ন্যূনতম দর-সহ বেশ কিছু বিষয় বাদ রেখেই টুজি স্পেকট্রাম নিলামের নির্দেশিকা প্রকাশ করল টেলি যোগাযোগ দফতর (ডট)। বুধবার সন্ধ্যায় ডটের ওয়েবসাইটে তা জানানো হয়। তবে ওই নির্দেশিকা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে টেলিকম শিল্পমহল। তাদের দাবি, ডট আগে যা বলেছিল তাই এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। নতুনত্ব কিছু নেই। বরং ন্যূনতম দর-সহ অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সি ও এ আই)-র ডিজি রাজন এস ম্যাথুজের অভিযোগ, এ রকম নির্দেশিকা অর্থহীন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশের ২২টি সার্কেলে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল। যেগুলির ফের নিলাম করা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে বহু দিন ধরেই। ৩১ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রকে ওই নিলাম সম্পন্ন করতে হবে। এ বার সব স্পেকট্রাম বরাদ্দ হবে ২০ বছরের জন্য। ১৮০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম মূলত জিএসএম অপারেটররা ব্যবহার করে। ডট জানিয়েছে, এর ১৩.৭৫ মেগাহার্ৎজ সর্বাধিক ১১টি ব্লকে ভাগ করে নিলাম হবে। ২০০৮-এর আগে বাজারে আসা পুরনো সংস্থাগুলি নিলাম মারফত এর মধ্যে সর্বাধিক ১.২৫ মেগাহার্ৎজ-এর দু’টি করে ব্লক নিতে পারবে। নতুনরা কমপক্ষে ৪টি ব্লকের জন্য অংশ নিতে পারবে। বাড়তি একটি ব্লকের জন্যও নিলামে যোগ দেওয়া যাবে। আর ৮০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে ১.২৫ মেগাহার্ৎজ-এর তিনটি ব্লক ও দরকারে ১.২৫ মেগাহার্ৎজ-এর বাড়তি একটি ব্লক নিলাম হবে। পুরনোরা একটি ও নতুনরা ন্যূনতম দুটি ব্লক-এ অংশ নেবে। ম্যাথুজ বলেন, “ডটের হাতে থাকা প্রায় ৫০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের পুরোটাই নিলাম করা উচিত। এত অল্প বরাদ্দ করলে নিলাম খরচ বাড়বে। ক্ষতি হবে এই শিল্পের।”
|
বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থায় কোল ইন্ডিয়ার কয়লার ন্যূনতম সরবরাহ মাত্রা বা ‘ট্রিগার লেভেল’ চুক্তিতে উল্লিখিত ৮০% থেকে নামিয়ে ৬৫% করেছে কেন্দ্র। ফলে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কায় বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তারা। কিন্তু এরই মধ্যে সামান্য হলেও আশার আলো দেখা গিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে কয়লা উৎপাদন বাড়ার ইঙ্গিতে। অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে কোল ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সোয়ালের ইঙ্গিত, পুরো অর্থবর্ষে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও সংশোধিত হতে পারে। আর বাস্তবে উৎপাদন বাড়লে বিদ্যুৎ সংস্থায় কোল ইন্ডিয়ার সরবরাহ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগের বারের মতো বর্ষা বাদ না সাধলে এই অর্থবর্ষে কয়লার উৎপাদন ভাল হবে, আশা কোল ইন্ডিয়ার। বুধবার কলকাতায় সংস্থার সদর দফতরে জয়সোয়াল জানান, “অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে উৎপাদন আগের বারের থেকে ৬.৪% বেড়ে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১০,২৪,৬০,০০০ টন কয়লা। সরবরাহও বেড়েছে ৬.৩%।” গোটা অর্থবর্ষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ কোটি ৪১ লক্ষ টন। মন্ত্রী জানান, রেলের ওয়াগন পাওয়ার বিষয়টির উন্নতি হওয়ায় কয়লা সরবরাহ বেড়েছে। এ দিকে, এ মাসের মধ্যেই বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি (এফএসএ) সম্পন্ন হবে বলে মনে করছেন কয়লামন্ত্রী। তিনি জানান, প্রায় ৫০% সংস্থার সঙ্গেই চুক্তি হয়ে গিয়েছে। ৪৯টি নতুন বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে কোল ইন্ডিয়ার এফসএ স্বাক্ষর করার কথা। মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কয়লা আমদানি করতে আপত্তি নেই। এ নিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থা।
|
নিজেদের নীতি নির্ধারণে বর্ষার গতিবিধির উপর নজর রাখবে বলে জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তামিলনাড়ুতে আজ এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর সুবীর গোকর্ণ। তিনি বলেন, এখনও বর্ষা পুরোপুরি আসেনি। আবহবিদদের পূর্বাভাস, এ বছর বর্ষার ক্ষেত্রে জুলাইয়ের প্রথম দু’ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সে দিকে নজর রেখে চলবেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে নীতি নির্ধারণের সময় তা ও বিবেচনা করবে আরবিআই।
|
সাধারণ গৃহস্থকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে কম সুদ নেওয়ার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র। এই সুদে ১০০ বেসিস পয়েন্ট ছাড় বহাল থাকবে চলতি ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষের জন্য। তবে বাড়িটির দাম ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হবে না। এ জন্য সুদে ভর্তুকি খাতে সরকারকে গুনতে হবে ৪০০ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণে ভর্তুকির ঊর্ধ্বসীমা ১৪,৯১২ টাকা। ১০ লক্ষ টাকায় তা ৯,৯২৫ টাকা। বর্তমানে গৃহঋণে সুদ ১০.৫-১৩ শতাংশের মধ্যে।
|
নয়াচরে ১১৪২৭ একর জমিতে ইউনিভার্সিয়াল সাকসেস ৩টি প্রকল্প গড়ে তুলবে। সব ক্ষেত্রেই পরিবেশ ও বন দফতরের সায় পেতে হবে। বুধবার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় জানান, তারা বাম জমানায় জমি নিয়েছিল কেমিক্যাল হাব গড়বে বলে। ঠিক হয়েছে তারা নয়াচরে শিল্প তালুক, পর্যটন কেন্দ্র ও ১০০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়বে।
|
গত মার্চে শেষ হওয়া ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে কর দানের পর সিটি ইন্ডিয়ার নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৫%। দাঁড়িয়েছে ১,৯২২ কোটি টাকা। অন্য দিকে কর দানের আগে তাদের মুনাফা ৩৭% বেড়ে হয়েছে ৩,২৯৭ কোটি। মোট সম্পদের পরিমাণও ১৫% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৮,৪২৮ কোটি টাকায়। |