বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিতর্ক চলছিল অনেক দিন ধরেই। তারই জেরে সোমবার কৃষ্ণনগরের নতুন পল্লি যোগীপাড়া লেনে লোকজন নিয়ে গিয়ে ভাড়াটের ঘর থেকে জিনিসপত্র জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক পার্থসারথি সাহার বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় অভিযোগ হওয়ার পরে পুলিশ পার্থবাবুর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। পার্থবাবু পলাতক।
এই দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভাড়াটে গৌতম তরফদারের ঘর থেকে খাট আলমারি সহ সব কিছুই বার করে দেওয়া হয়েছে। গৌতমবাবুর মেয়ে আর এক বছরের মধ্যে এসএশসি পরীক্ষা দেবে। ঘরের ভিতর থেকে ছুড়ে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে তার বই খাতা। পাশাপাশি, তার কম্পিউটারও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গৌতমবাবূুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গৌতমবাবু বলেন, “ওরা বাইরের লোক নিয়ে এসে ঘরের ভিতরে রীতিমতো তাণ্ডব করেছে। ঘরের সব জিনিস বাইরে ফেলে দিয়েছে। |
কিন্তু আমার মেয়ের যে ক্ষতি করে দিল, তা পূরণ হবে কী করে?” ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে এই বাড়ি ভাড়া নেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী গৌতমবাবু। তাঁর আসল বাড়ি বাদকুল্লা। মেয়ে কৃষ্ণনগরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। তার পড়াশোনার সুবিধার জন্যই কৃষ্ণনগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন গৌতমবাবুরা। তিনি বলেন, “ভাড়া বাকি নেই। ভাড়া বাড়াতে বললে আমি বাড়িয়েছি। তবু আমাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বারবার বলেছিলাম, মেয়ের পরীক্ষা পর্যন্ত থাকতে দিতে। দু’মাস আমাদের জল বন্ধ করে দিয়েছেন। মহকুমাশাসকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পুরপ্রধানও জানেন।” পাথর্বাবু পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ফোনে বলেন, “মুখের কথাতেই ভাড়া দিয়েছিলাম। এখন বারবার ঘর ছেড়ে দিতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা তা শোনেননি। বাধ্য হয়েই এমন কাজ করতে হয়েছে। তবে মেয়েটির বইখাতা নষ্ট হওয়ার কথা শুনে খুবই কষ্ট হচ্ছে।” পুরপ্রধান কংগ্রেসের অসীম সাহা বলেন, “দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ছাত্রীটির এই ভাবে ক্ষতি হয়ে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।” মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুু মাজীর কথায়, “যা ঘটেছে তা শুধু অন্যায় নয়, অমানবিক। ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |