বাঁধের রাস্তা সংস্কার নিয়ে হাওড়া জেলা পরিষদ এবং সেচ দফতরের চাপানউতোর চলায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
দু’পক্ষেরই এই এক বক্তব্য। দুই দফতরের এই ঠেলাঠেলিতে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে গাদিয়াড়া ফেরিঘাটের কাছে রূপনারায়ণের বাঁধের উপর প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা। শিসবেড়িয়া সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দে বলেন, “রাস্তাটি জেলা পরিষদের মেরামত করার কথা। ওরা তা না করলে আমরা সংস্কারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করব।” আর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বাঁধের রাস্তাটি সেচ দফতরকে মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। ওরা তা না করলে আমরা করব।” |
শ্যামপুর-১ ব্লকের গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত বাঁধের রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। বড় বড় গর্তে ভরে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অবস্থা করুণ হয়ে যায়। অথচ ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন এলাকার লোক। এ দিকে, পর্যটনকেন্দ্র গাদিয়াড়ায় রয়েছে বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজ, দোকানপাট। ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। সেই সময়ে যাতায়াতে আরও সমস্যা হয়। স্থানীয় ফেরিঘাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “গাদিয়াড়া পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে ঘটা করে প্রচার চললেও এখানে আসার রাস্তাঘাটই তো খারাপ! রূপনারায়ণের পাড় ধসছে। নদীর ধারে বসার জায়গা নেই। যেখানে-সেখানে আবর্জনা পড়ে রয়েছে। পর্যটকেরা আর এখানে আসবেন কী করে!” রূপনারায়ণের বাঁধের রাস্তাটি খুবই সঙ্কীর্ণ। তার উপর খানাখন্দ। তার উপর দিয়েই চলে সাইকেল, রিকশা, অটো, ছোট গাড়ি, মোটরবাইক। দুর্ঘটনাও লেগেই থাকে। স্থানীয় বানেশ্বরপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু অধিকারী বলেন, “গাদিয়াড়া লঞ্চঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি শেষ কবে সংস্কার হয়েছিল, মনে পড়ে না। রাস্তাটি ভেঙেচুরে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। ভাঙাচোরা রূপনারায়ণ বাঁধের ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষ ছাড়াও পর্যটক এবং নিত্যযাত্রীদের লঞ্চঘাটে যেতে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি অবিলম্বে সেচ দফতরের মেরামত করা উচিত।” |