টুকরো খবর |
ওভার ব্রিজের দাবি ওন্দায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ওন্দা |
নেই ওভারব্রিজ। রেললাইন পার হয়ে প্লাটফর্মে উঠতে বেগ পেতে হয় যাত্রীদের। টিকিট কাউন্টারে নেই কোনও টিকিট বুকিং স্টাফ। যার ফলে যাত্রীদের অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয়, কখন স্টেশন মাস্টার এসে কাউন্টারে বসবেন। তাই নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে পৌঁছেও টিকিট না পেয়ে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে চলেছে ওন্দা রেল স্টেশনে। প্রায় দিনই বিক্ষুদ্ধ যাত্রীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায় স্টেশন মাস্টারের ঘরে। তাতেও সমস্যা মেটেনি। ওন্দার বাসিন্দা ভবানী মোদক, স্বপন চক্রবর্তীদের ক্ষোভ, “চরম অব্যবস্থা এই স্টেশনে। প্রায়ই টিকিট পেতে বেগ পেতে হয় আমাদের। অথচ রেল কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই।” সমস্যাটা কোথায়? ওই স্টেশনে খবর নিয়ে জানা গেল, গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এই স্টেশনে কোনও কমার্সিয়াল ক্লার্ক নেই। ফলে টিকিট বুকিং থেকে পার্সেল বুকিং-সহ কমার্সিয়াল ক্লার্কের যাবতীয় কাজ সবকিছুই করতে হচ্ছে স্টেশন ম্যানেজারকে। এর প্রভাব যাত্রীদের পাশাপাশি ট্রেনের উপরেও পড়ছে। প্রায়ই ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। স্বভাবতই সব দিক সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন স্টেশন ম্যানেজারও। ওন্দা স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, “সময়মত টিকিট না পেলে যাত্রীদের ক্ষোভ, ট্রেন দেরি হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপ--এই দু’য়ের ফাঁপরে আমরা সমস্যায় পড়েছি।” তিনি জানান, ক্ষোভ-বিক্ষোভ হলে দু-একদিনের জন্য অস্থায়ী কমার্সিয়াল ক্লার্ক পাঠায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। তারপর ফের যেই কে সেই। অবিলম্বে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন তিনি। ওন্দার স্টেশন ম্যানেজার মিহির রায় বলেন, “সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা কবে ব্যবস্থা নেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।”
|
ঘরছাড়া ছাত্রীকে ফেরাল রেলপুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আদ্রা |
পড়া ফেলে সঙ্গীদের সঙ্গে খেলছিল মেয়েটি। তা নিয়ে মা বকাঝকা করায় অভিমানে ঘর ছেড়ে তৃতীয় শ্রেণির সেই মেয়ে চড়ে বসেছিল ট্রেনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদ্রা স্টেশনে ধানবাদের জোড়াপুকুর থানার জামাডোবা গ্রামের মধুপ্রকাশ পাসোয়ান নামের মেয়েটিকে এক ঘুরতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় এক আরপিএফ কর্মী তাকে উদ্ধার করেন। আরপিএফের আদ্রা ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমান্ড্যান্ট জে কে সতিজা বলেন, “গোমো-আদ্রা প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে আদ্রায় চলে এসেছিল মেয়েটি। তার কাছ থেকে ওর বাবার ফোনের নম্বর নিয়ে আমরা খবর দিই। রাতেই ওর বাবা রামপ্রকাশ পাসোয়ান এসে মেয়েকে নিয়ে যান।” দশ বছরের মধু বলে, “বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিলাম। পড়তে না বসায় মা বকাঝকা করে। তাই রাগ করে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই।” বৃহস্পতিবার বিকালে আদ্রা স্টেশনে স্টেশনে কর্মরত আরপিএফের এএসআই মনোরঞ্জন মণ্ডল তাকে উদ্ধার করে। মধুর বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রী রামপ্রকাশবাবু বলেন, “দুপুর থেকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে খুব দুর্ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলাম। আরপিএফের ফোন পেয়ে দুঃশ্চিন্তা দূর হয়।”
|
ধর্ষণের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়রের ঘটনা। শুক্রবার পাত্রসায়র থানায় বধূটি অভিযোগ করেন, আখড়াশাল গ্রামের কালু সাঁতরা বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক।
|
ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে বুধবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল পুরুলিয়া শহরের তেলকলপাড়া শ্মশানকালী এলাকায়। বাড়ির কর্তা কমলকান্ত দাসের অভিযোগ, “মাঝরাত্রে হঠাৎ কোনও ঠোকাঠুকির শব্দে ঘুম ভাঙলে দেখি চার-পাঁচজন জানলা দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। ভয়ে দরজা খুলতেই ওরা আমাকে মারে। স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আলমারি থেকে টাকা, গয়না, মোবাইল নিয়ে চলে যায় তারা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া |
দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার পুরুলিয়া জেলাশাসকের কাযার্লয়ের বাইরে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। এ দিন ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ১০৬ জন বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হন। সঙ্গে সঙ্গেই জামিনে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। বাঁকুড়াতেও ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
|
পুলিশের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
রঘুনাথপুর থানায় কর্মরত অবস্থায় শুক্রবার সকালে এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম প্রবীর চট্টোপাধ্যায় (৫৩)। বাড়ি পুরুলিয়ার দুলমিতে। থানায় বসে কাজ করার সময় হৃদরোগে তিনি আক্রান্ত হন। রঘুনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
|
ধৃত স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ধৃত শ্যামাপদ মাজি অসুস্থ থাকায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের প্রিজনারস সেলে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই ঘটনায় তাঁর দাদাও আগে গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার রঘুনাথপুরের বুন্দলাপুলের কাছে বধূটির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সুপার সি সুধাকর আগেই জানিয়েছেন, বধূটিকে খুনের ঘটনায় তাঁর স্বামীও অভিযুক্ত।
|
বাজেয়াপ্ত |
দু’টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি কোম্পানির ছাপ মারা নকল মধু ও গোলাপজলের বেশ কয়েকশো শিশি বাজেয়াপ্ত করল। বৃহস্পতিবার ইঁদপুরের হাট্টগ্রাম ও ছাতনার কেতরগ্রাম থেকে মধু ভর্তি প্রায় ৬০০টি শিশি উদ্ধার হয়েছে।
|
শিশু উদ্ধার |
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার আড়শার পিথাডি গ্রাম থেকে এক শিশু কন্যাকে উদ্ধার করল। আপাতত শিশুটি পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। |
|