এক ঝলকে...
পৃথিবী
ট্রেমস (সিরিয়া) সিম রিপ ইসলামাবাদ ওয়াশিংটন কাবুল
• সিরিয়ার সংকট কেবল অব্যাহত নয়, ক্রমশই আরও রক্তাক্ত। গত সপ্তাহে ট্রেমসে গ্রামে নির্মম পুলিশতাণ্ডবে এক দিনেই ২০০-র বেশি মানুষ নিহত। এত কালের মধ্যে এটাই সিরিয়ার সর্বাধিক রক্তক্ষয়ী দিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের অবজার্ভার কমিটি এখন সেই গ্রামে ঢুকে তদন্তের চেষ্টায়, কিন্তু সরকারি বেড়া পেরিয়ে তা করা প্রায় অসম্ভব। রাষ্ট্রপুঞ্জের সিরিয়া মিশনের কর্তা কোফি আন্নান বলেছেন তিনি মর্মাহত। কিন্তু তিনি, বা তাঁর প্রতিষ্ঠান জানে না পরবর্তী করণীয় কী। প্রসঙ্গত সিরিয়াকে দেওয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের ম্যান্ডেট শেষ হচ্ছে ২০ জুলাই।
• পাকিস্তানের শাসক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা শুরু না করলে যদি তাদের এ বারের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফকেও সুপ্রিম কোর্ট সরিয়ে দেয়, তা হলে তারা কেয়ারটেকার সরকার হিসেবে প্রশাসন চালাতে রাজি নয়। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের সময় আসতে এখনও মাস-ছয়েক।
• মিট রমনি বেন ক্যাপিটাল নামে এক কোম্পানির সঙ্গে অনৈতিক পথে জড়িত। প্রেসিডেন্ট ওবামার এই অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি। তিনি বলেছেন, তাঁকে হয় মিথ্যেবাদী, নয়তো অপরাধী বলেছেন ওবামা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাজনীতির তিক্ততা তাই এখন তুঙ্গে।
• উত্তর আফগানিস্তানে মাজার-এ-শরিফ’এ এক বিবাহ-অনুষ্ঠানে আবার আত্মঘাতী জঙ্গি হানা। ২২ জন নিহত।
• পঞ্চাশ বছর ধরে মায়ানমারের সামরিক সরকার দুনিয়ার কাছে দেশের দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। দরজা ক্রমে খুলছে। প্রেসিডেন্ট থিন সিন সম্প্রতি হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে কাম্বোডিয়ার সিম রিপ-এ বৈঠক করে মার্কিন বিনিয়োগ টেনে আনতে চাইলেন। অর্থাৎ বার্তা দিতে চাইলেন, সামরিক সরকার এখনও আছে ঠিকই, কিন্তু তারা গণতন্ত্র ও মুক্ত দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই।
কায়রো
মিশরের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সির (ছবি) সময়টা যে মোটেই সুখে স্বস্তিতে কাটবে না, সেটা জানাই ছিল। তবে কি না, এত তাড়াতাড়ি যে তাঁর সংকটকাল এসে যাবে, সেটা জানা ছিল না। দেখা যাচ্ছে সে দেশের সামরিক প্রশাসন থেকে শুরু করে জাতীয় সংবাদমাধ্যম, সকলেই এক দিকে, মুর্সিই একা। সম্প্রতি পার্লামেন্ট বৈঠক আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুর্সির সঙ্গে সামরিক জেনারেলদের মধ্যে মতবিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হলে জাতীয় সংবাদপত্রগুলি সামরিক বাহিনীর মতটুকুই প্রকাশ করে, সরকারের বক্তব্য প্রকাশিত হয় না। নাগরিকদের মধ্যে ফিসফাস: আসল ক্ষমতা কার হাতে, বোঝাই যাচ্ছে তা হলে।
তেহরান
ইরানের লৌহকঠিন শাসনের অন্যতম প্রধান ধারক ও বাহক হল রেভোলিউশনারি গার্ডস, অর্থাৎ তার সুপ্রশিক্ষিত বিশেষ সামরিক বাহিনী। তার সাহায্যেই সর্বময় ক্ষমতাসম্পন্ন ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই (ছবি) তাঁর ক্ষমতা জারি রাখেন। এই রেভোলিউশনারি গার্ডস-এর অন্যতম জেনারেল তীব্র অভিযোগ তুলেছেন খামেনেই ও ইরান সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, খামেনেই যতই বড় ধর্মীয় নেতা হোন না কেন, তাঁর হাত রক্তাক্ত। বলেছেন, তেহরানের পরমাণু-শক্তি অসামরিক লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে এ কথা সর্বৈব মিথ্যা। এও বলেছেন তিনি, নাম গোপন রাখার চেষ্টা সত্ত্বেও যে কোনও মুহূর্তে তাঁর প্রাণ যেতে পারে এ কথা বলার জন্য।
লন্ডন, ক্যানবেরা
প্রিন্স উইলিয়াম আর তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন (ছবি) কোথায় হানিমুনে যাবেন, হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সেই খবরটি চেপে রাখতে পারেনি ব্রিটিশ প্রশাসন। কিন্তু, নরমে-গরমে মিডিয়াকে রাজি করানো হয়েছিল, সেই হানিমুনের ছবি কোথাও প্রকাশিত হবে না। এক বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার একটি ম্যাগাজিন ছাপিয়ে দিল সেই মধুচন্দ্রিমার ১৬টি ছবি। স্বল্পবাস কেট, অনাবৃত ঊর্ধ্বদেহ উইলিয়াম সৈকতে আনন্দে মেতে আছেন। প্রশ্ন উঠেছে, ছবিগুলো যে ভাবে তোলা, তাতে সেটা কি এই যুগলের অজ্ঞাতে হওয়া সম্ভব? তাঁরা কি জানতেন যে ছবি উঠছে? প্রশ্ন আরও ব্রিটিশ রাজ-পরিবারের সঙ্গে পাপারাত্জির সম্পর্ক তো অনেক কালের, তবু কেন এখনও নিজের গোপনীয়তা রক্ষার এই করুণ হাল ব্রিটিশ প্রশাসনের?
শামোনি (ফ্রান্স)
আল্পস পর্বতমালায় আবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বরফাবৃত পাহাড়ে ধস নামায় মঁ ব্লাঁ-র কাছে তিন জন ব্রিটিশ, দুই জন সুইস, দুই জন জার্মান এবং দুই স্পেনীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু ঘটেছে। ফ্রান্স ও সুইটজারল্যান্ড সীমান্তের কাছে ফরাসি গ্রাম শামোনির কাছে মঁ মদি’তে ঘটল দুর্ঘটনা। প্রসঙ্গত, এই শৃঙ্গটির স্থানীয় নাম “কার্সড মাউন্টেন” অভিশপ্ত পর্বত।
শেষ পাত
দিলীপকুমারের পাকিস্তানি ভক্তদের বোধহয় তীর্থদর্শনের সৌভাগ্য হল না। ইউসুফ খানের জন্ম পেশোয়ারে, ১৯২২-এ। বারো বছর বয়সে সপরিবার মুম্বই চলে আসেন তিনি। তার পর এক সময় নতুন নাম হয়, দিলীপকুমার মহানায়ক হন। ইতিমধ্যে দেশ ভাগ হয়ে গেছে, কিন্তু নায়ক-নায়িকাদের আকর্ষণ কি সীমানা মানে? পাক সরকার চেয়েছিল, পেশোয়ারে তাঁর আদি বাড়িটি ‘সংরক্ষণ’ করবে। কিন্তু সে বাড়ির নানান দাবিদার, ফলে আইনের বাধায় প্রস্তাবটি বিশ বাঁও জলে। আরও দুই ভারতীয় নায়কের ভিটেও পেশোয়ারে। রাজ কপূর এবং শাহরুখ খান। নাঃ, সেগুলিও সরকারি নাগালের বাইরে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.