জামিন পেলেন মাওবাদী নেতা চণ্ডী সরকার। শনিবার দদমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে কৃষ্ণনগরে নিজের বাড়িতে ফিরে সিপিআই (মাওবাদী) রাজ্য কমিটির সদস্য চণ্ডীবাবু জানান, দলীয় যে সব কর্মীরা এখনও বন্দি রয়েছেন তাঁদের মুক্ত করাই এখন তাঁর এক মাত্র লক্ষ্য। ২০০৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং অস্ত্র আইনের দায়ে ওই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে, ২০১০ সালে কৃষ্ণনগর জেলা আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল। গত ২৭ জুলাই একই অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল নদিয়ার তেহট্ট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতও। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবি অমিত বিশ্বাস জানান, গত ৩০ জুলাই, বহরমপুরের অতিরক্ত দায়রা আদালতের (চতুর্থ) বিচারক রাষ্ট্রদোহ ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলাতেও চণ্ডীবাবুর জামিন মঞ্জুর করেছেন। চণ্ডীবাবু জামিন পেলেও, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার দায়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর থানার চুনঘাঁটি-হেঁসেলডিহি গ্রাম থেকে শুক্রবার ধৃত মাওবাদী স্কোয়াড নেতা রঞ্জন মুণ্ডা ও বাণেশ্বর মুর্মুকে এ দিনই ১৪ দিন পুলিশ-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেন, পুলিশ যাঁদের মাওবাদী নেতা রঞ্জন ও বাণেশ্বর বলে দাবি করছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে দিনমজুর। ঝাড়খণ্ডের পুতুরাম টুডু (রঞ্জন মুণ্ডা) ও নয়াগ্রামের শম্ভু মুর্মুকে (বাণেশ্বর) মাওবাদী সাজিয়েছে পুলিশ ওই মিথ্যে মামলা সাজিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। |