ডাকাতিতে বাধা দিয়ে দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হলেন এক বেসরকারি স্কুলের আঁকার শিক্ষক। গুলি চালানোয় অভিযুক্ত ডাকাতকে পিটিয়ে মারল জনতা। রবিবার রাতে বোলপুরের প্রফেসর্স কলোনির ঘটনা।
নিহত শিক্ষকের নাম সোমনাথ কর্মকার (২৭)। গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত নব বিশ্বাস (৩৫) বোলপুরেরই বাসিন্দা। বীরভূম জেলা পুলিশের দাবি, নব পুরনো দুষ্কৃতী। একাধিক মামলায় গ্রেফতারও হয়েছে। দোকান করে দিয়ে তাকে মূল স্রেতে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ঘটনায় জড়িত অন্য দুই ডাকাতের খোঁজ শুরু হয়েছে। দু’টি ঘটনারই তদন্ত করছি।” স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমনাথের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার চুঁয়াতোড় গ্রামে। তিনি সম্প্রতি চাকরি পান মুর্শিদাবাদের বড়ঞার একটি বেসরকারি স্কুলে। যাঁর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে, বিশ্বভারতীর কলাভাবনের সেই প্রাক্তন ছাত্র দীপঙ্কর হালদারের আঁকার স্কুলেও সোমনাথ কাজ করছিলেন কয়েক বছর ধরে। সেই সূত্রেই প্রতি শনি ও রবিবার সোমনাথ ওই বাড়ির নীচের একটি ঘরে থাকতেন। |
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হালদার বাড়িতে তিন ডাকাত চড়াও হয়। সোমনাথের ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেয়। দীপঙ্করবাবুর দাদা পার্থ হালদারকেও পিছমোড়া করে দুষ্কৃতীরা বেঁধে ফেলে। দীপঙ্করবাবুর দিদি কৃষ্ণা দেব বলেন, “ওই তিন ডাকাত বন্দুক উঁচিয়ে টাকা আর সোনাদানা বের করে দিতে বলে। চিৎকার করার চেষ্টা করতেই এক জন বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার মাথায় মারে।” বাড়ির লোকেরা জানান, এক বন্দুকধারী দুষ্কৃতী কৃষ্ণাদেবীর মেয়ে চুমকির হাত থেকে আংটি ছিনিয়ে নিতে গেলে তিনি কোনও ভাবে সেই বন্দুক ডাকাতের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। সেই সুযোগে বাড়ির লোকেরা ওই ডাকাতদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। কৃষ্ণাদেবী বাড়ির বাইরে গিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা খুলে পার্থবাবু ও সোমনাথকে উদ্ধার করেন। সোমনাথরা উপরে ছুটে যান।
কৃষ্ণাদেবীর কথায়, “আলমারি ভেঙে টাকা নিয়ে দুই ডাকাত পালায়। সোমনাথ এক জনকে ধরে ফেলে। ওই ডাকাতই সোমনাথের পেটে গুলি করে।” খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে জনতা নব বিশ্বাসকে ধরে পিটিয়ে মেরেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সোমনাথের। |