গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত কিংবা অন্য কোথাও যেতে দু’টি রাস্তা ব্যবহার করেন দুবরাজপুরের গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতের দোদোহা গ্রামের মানুষ। একটি রাস্তা বক্রেশ্বর নদ পেরিয়ে, অপরটি বাহাদুরগঞ্জ গ্রাম হয়ে। বছরের অন্যান্য সময় যাতায়াতে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও বর্ষাকাল এলেই চিত্রটা পুরোপুরি বদলে যায়।
কেন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষাকাল এলেই সেতু হীন বক্রেশ্বর নদের মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি ডুবে যায়। ফলে ওই রাস্তায় চলাচল করা যায় না। আর ওই গ্রাম থেকে বাহাদুরগঞ্জ পর্যন্ত দেড় কিমি কাঁচা রাস্তাটির হাল বর্ষকালে এতটাই করুণ হয় যে সেটিও চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, বক্রেশ্বর নদের উপর সেতু তৈরির দাবি বহুকালের। এ নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশাসনের কাছে বহু দরবার করেছেন। তবে সেটি অদৌ তৈরি হবে কি না তাঁদের জানা নেই। কিন্তু বাহাদুরগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত করতে উদ্যোগীও হয়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত। |
গ্রামবাসী শান্তি মণ্ডল, দিলীপ বাউড়ি, পবন মণ্ডলরা বলেন, “এই রাস্তা ধরে পঞ্চায়েতে যেতে বেশ খানিকটা ঘুরতে হয়। কিন্তু বর্ষায় যেহেতু এই রাস্তাটিই ভরসা তখন পঞায়েতের রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়া উচিত ছিল। সবচেয়ে সমস্যা কোনও অসুস্থ ও প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া।”
ওই সংসদের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা মুক্তা মণ্ডল অবশ্য এ জন্য গ্রামের মানুষকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, “প্রথমত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমেই বর্তমানে গ্রামের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু মাটি কাটার জন্য যে সরকার নির্ধারিত পারিশ্রমিকের কথা বলা হয়েছে সেটা না মেনে অন্যায় দাবি করার জন্য এই এলাকায় ১০০ দিনের কাজ কার্যত শুরুই করা যাচ্ছে না। আবার পঞায়েত উদ্যোগী হয়ে রাস্তায় মাটি ফেলতে চাইলেও কেন বক্রেশর সেতু তৈরি হল না, এই অজুহাতে সে কাজেও বাধা দিচ্ছেন কিছু গ্রামবাসী।” প্রায় একই বক্তব্য পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ মালেরও। কারণ যাই থাক এ বছরও দেদোহা গ্রামের ৬০০-৭০০ মানুষের জন্য একই দূর্ভোগ রয়েছে। |