নিখোঁজ হওয়া এক তরুণীকে বিহারের জামুই এলাকা থেকে উদ্ধার করল কালনা পুলিশ। তাঁকে জোর করে বিয়ে করে আটকে রাখার অভিযোগে পিন্টু সিংহ নামে এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তরুণীর নাম রাজিয়া খাতুন। বাড়ি কালনা ১ ব্লকের বেণপুর পঞ্চায়েতের কপ্পুরডাঙা গ্রামে। বুধবার ওই তরুণী এবং ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে যাওয়ার নাম করে ২৭ এপ্রিল নিখোঁজ হয় রাজিয়া খাতুন। তাঁর বাবা আতিয়ার রহমান মণ্ডল কালনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। ১৬ মে কালনা থানায় তিনি মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফের একটি অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, বিহারের জামুই এলাকার দুই যুবক উৎপল সিংহ এবং বোলবোম সিংহ নামে দুই যুবক ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমে একটি মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারে এই ঘটনায় সুরাটের রাকেশ সিংহ ওরফে সেলিম শেখ নামে এক যুবক যুক্ত। ২৭ জুলাই কালনা পুলিশের একটি দল সুরাটে পৌছে রাকেশ সিংহকে গ্রেফতার করে। তাঁকে কালনায় আনা হলে পুলিশি জেরায় তিনি জানান ওই তরুণী জামুইয়ে পিন্টু সিংহের কাছে রয়েছে।
এই সূত্র ধরে পুলিশ জামুই থানার মেসিনমেরিন্ডা গ্রামে পৌছায়। সেখান থেকেই রাজিয়া খাতুনকে উদ্ধার করে ও পিন্টু সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রাজিয়া খাতুন জানিয়েছেন রনবীর সিংহ নামে এক যুবক তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে বর্ধমান স্টেশনে নিয়ে যায়। তারপর কোনওভাবে তাঁকে অজ্ঞাণ করে দেওয়া হয়। জ্ঞাণ ফিরলে রাজিয়া বুঝতে পারেন একটা ঘরে তাঁকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে রাকেশ ও রণবীর তাঁর উপরে অত্যাচার চালায় বলেও দাবি তাঁর। এরপরে জোর করে জামুই এলাকার পিন্টু সিংহের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। কালনা মহকুমার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বুধবার দু’জনতে আদালতে তোলা হবে। আদালতে তরুণীর গোপন জবানবন্দীও নেওয়া হবে। তারপরে আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করা হবে।”
পুলিশি হেফাজতে থাকায় রাজিয়ার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। কিন্তু রণবীরের সঙ্গে সে বর্ধমান স্টেশনে কেন গেল, আগে থেকেই তাঁদের পরিচয় ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। প্রশেন করা হলে ওই পুলিশ কর্তা বলেন, “ওই তরুণীকে মঙ্গলবার কালনায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” |