স্টেশনের ওয়েটিং রুমে থাকা এক কিশোরীকে পাশের বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল রামপুরহাটে। তার সঙ্গী আর এক কিশোরীরও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় এক জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন অটোচালকেরা। কিন্তু ঘটনাটি নিয়ে পুলিশেরই একাংশের ধন্দ রয়েছে। শনিবার দুই কিশোরীকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তারা ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজি হয়নি।
বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ধৃত মাতিন শেখ ভ্যানরিকশা চালায়। বাড়ি রামপুরহাট থানার বামনি গ্রামে। জেরায় সে আরও দু’জনের কথা জানিয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস বলেন, “কিশোরীরা ধৃতকে শনাক্ত করেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
পুলিশের কাছে দুই কিশোরী জানিয়েছে, তাদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। তারা বর্ধমানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বাসে সন্ধ্যায় রামপুরহাটে আসে। কিন্তু তার আগেই দুমকার শেষ বাস চলে যাওয়ায় স্টেশনের ওয়েটিং রুমে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। রাত ১০টা নাগাদ এক কিশোরী জল আনতে বেরোলে তিন যুবক তাকে পাশেই দুমকার বাস ছাড়ার জায়গায় একটি বাসের পিছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অন্য জন তখন ঘুমোচ্ছিল। খানিক পরে জেগে উঠে সে সঙ্গীকে খুঁজতে-খুঁজতে ঘটনাস্থলে হাজির হলে তারও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তার চিৎকার শুনে পাশের অটোস্ট্যান্ড থেকে লোকজন দৌড়ে গিয়ে এক জনকে ধরে ফেলে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে কয়েকটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা পাচ্ছে না পুলিশ ও রেলপুলিশ। প্রথমত, বর্ধমান থেকে সরাসরি রামপুরহাটের বাস নেই। দুর্গাপুর থেকে বাস রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কিশোরীকে প্লাটফর্ম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকলে সেই সময়ে বা পরে তিনি চিৎকার করলেন না কেন? করে থাকলে, তা কারও কানে গেল না কেন? রামপুরহাট জিআরপি-র ইনস্পেক্টর বাবুলাল মণ্ডলের প্রশ্ন, “রাতে অনেক ট্রেন আসে। প্রচুর যাত্রী ওঠানামা করেন। স্টেশন চত্বরে এমন কিছু ঘটলে কারও নজরে আসত না?” পুলিশ সুপারও বলেন, “কিছু বিষয় পরিষ্কার নয়। ওই কিশোরীদের তাই বারবার জেরা করা হচ্ছে।”
|
সিপিএম নেতাদের মারধরের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
রাস্তায় গাড়ি আটকে সিপিএমের এক জোনাল সম্পাদক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ চার জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার বাঁকিশোল মোড়ের ঘটনা। পাত্রসায়র জোনাল সম্পাদক লালমোহন গোস্বামীর অভিযোগ, “একটি বিয়েবাড়ি থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপালি বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি, আমার ছেলে ও জামকুড়ির নেতা বনমালী লোহার ফিরছিলাম। তৃণমূলের লোকজন গাড়ি থেকে আমাদের বার করে মারধর করে।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে গিয়েছে। |