হেলথ হোমে তাণ্ডব তৃণমূলের |
তৃণমূলের গা-জোয়ারিতে ভেস্তে গেল মুর্শিদাবাদ স্টুডেন্টস হেল্থ হোমের বহরমপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের বৈঠক। বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে শুক্রবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ১৭২টি স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। কিন্তু তার আগেই পাঁচিল ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকে ম্যারাপ খাটিয়ে হোম চত্বরে দখল নেয় তৃণমূল। ফলে ওই বৈঠকে যাঁদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল, তাঁরা জেলা কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। চড়া রোদের মধ্যে রাস্তার উপরে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সদস্যরা চলে যান। হোমের জেলা সম্পাদক শ্যামল সাহা বলেন, “কার্যালয়ে এসে দেখিম্যারাপ টাঙিয়ে গোটা চত্বর তৃণমূল দখল নিয়েছে। মাইকে বক্তৃতাও চলছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বহরমপুরের মহকুমাশাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “জেলা কার্যালয়ে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।” তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি তথা দৌলতাবাদ হাইস্কুলের শিক্ষক দিলীপ সিংহ রায় বলেন, “খাতায়-কলমে সমস্ত স্কুল-কলেজকে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ৭০-৭৫টি স্কুলকেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।”
|
তৃণমূল নেতাকে মার পুলিশের, অভিযোগ |
দলের লালবাগ ব্লক সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে মারধর করার অভিযোগে লালবাগের এসডিপিও-সহ মোট ৪ পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে শুক্রবার দিনভর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ওঁর রিপোর্ট পাই। তারপরে দেখব।” প্রতিশ্রুতি পেয়ে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে দরজা ভেঙে ঢুকে লালবাগ ব্লক সভাপতি রামদিন দুবে, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন লালবাগের এসডিপিও।” রামদিনবাবুরা লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, একটি তদন্তে পুলিশের গাড়িটি রাখে রামদিনবাবুর দাদার বাড়ির সামনে। তাই নিয়ে বচসা থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ গিয়ে তরামদিনের দাদাকে আটক করলে উত্তেজনা ছড়ায়।
|
ফের নাবালিকা বিয়ে রুখল পুলিশ |
ফের নাবালিকা বিয়ে রুখল প্রশাসন। এ বার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারিতে। বৃহস্পতিবার সপ্তম শ্রেণির রিনি বিশ্বাসের বিয়ের আয়োজন হয় মধু বিশ্বাস নামে এক যুবকের সঙ্গে। খবর পেয়ে ওই সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। কৃষ্ণগঞ্জ থানার এক পুলিশকর্মী বলেন, “বাড়ি ভর্তি লোকের সামনে বিয়ে রোখার কথা বলতে প্রথমটায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু বিয়েটা যে আটকানো গিয়েছে এটাই বড় কথা।” রিনির বাবা চিত্ত বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ের আসরে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন পুলিশকর্মীরা। পেশায় কৃষক চিত্তবাবু শেষ বিয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক হয়, আঠারো পেরোলে ওই যুবকের সঙ্গেই বিয়ে হবে রিনির। কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও বুলবুল বাগচি বলেন, “পুলিশ তৎপর। আশা করছি একদিন নাবালিকা বিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে।”
|
নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বছর চারেকের সাদিয়া খাতুন। বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার আড়বেতাই গ্রামে। তার বাবার অভিযোগ, রাতে ঘরের ভিতরে দুই ভাইবোনের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল সাদিয়া। শুক্রবার ভোরে সাদিয়াকে বিছনায় দেখতে না পেয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন। সাদিয়ার বাবা হাবিবুল্লা শেখ এ দিন পুলিশের কাছে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। দিনমজুর হাবিবুল্লা বলেন, “স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছে। আমি আর আমার তিন ছেলে-মেয়েই বাড়িতে ছিলাম। ভোরে উঠে দেখি মেয়ে নেই। সদর দরজাও খোলা। অনেক খুঁজেও কোনও সন্ধান মেলেনি।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
|
ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ভাই ফারুক শেখকে মারের অভিযোগ উঠেছে ফরাক্কার ভৈরবডাঙায়। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হন এক মহিলা। জখম ৩ পুলিশকর্মী। যদিও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে পুলিশ। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। |