প্রবীণ নেতা মহম্মদ আজম খানের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ফের বিতর্কে জড়ালেন অখিলেশ যাদব। এ বারও চাপের মুখে পড়ে পিছু হটলেন তিনি। আজম খানের হাত থেকে মেরঠ জেলার দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ায় দলে গোলমাল শুরু হয়েছিল। সেই দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে আজমকে।
বিধায়কদের গাড়ি কেনার টাকা দিয়ে আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অখিলেশ। তখনও চাপের মুখে পিছু হটেছিলেন তিনি। রাজ্য মন্ত্রিসভায় মেরঠ, গাজিয়াবাদ ও মুজফ্ফরনগর জেলার উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন আজম। গত কাল মেরঠের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রতিমন্ত্রী শাহিদ মনজুরের সঙ্গে আজমের মত বিরোধের ফলেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। মনজুর মেরঠ জেলার কিথোর কেন্দ্রের বিধায়ক।
এর পরেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন আজম। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। মেরঠের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করতে না পারলে অন্য কোনও জেলার দায়িত্ব নেওয়াও তাঁর পক্ষে ঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজম প্রকাশ্যেই বলেছেন, তাঁকে মেরঠের দায়িত্ব থেকে সরানো ঠিক হয়নি। অখিলেশকে চিঠি লেখার কথাও অস্বীকার করেননি তিনি। তবে তাঁর দাবি, তিনি মোটেও ইস্তফা দিতে চাননি। রাজ্য সরকারকে দুর্বল করে তিনি কিছু করতে চান না। অখিলেশ নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে আজমের কোনও মতবিরোধ নেই। সংবাদমাধ্যম অযথা বিষয়টি নিয়ে হইচই করছে।
দলের সঙ্গে আজম খানের মতবিরোধ নতুন নয়। ২০০৯ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দলে ফিরে আসেন সমাজবাদী পার্টির এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক সমাজবাদী পার্টির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। দলের মুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আজম। তবে অখিলেশের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তিনি বিশেষ খুশি হননি বলে দলীয় সূত্রে খবর। |