বর্ষা এসে গিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে নিস্তার নেই ঝাড়খণ্ডের। প্রচণ্ড গরমের সময় গড়ে দৈনিক ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়াকে তখন সমস্যার মূল কারণ হিসেবে সাফাই দিয়েছিলেন দফতরের কর্তারা। বর্ষা আসার পর স্বাভাবিক কারণেই বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে কমেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যায় কোনও হেরফের হয়নি। বরং রাজ্যবাসীর অভিজ্ঞতা, বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এলাকাভুক্ত রাজধানী রাঁচি-সহ গোটা রাজ্য জুড়ে চলেছে চূড়ান্ত অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ। পর্ষদের কর্মীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বণ্টন লাইনে গোলমালের কারণেই সরবরাহ অনিয়মিত হচ্ছে। আবার অনেক জায়গাতে ট্রান্সফর্মার বিগড়ে বিঘ্ন ঘটছে বিদ্যুৎ সরবরাহে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তো দূরস্থান, এক টানা চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকার নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না পর্ষদের কর্তারা। ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এন ভর্মা জানিয়েছেন, বেশ কিছু জায়গায় মেরামতের কাজ চলায় সাময়িক ভাবে সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিভিন্ন সাব-স্টেশনের ট্রান্সফর্মারগুলি যে ঠিকঠাক কাজ করছে না, তা মানছেন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে, চলতি বছরের গোড়ায় কেনা ট্রান্সফর্মারগুলি নিয়ে সমস্যা বেশি হচ্ছে বলেই কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। পর্ষদের বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বেশ কিছু ট্রান্সফর্মার যে অকেজো, সেই তথ্যও আর গোপন নেই। ১৩ টি কপার বাইন্ডিং ট্রান্সফর্মার মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করে ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওই ১৩ টি ট্রান্সফর্মারের প্রতিটির বিদ্যুৎ বণ্টন ক্ষমতা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে অকেজো ওই ট্রান্সফর্মারগুলির মধ্যে ৫ কিলো ভোল্ট অ্যামপিয়ার (কেভিএ) থেকে ৩১৫ কেভিএ ক্ষমতার ট্রান্সফর্মারও রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ট্রান্সফর্মার ২৫০ কেভিএ ক্ষমতার। |