অলিম্পিকের টুকিটাকি: প্রতীক
মূলমন্ত্র: অলিম্পিকের মূলমন্ত্র ‘সিটিয়াস, ‘অল্টিয়াস, ফর্টিয়াস’— ল্যাটিন এই শব্দগুলির মানে ‘ফাস্টার, হাইয়ার, স্ট্রংগার’। অলিম্পিক গেমসের গুরুত্বপূর্ণ আপ্তবাক্যটি হল, জয়ী হওয়া নয়, গেমসে অংশ নেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ; যেমন জীবনে জয়টাই বড় নয়, সংঘর্ষটাই আসল। আধুনিক অলিম্পিকের জনক ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরতঁ -এর ভাষায় বিজয়ী হওয়াই আসল নয়, জোরদার লড়াইটাই বড় কথা।
মশাল: অলিম্পিক শুরু হওয়ার বেশ কয়েক মাস আগেই প্রাচীন গ্রিসের প্রথা মেনে অলিম্পিয়ায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে মশাল জ্বালানো হয়— ‘অলিম্পিক ফ্লেম’। অধিবৃত্তাকার একটি আয়নায় সুর্যকিরণ দিয়ে প্রজ্জ্বলিত করা হয় এই মশাল। গ্রিক পুরোহিতবেশী এক মহিলা সেটা দিয়ে প্রথম মশালবাহীর মশাল জ্বালান। এই ভাবেই শুরু হয় অলিম্পিকের মশাল যাত্রা। এর পর বিভিন্ন মশালবাহীর হাতঘুরে আয়োজক দেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছয় মশালটি। প্রতীক চিহ্ন হিসেবে ‘অলিম্পিক ফ্লেম’ ১৯২৮ সাল থেকে থাকলেও মশাল যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৬ সালে। জার্মান সরকার ন্যাশনাল সোস্যালিস্ট পার্টির মতাদর্শ প্রচার করতে সর্বপ্রথম এই মশাল যাত্রা শুরু করে ওই সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে।
অ্যান্থেম: অলিম্পিকের পতাকা তোলার সময় অলিম্পিকের সঙ্গীত বা অ্যান্থেম বাজানো হয়। গ্রিক কবি ও লেখক কসটিস পালামাস-এর লেখা একটি কবিতায় সুর দিয়ে অলিম্পিক সঙ্গীত সৃষ্টি করেন স্পাইরিডন সামারাস। এই অ্যান্থেমের সুরকার ও গীতিকার দু’জনেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রথম প্রেসিডেন্ট দিমিত্রিয়াস ভিকেলাস-এর নির্বাচন। এই সঙ্গীত সর্বপ্রথম পরিবেশিত হয়েছিল ১৮৯৬ এর আথেন্স অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কিন্তু অলিম্পিকের সঙ্গীত হিসেবে আইওসি-র সরকারি স্বীকৃতি মেলে ১৯৫৭ সালে। এর পরবর্তী বছরগুলিতে প্রত্যেক আয়োজক দেশকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল নিজেদের মতো অলিম্পিক সঙ্গীত তৈরির। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক পর্যন্ত এই প্রথাই ছিল।