ভারতে বাড়ছে বোতলবন্দি জলপানের অভ্যাস |
বদলাচ্ছে জীবনযাপনের পথ। বাড়ছে খরচের ক্ষমতা। আর নিমেষে হাতে এসে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সম্ভার। আর এর নিট ফল হিসেবেই ভারতে দ্রুত বাড়ছে বোতলবন্দি পরিশোধিত জল খাওয়ার অভ্যাস। জানিয়েছে দেশের অগ্রণী বিপণন সংস্থা আইকন-এর এক সমীক্ষা। তাদের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশে গত ২০১০-১১ অর্থবর্ষে যেখানে বোতলবন্দি জল খাওয়ার মাথা পিছু পরিমাণ ছিল ১৬.২০ লিটার, সেখানে ২০১১-১২ অর্থবর্ষে তা এক লাফে প্রায় ২১% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.২০ লিটারে। তবে এই হার আন্তর্জাতিক গড় হারের তুলনায় এখনও বেশ কয়েক যোজন পেছনে। ‘দ্য ইন্ডিয়ান বটল্ড ওয়াটার মার্কেট, আনভেইলিং ইটস থার্সট’ নামের ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় মাথা পিছু বোতলবন্দি জলপানের গড় হার প্রায় ৩০ লিটার। এবং ভারতের পক্ষে ওই হার অর্জন করার সম্ভব আগামী ২০২০ সাল নাগাদ। ততদিনে অবশ্য আন্তর্জাতিক গড় হারও বেড়ে প্রায় ৪০ লিটার ছুঁয়ে ফেলবে বলে জানিয়েছেন আইকন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুখ্য উপদেষ্টা আজাজ মোতিওয়ালা। মোতিওয়ালা জানান, সারা বিশ্বে বোতলবন্দি জল খাওয়ার মাথা পিছু হার সর্বোচ্চ মেক্সিকোতে (প্রায় ২৫০ লিটার)। এর পরেই রয়েছে ইতালি (প্রায় ১৯০ লিটার)। কাজেই এই মুহূর্তে এশিয়ার দেশ হিসেবে এদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে শুধু তাইল্যান্ড (১১৫ লিটার)এবং চিন ও হংকং (৯৫ লিটার)। আর এ ক্ষেত্রে গোটা এশিয়ার প্রথম ২০টির সেরা এই দেশগুলিই। একই সঙ্গে অবশ্য মোতিওয়ালা এটাও জানিয়েছেন যে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে ভারতে। সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতে সব থেকে বেশি বিক্রি হয় বোতলবন্দি জল। যা ভারতের মোট বাজারের ৫০ শতাংশেরও বেশি। আর তার পরেই রয়েছে পশ্চিম ভারত। জাতীয় স্তরে এই পণ্যের বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের আঁতুড়ঘর যেখানে।
|
দু’টি ইস্পাত কারখানা রাজ্যে গড়ছে মহালক্ষ্মী |
রাজ্যে ইস্পাত শিল্পে ৩০০ কোটি টাকা লগ্নি করতে চলেছে মহালক্ষ্মী গোষ্ঠী। আসানসোল ও হাওড়ায় দু’টি নয়া কারখানা গড়ছে সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যকেই লগ্নির ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নেওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার উল্টো পথে হেঁটে মূলত ঝাড়খণ্ডের ওই শিল্প গোষ্ঠী নতুন লগ্নি করতে চলেছে এই রাজ্যে। হাওড়ায় একটি রোলিং মিল এবং আসানসোলে স্টেনলেস স্টিল কারখানা গড়বে তারা। কেন পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নিলেন? মহালক্ষ্মী গোষ্ঠীর এমডি গোপাল অগ্রবাল বলেন, “বিশেষ করে স্টেনলেস স্টিল তৈরির জন্য কাঁচামাল-সহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়ার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তা ছাড়া জমি নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই। আসানসোলের কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় ১১ একর জমি আমরা নিজেরাই কিনেছি। আশা করি, রাজ্যের সহযোগিতা পাব।” হাওড়ার কারখানায় তৈরি হবে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত টিএমটি বার। ওই কারখানায় বছরে ১ লক্ষ টন টিএমটি বার তৈরি হবে বলে জানান অগ্রবাল। তাঁর দাবি, “কারখানা চালু হওয়ার পর প্রথম বছরে আয় হবে ২০০ কোটি টাকা। সাত বছরের মধ্যে তা দাঁড়াবে ৭০০ কোটি।” নতুন ওই কারখানায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে প্রায় ৫০০ কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি তাঁর। আর আসানসোল কারখানায় বছরে ৩০ হাজার টন স্টেনসেল স্টিল তৈরি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। দু’টি কারখানাই শীঘ্র চালু হবে দাবি তাদের।
|
টাটা গোষ্ঠীর দু’টি সংস্থার ক্রেডিং রেটিং-এ পরিবর্তন করল মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি)। এক দিকে, টাটা মোটরসের সম্পর্কে তাদের পূর্বাভাস বদলে ইতিবাচক বলে ঘোষণা করেছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। পাশাপাশি, সংস্থার রেটিং-ও এক ধাপ বাড়িয়ে ‘বিবি-’ থেকে ‘বিবি’ করেছে তারা। দেশের বাজারে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রিতে ভাল ফল ও ব্রিটেনে তাদের শাখা সংস্থা জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভারের ব্যবসা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে, টাটা পাওয়ারের পূর্বভাস স্থিতিশীল থেকে বদলে নেতিবাচক করেছে এসঅ্যান্ডপি। তাদের দাবি, মুন্দ্রায় সংস্থার ৪,০০০ মেগাওয়াটের বৃহৎ বিদ্যুৎ ক্ষেত্র নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আগামী ৬-৯ মাস মুলধন জোগাড়েও সমস্যা হতে পারে। তাই রেটিং কমানো হল।
|
বিদেশি পর্যটক নিয়ে উদ্যোগী রেল ও পর্যটন |
বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিতে হাত মেলাল রেল ও পর্যটন মন্ত্রক। সম্প্রতি একটি মউ স্বাক্ষর করেছে দুই মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী সুবোধকান্ত সহায় জানিয়েছেন, “দুই মন্ত্রক এ বার যৌথ ভাবে ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ প্রচারাভিযানে নামবে।” পর্যটন মন্ত্রক সম্প্রতি দেশের পঁচিশটি স্টেশনকে চিহ্নিত করেছে। সেগুলি বিদেশি পর্যটকেরা বেশি ব্যবহার করেন। ওই স্টেশনগুলির পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রক। পাশাপাশি পর্যটন মন্ত্রক রেলমন্ত্রীকে আরও বেশি সংখ্যায় ‘ট্যুরিস্ট ট্রেন’ দেওয়ার অনুরোধ করেছে।
|
ভোডাফোনের আর্জি খারিজ করল অর্থ মন্ত্রক। এ নিয়ে আন্তঃ-মন্ত্রক কমিটির উত্তরও প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। ভোডাফোনের দাবি ছিল, ভারত ও নেদারল্যান্ডসের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে হাচিসন হাতে নেওয়ার জন্য কর দিতে বাধ্য করা যাবে না তাদের। সে জন্য লিখিত আশ্বাস চেয়েছিল তারা।
|
অ্যাপলের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে মামলা জিতল স্যামসাং। তাদের বিরুদ্ধে আনা অ্যাপলের পণ্য নকলের অভিযোগ খারিজ করে আই প্যাড ও গ্যালাক্সি ট্যাব ১০.১-এর মধ্যে নকশাগত মিল নেই বলেই রায় দিয়েছে আদালত। |