|
|
|
|
বিনোদন |
পোস্টার নিয়ে শতাব্দীর সঙ্গে সংঘাতে ঋতুপর্ণা
ইন্দ্রনীল রায় • কলকাতা |
|
|
ছবির নাম ‘ওম শান্তি’, কিন্তু দুই নায়িকার মধ্যে প্রবল অশান্তি।
এক নায়িকা এ ছবির পরিচালক শতাব্দী রায়, অন্য জন ছবির অন্যতম অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ঋতুপর্ণার অভিযোগ, সিনেমার পোস্টারে তাঁর ছবি অনেক কম গুরুত্ব পেয়েছে। তাই নিয়েই চাপানউতোর। ক্ষতটা এতটাই গভীর, যে শুক্রবার ছবির প্রিমিয়ারে গেলেন না ঋতুপর্ণা।
ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা বলছেন, “যে ভাবে পোস্টারে আমার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা অপমানজনক বললেও কম বলা হয়।” শতাব্দীর বক্তব্য, “আমার কাছে এটা কোনও সমস্যাই নয়। আমি মনে করি পোস্টার একদম ঠিকঠাক আছে।” |
সেই ছবির পোস্টার। দক্ষিণ কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে। |
পরিচালক আর নায়িকার মধ্যে যে একটা মন কষাকষি চলছে, সেটা খানিকটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ছবির মিউজিক লঞ্চের দিনই। সেই অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা। “আমাকে স্রেফ একটা এসএমএস করে অনুষ্ঠানে থাকতে বলা হয়েছিল। ওঁদের বক্তব্য ছিল, আগরতলায় আমার শো থাকার দরুণ আমার সঙ্গে ওঁরা যোগাযোগ করতে পারেননি।” ঋতুপর্ণার দাবি, সেই ‘তাচ্ছিল্য’ উনি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু পোস্টারে কম গুরুত্ব পাওয়ার ব্যাপারটা মানতে পারছেন না। ওঁর অভিযোগ উনি শতাব্দীকে জানিয়েছিলেন কি? ঋতুর বক্তব্য, পোস্টারগুলো যে দিন প্রথম চোখে পড়ে, সে দিনই উনি শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন। উত্তরে শতাব্দী ওঁকে জানান, পোস্টার তৈরিতে ওঁর কোনও হাত নেই। শতাব্দীর প্রোডাকশন ম্যানেজার পরে ফোন করে বলেন যে, পোস্টারে ভুল হয়েছে। দ্রুত শুধরে নেওয়া হবে। “কিন্তু আজ পর্যন্ত কিচ্ছু করা হয়নি।”
ঋতুপর্ণার দাবি ছবির পোস্টারে কী যাবে, সেটা পরিচালক জানেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। শতাব্দীর বক্তব্য, “অন্য পরিচালকরা কী করেন আমি জানি না। আমার পোস্টারে কী যাচ্ছে, তাতে আমার কোনও হাতই থাকে না।” পোস্টার-বিতর্কের জেরেই কি ঋতু প্রিমিয়ারে গেলেন না? “এ ভাবে অপমানিত হওয়ার পর আমি কেন প্রিমিয়ারে যাব বলতে পারেন?
আমি অতিথি শিল্পী হলেও পোস্টারে আমার ছবি ব্লো-আপ করে রাখা হয়। এখানে আমি নায়িকা, অথচ আমায় এক কোণে চেপে দেওয়া হয়েছে।”
‘ওম শান্তি’তে অভিনয় করেছেন তাপস পালও। এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনিও। ঋতুপর্ণার দাবি, সিনিয়র অভিনেতা হিসেবে তিনি তাপসকেও ফোন করে তাঁর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাপস তাঁকে ফিরতি ফোন করেননি। তাপস পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পোস্টারে কী যাবে সেটা প্রযোজকই ঠিক করেন। “এতই যদি সমস্যা, তা হলে চুক্তিপত্রেই লিখে দেওয়া উচিত ছিল, পোস্টারে মুখ আরও বড় হওয়া চাই!”
‘ওম শান্তি’র পোস্টার কেমন হবে, সেটা বাস্তবে ঠিক করেছেন কারা? ছবির প্রদর্শক সংস্থা। সেই সংস্থার পক্ষে অজয় বাকলিওয়াল ঋতুপর্ণার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘ঋতুপর্ণা কোনও ভাবেই এ ছবির নায়িকা নন। সেখানে ওঁর ছবি পোস্টারে বড় করে দেওয়া হবে কেন?” নায়িকা তো রাখি সবন্ত-ও নন! তা হলে ওঁর ছবি বড় করে রাখা হল কেন? “এটা রাখি সবন্তের প্রথম বাংলা ছবি। দর্শক মনে সে সম্বন্ধে একটা আগ্রহ তৈরি করার জন্যই রাখির ছবি বড় করে রাখা হয়েছে।”
তবে কি একটা পোস্টারকে কেন্দ্র করে দুই নায়িকার মধ্যে যোজন দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল? নাকি, সমস্যা আরও আগে থেকেই দানা বাঁধছিল? ঋতুপর্ণা বলছেন, শতাব্দীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সখ্যেরই ছিল। কিন্তু “শতাব্দী বুঝতে পারছেন না যে, আমি সই করেছিলাম বলেই ছবি শুরুর দিন থেকে তিনি এতটা প্রচার পেয়েছিলেন।” শতাব্দীর উত্তর? “শু্যটিং আর ডাবিংয়ে কী কী ঘটেছিল, তাই নিয়ে যদি মুখ খুলি, ব্যাপারটা অন্য মাত্রা পেয়ে যাবে। কিন্তু আমি অকারণে ইস্যু তৈরি করতে চাই না।”
|
‘বোরোপ্লাস আনন্দলোক পুরস্কার সেলেব আড্ডা’য় হিরণ, নুসরৎ জাহান,
অনুপম রায় ও পায়েল সরকার। শুক্রবার, শহরের একটি হোটেলে। নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|
|