|
|
|
|
রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডেরেক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে সংসদীয় দলে রদবদল সেরে ফেলল তৃণমূল। নতুন পদ তৈরি করে রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক করা হল ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। দলের বক্তব্য কংগ্রেস তথা সরকারের কাছে তুলে ধরতেই এই পদ তৈরি করা হল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। রাজ্যসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটিতেও তৃণমূলের প্রতিনিধি হচ্ছেন ডেরেক।
দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা বহন করার দায়িত্বে আছেন ডেরেক। ফেসবুকের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর যে কৌশল সম্প্রতি মমতা নিয়েছেন, সেটিও মূলত তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। রাজ্যসভাতেও বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডেরেক। তাঁকেই এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যসভার মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হল। গত ৩০ জুলাই দলের ওই সিদ্ধান্ত চিঠি লিখে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্যসভার বাকি সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে দলীয় নীতি সরকারের সামনে তুলে ধরার কাজটি করবেন ডেরেক। বাদল অধিবেশনের কাজকর্ম নিয়ে আগামিকাল সব রাজনৈতিক দলের মুখ্য সচেতকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সংসদীয়মন্ত্রী পবন বনশল। সেই বৈঠকেই নিজের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন ডেরেক।
বর্তমানে রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা মুকুল রায়। মুখ্য সচেতক যে সমন্বয়ের কাজ করেন, সেটি এত দিন তিনিই পালন করে আসছিলেন। কিন্তু রেলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও সাংগঠনিক কাজের বোঝা কাঁধে থাকায় তাঁর ভার লঘু করার প্রয়োজন অনুভব করছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই ডেরেককে মুখ্য সচেতক হিসেবে নিয়োগ করা হল। ডেরেক আজ বলেন, “আমি তৃণমূলের এক জন বিশ্বস্ত সৈনিক। সংসদে তৃণমূলের মা-মাটি মানুষের নীতি আমি তুলে ধরব।”
তৃণমূল সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যসভার আর এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় প্রথমে ওই দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দলের অনুমতি না নিয়ে ইউপিএ-র মধ্যাহ্নভোজে গিয়ে দলীয় নেতৃত্বের অসন্তোষের মুখে পড়েন তিনি। তার পরেই ডেরেককে বেছে নেওয়া হয়।
লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসা সব বিল পর্যালোচনা করার জন্য যে ছয় সদস্যের কমিটি মমতা গঠন করেছেন, তাতেও স্থান পেয়েছেন ডেরেক। আজ ইন্টারনেটের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মমতার বক্তব্য কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিব্বলকে তিনি জানান। ডেরেক বলেন, “দল মনে করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু সেখানে কোনও অশ্লীল বা অশোভন বক্তব্য থাকছে কিনা তা দেখার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাও থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা কী হবে, তা রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনার পরেই যেন ঠিক করে কেন্দ্র।” |
|
|
|
|
|