টুকরো খবর
সমুদ্র-সহযোগিতায় বৈঠক দিল্লি-ঢাকার
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ সেনাপ্রধান
জহিরুদ্দিন আহমেদ। সোমবার নয়াদিল্লিতে। নিজস্ব চিত্র
বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রপথে সহযোগিতা বাড়াতে আজ সে দেশের নৌ সেনাপ্রধান জহিরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে সংবর্ধনাও জানালেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, জহিরুদ্দিনের এই সফর ছিল মূলত সৌজন্যমূলক। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিয়েও সেখানে প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়। অ্যান্টনি ছাড়াও আজ জহিরুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগীয় প্রধান। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৌশলগত, বাণিজ্যিক উভয়ক্ষেত্রেই ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিলম্বের ছায়া যাতে সম্পর্কে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায় ভারত। একই সঙ্গে সমুদ্র সহযোগিতার প্রশ্নেও ঢাকাকে পাশে চাইছে নয়াদিল্লি। চট্টগ্রাম বন্দরে সম্প্রতি বেজিং নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিন-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাল পরিবহণ ক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন। শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রেই নিজেদের নৌ সেনাবাহিনীর প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন। সমুদ্রপথে চিনের এই আধিপত্য খর্ব করার জন্য সম্প্রতি ভারতও সক্রিয় হয়েছে। আর তাই পৃথক ভাবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে আরও মজবুত করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বই দরকার ভারতের, মত রতন টাটার
অর্থনৈতিক ভাবে চিনের শক্তিশালী হয়ে ওঠার মধ্যে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানালেন রতন টাটা। বরং তাঁর মতে চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পথ খোঁজা উচিত ভারতের। টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বলেন, “আমি শক্তিশালী বন্ধু হিসেবে চিনকে চাই। চিনের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়তে চাই। আমার মনে হয় এটা হবে।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন ভারতের সঙ্গে চিন কখনওই খারাপ কিছু করেনি। আমার মতে অর্থনৈতিক ভাবে চিন শক্তিশালী হওয়ার জন্যই ভারত দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তবে আমি সে রকম কিছু দেখছি না।” দু’দেশের ‘জটিল’ সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে রতন টাটা বলেন, “আমার মনে হয়, ভারতের চিন্তার বিষয় হল, চিনের এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা। আর চিনের দুশ্চিন্তার কারণ, ভারতও সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে।” পরে টাটা আরও জানান, চিন পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ-সহ নানা বিষয়ে সাহায্য করছে। এই ভাবেই ভারতকে উস্কানো হচ্ছে।

পাক সেনা শিবিরে জঙ্গি হানা, নিহত ৭
অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের আক্রমণে ৬ পাক সেনা এবং ১ পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন। আজ ভোরবেলায় পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পাক সেনা সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে ওই অঞ্চলে একটি সেনা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। মারা যান কপ্টারের চালক। তাঁর দেহের খোঁজেই দুর্ঘটনাস্থলের কাছে চন্দ্রভাগা নদীর ধারে ঘাঁটি গেড়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এ দিন ভোরে গাড়ি ও মোটরবাইকে করে বেশ কয়েক জন বন্দুকধারী সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়ে। সেনারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৭ জন। আরও পাঁচ জওয়ান গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ন্যাটোর রসদ সরবরাহের জন্য পাকিস্তানের ভিতর দিয়ে আফগানিস্তানে যাতায়াতের রাস্তা ফের খুলে দেওয়ায় ওই অঞ্চলে কট্টরপন্থীরা প্রবল জনমত গড়ে তুলেছে। এখনও কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

পাক রেস্তোরাঁয় হামলা হত ১৮
রাস্তার ধারের এক রেস্তোরাঁয় এক দল বাইকআরোহীর এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হলেন ১৮ পাক নাগরিক। গুরুতর জখম আরও ২ জন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ দক্ষিণ পশ্চিম পাকিস্তানের বালুচিস্তানে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তালিবান নেতা হাফিজ গুল বাহাদুরের দলের লোকেরাই বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে আসে। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। ন্যাটো সেনাদের উপর প্রায়শই আক্রমণ চালানোর একাধিক অভিযোগ আছে হাফিজের নামে। তবে শোনা গিয়েছে নিহতদের একাংশ চোরাপাচারের কাজে যুক্ত ছিলেন। চোরাপাচারের কাজে তাঁদের বালুচিস্তান দিয়ে ইরান হয়ে ইউরোপ চলে যাওয়ার কথা ছিল।

লন্ডনে জঙ্গি সন্দেহে মহিলা ধৃত
জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে এক মহিলাকে ধরেছে পুলিশ। সম্প্রতি অলিম্পিক স্টেডিয়ামের কাছে লোকালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ জন সন্দেহভাজনকে। ব্রিটেনের রাজধানীতে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের সঙ্গে আজকের গ্রেফতারির সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। স্কটল্যান্ড ইয়াড জানিয়েছে, জঙ্গি-যোগের অভিযোগে ধরা হয়েছে ওই মহিলাকে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.