বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুল অস্ত্রোপচার, মৃত্যু প্রসূতির |
হাসপাতালে আচমকা বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আপৎকালীন ব্যবস্থাও চালু হয়নি। আর তার জেরেই অস্ত্রোপচারে ‘ভুল’ হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেলেন বছর কুড়ির এক প্রসূতি। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঠানের একটি হাসপাতালে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রসবকক্ষ অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় মোমবাতির আলোয় উন্নতি গুরভ নামে ওই যুবতীর সন্তান প্রসব করাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অল্প আলোয় অস্ত্রোপচারের ফলেই বিপত্তি ঘটে।উন্নতির বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁর যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল। প্রসবকালে ভুল অস্ত্রোপচারে জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। পরে চিকিৎসকেরা দাবি করেন, তাঁদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। এর পর উন্নতিকে আরও তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, যে চিকিৎসক উন্নতির প্রসবের সময় ছিলেন, তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। ঠানের ওই হাসপাতালের দাবি, লোডশেডিংয়ের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর ছিল। কিন্তু কেরোসিন চুরি যাওয়ায় সেটি চালানো সম্ভব হয়নি।
|
হাসপাতালের পরিকাঠামো বলতে কিছুই নেই। ব্লাড ব্যাঙ্ক নেই। নেই চিকিৎসার আধুনিক সরঞ্জামও। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক তারিক আনোয়ারের উদ্যোগে বুধবার ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় বছর সত্তরের জুবেদা বিবির চোখে। চিকিৎসক তারিক বলেন, “মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এ ধরণের অপারেশন হয়। তবে ডোমকলের এই হাসপাতালে এই সুবিধা নেই। অস্ত্রোপচারে খানিকটা ঝুঁকি তো ছিলই।”
|
রাস্তার পাশে পড়েছিলেন বিজয় কুমার নামে উত্তরপ্রদেশের পানিপথের এই যুবক। পেটের যন্ত্রনায় ছটফট করতে দেখে দিন কয়েক পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, এখন ভাল আছেন বিজয়।
|
বুধবার দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ও মেদিনীপুর থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি-র সহযোগিতায় আয়োজিত হল থ্যালাসেমিক-বাহক নির্ণয়-শিবির ও সচেতনতামূলক আলোচনাসভা। ভগবানপুরের বিভীষণপুর হাইস্কুলে আয়োজিত এই শিবিরে রক্ত পরীক্ষা করায় স্কুলের ৩০০ ছাত্রী। ছিলেন প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লাবনী জানা, হরিপদ দে প্রমুখ। |