পুরুলিয়া-বোকারো জাতীয় সড়কের চাষমোড় থেকে তুলিন পর্যন্ত অংশ অবিলম্বে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামল ফরওয়ার্ড ব্লক। বুধবার জাতীয় সড়কে জয়পুর, কোটশিলা ও ঝালদায় এ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা বারোটা পর্যন্ত অবরোধ হয়। ঝালদায় ফব সাংসদ নরহরি মাহাতো, কোটশিলায় দলীয় বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো ও দলের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিশিকান্ত মেহেতা এবং জয়পুরের অবরোধ কর্মসূচিতে ফব-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রজত সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। চাষমোড় থেকে তুলিনের সুবর্ণরেখা নদী সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘকাল সংস্কারের অভাবে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের নজর নেই। বেহাল রাস্তার জন্য অনেক বাসও বন্ধ। পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, কেন্দ্র ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড’ থেকে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। দফতরের পশ্চিম চক্রের (বর্ধমান) সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র জয়ন্ত সিংহ বলেন, “ইতিমধ্যেই দু’বার রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার করেছি। কিন্তু ই-টেন্ডারে দু’বারই কোনও ঠিকাদার পাওয়া যায় নি। ফের টেন্ডার ডাকা হবে।”
|
তৃণমূলের মদন বরাট-ই রঘুনাথপুর পুরসভার পুরপ্রধান থাকলেন। বুধবার পুরপ্রধান নির্বাচনের সভায় তাঁর পক্ষে ৫ জন ও বিপক্ষে ৪ জন কাউন্সিলর সমর্থন জানান। ফলে অনাস্থা আনার পরেও রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান পাল্টাতে পারলেন না তাঁর দলের বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলররা। মদনবাবুকে পুরপ্রধান পদে বহাল রাখার জন্য দলের ৩ কাউন্সিলরদের সঙ্গে কংগ্রেস এবং এসইউসি-র ২ কাউন্সিলরও হাত তুলে সমর্থন করেন। অন্যদিকে, মদনবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন উপপুরপ্রধান বাসুদেব তিওয়ারিকে সমর্থন জানান অনাস্থা আনা তৃণমূলের ৩ ও আরএসপি-র ১ জন কাউন্সিলর। গরহাজির ছিলেন সিপিএমের ২ কাউন্সিলর। বস্তুত, এ দিন সভার শুরুতে সভাপতি নির্বাচনের সময়েই নির্বাচনের ফলের আঁচ মিলেছিল। সভাপতি হিসেবে দু’পক্ষ দু’জনের নাম প্রস্তাব করে। কিন্তু বেশি সমর্থন পান মদনবাবুদের মনোনীত ব্যক্তিই। গোপন ব্যালটে ভোট না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনাস্থা আনা বিষ্ণুচরণ মেহেতারা।
|
বুধবার কলকাতায় তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে বাঁকুড়া পুরসভা নিয়ে জট কাটাল না। পুরপ্রধান থাকলেও বিক্ষুদ্ধরা বৈঠকে যোগ দেননি। জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজ্য নেতৃত্বকে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।” |