মুখ্যমন্ত্রীর ‘দ্বিচারিতার’ বিরুদ্ধে দুপুর থেকেই তিনি সরব। বিকেলে তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন না পেলে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। কিন্তু সন্ধ্যায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর ‘বিরোধিতা’ বদলে গেল অস্বস্তিতে।
শনিবার দুপুরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন অধীর। বহরমপুরে বের করা হয় প্রতিবাদ মিছিল। সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)। রাতে যা শুনে অধীরের প্রতিক্রিয়া, “সরকারি ভাবে জানি না, আদৌ অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে কি না। যদি সত্যিই পাওয়া গিয়ে থাকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।” তবে অধীরের দাবি, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ওই অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি আবেদন করেছিলেন। তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর (স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তিনিই) বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ? অধীরের জবাব, “এ ব্যাপারে ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি কোনও ভূমিকা থেকে থাকে, তবে ওঁর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।” রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আবার প্রমাণিত হল, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের স্বার্থে কতটা সচেষ্ট। এক বছরে এ রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে ৫৫০টি আসন বাড়ল। ১৩৫৫ আসন ছিল। তা এক বারে বেড়ে হয়ে গেল ১৯৫০। এটা একটা বিশাল প্রাপ্তি।”
রাজ্যে তিনটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বেশ কিছু দিন আগেই। গত বছর সাগর দত্ত ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র-ভর্তির অনুমোদন পেয়ে যায়। কিন্তু কর্মী-সংখ্যার অভাব, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না-থাকা, হস্টেল তৈরি না-হওয়ার মতো বেশ কিছু কারণে এমসিআই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালকে অনুমোদন দেয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতরের খবর। চলতি বছরে তিন বার এমসিআই প্রতিনিধিরা ওই কলেজ পরিদর্শনে করেন। গত ৭ জুন প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ সাহা দিল্লিতে এমসিআই-এর দফতরে মুচলেকা দিয়ে জানান, কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে। গত ১১ জুন এমসিআই প্রতিনিধিরা ফের পরিদর্শনে আসেন। তারই জেরে অনুমোদন মিলল বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। |