অলিম্পিকের টুকিটাকি: প্রতীক
অলিম্পিক বলয়: পরস্পরে আবদ্ধ নীল, হলুদ, কালো, সবুজ ও লাল রঙের পাঁচটি বলয় দিয়ে তৈরি ‘অলিম্পিক রিং’। আধুনিক অলিম্পিকের জনক ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরতঁই ছিলেন এই বলয়ের পরিকল্পক। ১৯১২ সালে ডিজাইন করেন এই বলয়গুলি। বলয়ের রঙগুলি সেই সময়কার সমস্ত দেশের জাতীয় পতাকায় কোনও না কোনও ভাবে উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলেশিয়া ও ইউরোপ এই পাঁচটি মহাদেশের ঐক্যকেও ব্যক্ত করে এই বলয়গুলি। সাদা জমিতে এই রঙিন বলয় দিয়ে তৈরি হয়েছে অলিম্পিকের পতাকা। ১৯১৪ সালে এটি অলিম্পিকের পতাকা হিসেবে গৃহীত হলেও ১৯২০-তে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ের্প অলিম্পিকে সর্বপ্রথম এই পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই পরম্পরা এখনও অব্যাহত।
ম্যাসকট: ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সের গ্রেনোবল-এ শীতকালীন অলিম্পিকে সর্বপ্রথম অলিম্পিক ম্যাসকট দেখা যায়। আয়োজক দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপস্থাপনকারী কোনও প্রাণী বা মানুষের প্রতিরূপই হয় অলিম্পিকের ম্যাসকট। ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকে প্রথম বানিজ্য সফল ম্যাসকট ‘মিশা’র দেখা মেলে। সাম্প্রতিক কালে যেমন বেজিং অলিম্পিকের ম্যাসকট ছিল ফুয়া— চৈনিক সভ্যতায় পাঁচটি ফেং শুই উপাদানকে তুলে ধরেছিল ফুয়ার পাঁচটি প্রাণী।