিয়ে পড়াশোনা করেও হার্ডওয়্যার-নেটওয়ার্কিং পড়া যায়, যদি কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে আগ্রহ ও কিছুটা জ্ঞান থাকে।

লক্ষ্য ভেবে এগোন
প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি অবশ্যই কী নিয়ে প্রার্থী পড়তে চাইছেন বা কেরিয়ার হিসেবে কোন লক্ষ্য স্থির করে রেখেছেন, তার উপরেই নির্ভর করে। স্বাগতবাবুর ব্যাখ্যায় যাঁরা ইনস্টল/ কনফিগার/ ট্রাবলশু্যটার- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার/ সফটওয়্যার কিংবা নির্ভুল ভাবে সফটওয়্যার প্রোগ্র্যাম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাঁদের ১০+২ বা স্নাতক হতেই হবে।
যাঁরা সংস্থার প্রয়োজন অনুযায়ী, খরচের বিষয়টি মাথায় রেখে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক’ উইথ ওয়ার্কস্টেশন্স/ সার্ভার্স/ নেটওয়ার্ক ডিভাইসেস সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও তা কার্যকর করার কাজ করতে চান বা সংস্থার বিশেষ কিছু চাহিদা মেনে কনফিগার/ মনিটর/ ট্রাবলশু্যট দ্য নেটওয়ার্ক ডিভাইসেস/ ওয়ার্কস্টেশন্স/ সার্ভার্স নিয়ে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাঁদের ইনস্টল/ কনফিগার/ ট্রাবলশু্যটার- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার/ সফটওয়্যার বা নির্ভুল ভাবে সফটওয়্যার প্রোগ্র্যাম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত বিষয়, বিসিএ, এমসিএ, বি এসসি ইন আইটি/ সিএসই, বি টেক ইন সিএসই/ আইটি/ ইই/ ইসিই বা এগুলির সমতুল যোগ্যতা থাকতে হবে।

কোথায় কাজ
প্রথম থেকেই বিষয়গুলির খুঁটিনাটি রপ্ত করতে পারলে, বিশেষ করে কাজের সুযোগ মিলবে যেখানে, সেগুলি হল হার্ডওয়্যার তৈরি, মেরামতি, রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা, সিস্টেম ডিজাইন সংস্থা, সংযোগ প্রদানকারী সংস্থা, সফটওয়্যার সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা কল সেন্টার, নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা সংস্থা, টেলিকম সংস্থা। এ ছাড়া, সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও শিল্পের ছোট বা বড় সংস্থাতেও কাজের সুযোগ আছে।
পাশাপাশি ব্যবসার পথও খোলা আছে। হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেখার পর কিছু দিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিন। তার পর বন্ধু-বান্ধবেরা মিলে ব্যবসার কথাও ভাবা যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন কেরিয়ার উপদেষ্টারা। সে ক্ষেত্রে অবশ্য কাজটা খুব ভাল জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হতে হবে। আসলে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হলেও, গ্রাহকের আস্থা যদি একবার আদায় করে নিতে পারেন পেছন ফিরে তাকাতে হবে না কোনও দিন।
রাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ও ওয়েবসাইট
আইআইএইচটি। www.iiht.com
জেটকিং। www.jetkinginfotrain.com/courses.html
আইএইচআইটি। www.ihitindia.com
আইসিইআই - ইনস্টিটিউট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া)। http://iceionline.org/a1.php
অ্যাপটেক। www.aptechnpower.com
ওয়েবেল। www.webel-india.com
টিমলিজ আইআইজেটি। www.iijt.net
আইআইএইচই। www.iiheindia.com
ব্রেনওয়্যার। www.brainware-india.com
এনআইআইটি। www.niit.com
সিস্কো সার্টিফিকেশন প্রশিক্ষণ দেয় netcommsindia.com, adroitacademy.com ইত্যাদি।

পড়ার আগে
হাজার একটা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভর্তি হওয়ার আগে দেখে নিন—
• তার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন সংস্থার অনুমোদন আছে কি না
• পরিকাঠামো কতটা আধুনিক
• যথেষ্ট পরিমাণ কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আছে কি না
• প্রশিক্ষকদের বিশেষ আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন আছে কি না
• প্রশিক্ষকদের আগে হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা কতটা
• উপদেষ্টারা বিভিন্ন কেরিয়ারের সঠিক দিশা দিতে পারছেন কি না
• হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের উপর কী ভাবে, কতটা জোর দেওয়া হয়
• প্রাক্তন পড়ুয়ারা কোথায় চাকরি পেয়েছেন
খেয়াল রাখুন

ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার জোট

মার্কিন সংস্থা অ্যাভকন গ্লোবালের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল রাজ্যের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গার্গী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অ্যাভকনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা তাদের বারুইপুর ক্যাম্পাসে ‘গ্লোবাল ভিশন প্রোগ্রাম’ এনেছেন। এর মাধ্যমে সরাসরি বিদেশের শিক্ষক ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত পারস্পরিক মত আদান প্রদানের মঞ্চ হিসেবেও কাজ করবে এই উদ্যোগ।

আইন পড়তে চাইলে
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নেহাংশু কান্ত আচার্য ইনস্টিটিউট অফ ল পড়ায় বিএ এলএলবি (সাম্মানিক) কোর্স। ইংরেজি কথোপকথন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে এতে। দেখে নিন www.skail.org ওয়েবসাইটটি।


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.