যানজট নিয়ন্ত্রণে শহরে লছিমন বন্ধে আবেদন জানালেন বেলডাঙার ব্যবসায়ীরা। দাবি, যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে অবিলম্বে শহরে লছিমন প্রবেশ বন্ধ করুক। অন্যথায় বড় আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছে ব্যবসায়ী মহল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বেলডাঙা-১ ওয়ার্ডে বড়ুয়া বাজার। প্রধান রাস্তার পাশেই প্রতিদিন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে লছিমন। কিছুটা এগিয়েই পাঁচবাহা রেলগেট। সেখানেও সমস্যা বাড়াচ্ছে লছিমন। বেলডাঙা ছাপাখানা মোড় ও স্টেশন চত্বরে লছিমনের দৌরাত্বে ওই রাস্তায় হাঁটা চলাও দায় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির। রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকে রিকশা ও ভ্যান। জনবহুল জনকল্যাণ মোড় কিংবা রবীন্দ্র মূর্তি থেকে হরিমতি স্কুল মোড়ে যাতায়াত করতে লছিমনের দাপটে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। এমনিতেই শহরের রাস্তা সংকীর্ণ। গাড়ি-লরি-রিকশা-মোটরবাইকের সঙ্গে লছিমনের অবাধ যাতায়াত সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। ছাপাখানা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুজাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যানজট বড় সমস্যা। সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে লছিমন। লছিমন বন্ধ করতে পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে। না হলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।” বেলডাঙা বড়ুয়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মুক্তাদির মোল্লা বলেন, “বড়ুয়া বাজারের দু’দিকের রাস্তার অনেকটাই দখলদারদের কবলে। ছোট রাস্তায় চলাফেরাই সমস্যা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা চাই পুরসভা লছিমনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করুক।”
কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী বলেন, “লছিমন বন্ধ হলে যানজট কমে যাবে। মানুষজনও স্বচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। ভাল পরিষেবা দিতে প্রশাসন লছিমন বন্ধ করুক।” বেলডাঙার পুরপ্রধান কংগ্রেসের অনুপমা সরকার বলেন, “এটা শহরের একটা বড় সমস্যা। পুরসভার তরফে লছিমন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না। আমরা বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।” |