সিঙ্গুর সংঘাত
|
২০০৬ |
১৮ মে: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শপথের দিন রতন টাটার ঘোষণা |
২৫ মে: ‘জোর করে’ জমি
অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ |
১৭ জুন: অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু।
বিজ্ঞপ্তি জারি
|
|
৩ ডিসেম্বর: আমরণ অনশনে মমতা। ২৫ দিন পর প্রত্যাহার
|
২০০৮ |
২২ অগস্ট: রতন টাটার ঘোষণা, হিংসা চললে প্রকল্প সরিয়ে নেব
|
২৪ অগস্ট: প্রকল্প এলাকায় ধর্না শুরু তৃণমূলের
|
৭ সেপ্টেম্বর: রাজভবনে বুদ্ধ-মমতা বৈঠক
|
১২ সেপ্টেম্বর: তথ্যকেন্দ্রে ফের দু’জনের বৈঠক। মাঝেই মমতার প্রস্থান
|
৩ অক্টোবর: রাজ্য থেকে প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা রতন টাটার
|
৭ অক্টোবর: গুজরাতের সানন্দে
ন্যানো প্রকল্প করার ঘোষণা
|
২০১১ |
২০ মে: শপথ নিয়ে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিঙ্গুরের জমি ফেরানোর সিদ্ধান্ত মমতার
|
|
|
সিঙ্গুর-রায় |
মামলানামা |
১৪ জুন ২০১১ |
১৫ জুলাই |
• বিধানসভায় ‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন
এবং উন্নয়ন আইন ২০১১’ পাশ। |
• বিচারপতি সৌমিত্র পালের
এজলাসে শুনানি শুরু। |
২০ জুন |
২৬ জুলাই |
• আইনের গেজেট
নির্দেশিকা প্রকাশিত। |
• ব্যক্তিগত কারণে সরলেন সৌমিত্র পাল। |
২১ জুন |
২৮ জুলাই |
• সিঙ্গুরের জমির দখল নেয়
রাজ্য সরকার। |
• বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের
এজলাসে ফের শুনানি শুরু। |
২২ জুন |
১৬ সেপ্টেম্বর |
• আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে টাটা মোটরস। |
• দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হয়। |
২৯ জুন |
২৮ সেপ্টেম্বর |
• হাইকোর্টকে দ্রুত মামলা
শেষ করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। |
• রায়: সিঙ্গুর আইন সাংবিধানিক, বৈধ।
টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্য। |
|
১ নভেম্বর
• রায়কে চ্যালেঞ্জ টাটাদের। ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু। |
২২ জুন ২০১২ |
• রায়: সিঙ্গুর আইন অসাংবিধানিক ও অবৈধ। |
|
টাটা উবাচ |
১৮ মে ২০০৬ |
• রাজ্যে শিল্পায়নের শরিক হতে চাই আমরা। যে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্প চূড়ান্ত করা হল, তাতে আমি খুশি। |
৬ মার্চ ২০০৭ |
• বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা পশ্চিমবঙ্গ। এই কথা হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস প্রকল্পের সময়ও আমি বলেছিলাম। |
২২ অগস্ট ২০০৮ |
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের ‘অবাঞ্ছিত বাসিন্দা’ বলে মনে করলে ‘অনিচ্ছা সত্ত্বেও’ আমরা সরে যাব। |
৩ অক্টোবর ২০০৮ |
• বলেছিলাম বন্দুক ঠেকালেও যাব না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ট্রিগার টিপে দিলেন।
• মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্যই সিঙ্গুর ছাড়লাম। |
১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ |
• লগ্নির ক্ষতিপূরণ পেলে জমি ফেরত দিতে পারি। |
|
সিঙ্গুর রায় নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। সারা জীবন ধরে কৃষক, শ্রমজীবী, গরিব এবং সহায় সম্বলহীন মানুষের জন্য লড়াই করেছি। ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি, এঁদের পাশে থাকার দায়বদ্ধতা থেকে আমি সরছি না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
আমরা তো আগেই বলেছি, ওই আইন অসাংবিধানিক। বিকল্প প্রস্তাবও ওঁকে দেওয়া হয়েছিল। উনি জমি ফেরত দিতে চাইলে দিন, আমরা বিরোধিতা করব না। তবে ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক প্রভেদ করবেন না। জমি ফেরাতে হলে সকলকেই ফেরত দিন।
সূর্যকান্ত মিশ্র |
|
রায় নিয়ে জনতা কী বলছেন? |
“দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন সিঙ্গুরের কৃষকরা। এক শিল্প গড়তে গিয়ে কত আন্দোলন, কত মৃত্যু। সিঙ্গুরের আকাশ-বাতাস দূষিত হয়েছে। এখন এই আইনি বেড়াজাল টপকে কৃষকরা যাতে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন সেটাই কাম্য।”
বেবি দাস (গৃহবধূ) |
|
|
“একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে বলতে চাই শিল্পও হোক, কৃষিও হোক। দৈনন্দিন জীবনে দু’টিরই প্রয়োজন। আইনি বেড়াজাল টপকে সিঙ্গুরের কৃষক পরিবারগুলি চাষবাস করে বেঁচে থাকুক। শিল্প হলে বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। এটাই আমার আশা।’’
এস কে রায় (চিকিৎসক) |
|
|
“সিঙ্গুরের কৃষকরা দীর্ঘ দিন ধরে জমি ফেরত পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তা এখন আবার আইনি বেড়াজালের ফাঁসে আটকে গেল। আমি চাই যাঁরা জমি ফেরত পাওয়ার আশায় ছিলেন তাঁরা জমি ফেরত পান। শস্য-শ্যামলা হয়ে উঠুক সিঙ্গুর।”
মহুয়া চট্টোপাধ্যায় (শিক্ষিকা) |
|
|
“ছাত্র হিসাবে বলতে চাই নানা আন্দোলন, মৃত্যুবরণ, হানাহানি, দলাদলি সবই ঘটে গেল। কিন্তু সিঙ্গুরের কৃষকরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়েছেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাঁরা নিজের অবস্থায় ফিরে আসুন,
এটাই আমি চাই।”
সাত্যকি দাস (ছাত্র) |
|
‘রায় নিয়ে জনতা কী বলছেন?’-এর তথ্য ও ছবি: তাপস ঘোষ। |
|