চিনা সাঁতারু ইয়ে শিউয়েনের সোনালি মুহূর্ত।
নিজের উপর গোটা দুনিয়ার নজর তিনি ভালই উপভোগ করছেন। ডোপিংয়ের কলঙ্কে তাঁর নামও জড়িয়েছে। কিন্তু লন্ডন অলিম্পিকে দু-দু’টো সোনা জেতা চিনা সাঁতারু ইয়ে শিউয়েন তাতে পাত্তা দিলে তো? ষোল বছর বয়সে সাঁতারে অলিম্পিক সোনা জিতে লন্ডন অলিম্পিকে রীতিমতো হইচই ফেলে দেওয়া শিউয়েন পরিষ্কার জানাচ্ছেন, এ সব অভিযোগে তাঁর কিছু আসে-যায় না। ঘটনা অপ্রীতিকর ঠিকই, তবে তিনি জানতে চান কেন তাঁর নাম এই কেলেঙ্কারিতে জড়াল?
একই সঙ্গে ফুল ও কাঁটা, দু’হাতে অনায়াসে সামলাচ্ছেন ষোড়শী তরুণী। এক দিকে অকুণ্ঠ প্রশংসা। গোটা বিশ্ব এবং চিনে তাঁকে ডাকা হচ্ছে ‘ইয়ে-জ’ বলে। অন্য দিকে আবার তাঁর বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ। শিউয়েন বলছেন, “এ ভাবে অভিযোগ তোলাটা ঠিক নয়। কিন্তু এই অভিযোগের প্রভাব অন্তত আমার উপর পড়বে না।” শিউয়েনের অস্ট্রেলীয় ‘মেন্টর’ ডেনিস কটারেলও সাফ জানিয়েছেন, শিউয়েন কোনও ভাবেই ডোপিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে নেই। এমনকী শিউয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কোচেরা পর্যন্ত জানিয়েছেন, শিউয়েন নিষ্কলঙ্ক। |
চিনা সাঁতারু নিজে অবশ্য শান্ত। বৃহস্পতিবার গোটা দিন ধরে মিডিয়ার খোঁচাখুঁচি সামলাতে হয়েছে বিস্তর। শিউয়েনকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি চিনের প্রতিনধি বলেই কী এই হেনস্থা? “হতে পারে। কিন্তু অন্যান্য দেশ থেকে নানা প্রতিযোগী প্রচুর সোনা জিতেছে। তা হলে শুধু আমাকেই তুলে আনা হচ্ছে কেন?”
কোনও প্রমাণ ছাড়া শিউয়েনকে কাঠগড়ায় তোলা নিয়ে নিন্দায় সরব দুনিয়া। পুরুষদের চারশো মিটার ফ্রিস্টাইলে চিনকে সোনা দিয়েছেন যিনি, সেই সান ইয়াং বলেছেন, “এ ভাবে কাউকে সন্দেহ করা অপরাধ। এতে ওর চেষ্টাকেই ছোট করা হচ্ছে।” ব্রিটিশ অলিম্পিক সংস্থার চেয়ার কলিন মোয়নিয়ান বলেছেন, “ওয়াডার প্রোগ্রামে ও বসেছিল। কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। ওর যা প্রতিভা সেই সম্মানটা ওকে দেওয়া উচিত।” আর চিনের সাঁতার দলের প্রধান জু কি-র মন্তব্য, “ওর মধ্যে কতটা প্রতিভা আছে, সেটা ওর পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছে। এ ভাবে কারও সন্দেহ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।” |