টুকরো খবর
স্টেশন পথে ‘দুষ্কৃতী-রাজ’
একজন মাতাল বেহুঁশ হয়ে পড়ে। একজন রেল লাইনে বসে দুলছে। প্ল্যাটফর্মের এক কোণে কয়েকজন কিশোর গাঁজার আসর বসিয়েছে। মাঝে মধ্যেই একে অপরকে গালিগালাজ করছে। সন্ধ্যার পর শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া এলাকায় এই ছবি নিত্যদিনের। যাত্রীরা ওই পথ দিয়ে যাতায়াতে ইতস্তত করছেন। প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া ছাত্রীদের কটূক্তি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। স্টেশন সংলগ্ন কয়েকটি দোকান, বাড়িতেও মদের আসর বসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানেই থাকে দুষ্কৃতীরা। সুযোগ পেলেই যাত্রীদের গলার হার বা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ রবীন্দ্রন বলেন, “ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে। কোথাও নেশার আসর বসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রেল পুলিশের তরফেও এই এলাকায় অভিযান চালানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশের শিলিগুড়ি জিআরপির আইসি দীপক প্রধান বলেন, “ওখানে নজরদারি রয়েছে। কোনও যাত্রীর যাতে অসুবিধে না হয় তা দেখা হবে।” স্থানীয়দের কয়েকজন জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, গত ছয় মাসে অন্তত চার বার জানালার কাছের যাত্রীর গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় জিআরপি থানায় মৌখিক অভিযোগও জানানো হয়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নিখিল সাহানি অবশ্য দাবি করেছেন, টাউন স্টেশনে আগের মতো আর দুষ্কৃতীদের আড্ডা নেই। এখন পরিবেশ অনেকটাই ভাল হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশের পরিবর্তন করার। অনেকে মদের ব্যবসা ছেড়ে ভাল কাজ করছেন। পুলিশকেও নজরদারি রাখতে দাবি করা হয়েছে।”

কমিশনারেটে ভক্তিনগর মিছিল
ভক্তিনগরকে কমিশনারেটে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে তৃণমূলের মিছিল। ছবি: কার্তিক দাস।
শিলিগুড়ি কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানার অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের যুব সংগঠনের বিরোধ প্রকাশ্যে এল। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়িতে ভক্তিনগরকে কমিশনারেটে আওতাভুক্ত করার দাবিতে রাস্তা নেমে আন্দোলন করল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজগঞ্জ (১) ব্লক কমিটি। ভক্তিনগর থানার সামনে থেকে সেবক রোডে একটি মিছিলও করা হয়। সংগঠনের সভাপতি সাগর মোহন্ত বলেন, “জলপাইগুড়ি যুব কংগ্রেস সাধারণ মানুষের স্বার্থে লড়াই করছে না। কেবল আইনজীবীদের স্বার্থ দেখছে। আমরা বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছি।” তিনি জানান, ভক্তিনগর এলাকার মানুষকে প্রশাসনিক কাজে জলপাইগুড়ি যেতে হলে একদিন ব্যয় করতে হয়। যাতায়াত, খাওয়ায় অনেক খরচ হয়। শিলিগুড়িতে কাজ হলে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় হয়ে যাবে। আগামী ৬ অগস্ট শিলিগুড়ি কমিশনারেটের উদ্বোধন করা কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শিলিগুড়ি, প্রধাননগর, বাগডোগরা, মাটিগাড়া থানার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানা এলাকা নিয়ে কমিশনারেট তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই ঘোষণার পরেই জলপাইগুড়ি যুব কংগ্রেস আন্দোলনে নামে। জেলার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি যুব কংগ্রেসের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির যুব কংগ্রেসের লোকসভা কমিটির সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের স্বার্থেই লড়াই করছি। বিশেষ কারও স্বার্থে নয়। আমাদের জেলাকে ছোট করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। যুব কংগ্রেস এটা রুখতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেই।”

সংরক্ষণে উদ্যোগ
প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান সংরক্ষণে উদ্যোগী হল ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত। নিউ দোমহনি রেল স্টেশন সংলগ্ন ভদ্রেশ্বর মন্দির এলাকা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখতে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ৩ অগস্ট জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান অতীন্দ্রনাথ রায় বলেন, “ওই কাজ হলে মন্দির চত্বরে ছড়িয়ে থাকা প্রাচীনকালের পাথর ও ইটের উপাদানগুলি রক্ষা করা সম্ভব হবে।” পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর আনন্দগোপাল ঘোষ। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে ভদ্রেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সংরক্ষণের কাজে এগিয়ে আসায় ভাল হল।” ময়নাগুড়ি শহর থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে ভদ্রেশ্বর মন্দির জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সুক্ষ্ম কারুকাজে ভরা পাথরের চাঁই। প্রাচীন কালের হাল্কা ইট। গবেষকদের দাবি ওই সমস্ত উপাদান নবম থেকে দশম শতাব্দীর। সেখানে রয়েছে হাল্কা ইটের তৈরি ফানেল আকৃতির কুয়ো। ধ্বংসাবশেষের যে সামান্য অংশ মাটির উপরে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে শিব মন্দির তৈরি করেছেন। মন্দির কমিটির সম্পাদক হরিপদ রায় বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে মন্দির এলাকা সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।”

দলবদল ঘিরে উত্তেজনা
সিপিআইয়ের এক পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগ দান করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল আংরাভাসায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আংরাভাসা বংশীবদন হাই স্কুলের মাঠে। দলের নয়া জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিকের সংবর্ধনা সভার অনুষ্ঠানে গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআই সদস্যকে দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা হতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দু’পক্ষে মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। গোলমাল চলাকালীন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের একাংশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশুতোষ গোস্বামী বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে নানান অভিযোগ রয়েছে। দলের বড় অংশের আপত্তি সত্বেও আমাদের উপর চড়াও হয়ে নেতৃত্ব তাকে দলে নিল। এ ঘটনা কিছুতে মানা যায় না।” তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “চার মাস আগে ওই পঞ্চায়েত দলে যোগদানের কথা জানান। স্থানীয় স্তরে খোঁজখবর নিয়ে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কিছু লোক ব্যক্তিগত কারণে আপত্তি তোলে। তেমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি হয়নি।”

কৃতীদের সংবর্ধনা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করা ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা দিল আলিপুর-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। শুক্রবার যশোডাঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির হল ঘরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও সৌমেন মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি অর্চনা দাস।

ভরদুপুরে ছিনতাই
ব্যাঙ্ক থেকে ইন্দিরা আবাসন প্রকল্পের টাকা তুলে বাড়ির পথে এক ব্যক্তির থেকে টাকা ছিনিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে শামুকতলা বাসস্ট্যান্ডে। তদন্ত করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.