টুকরো খবর
হেরোইন ও অস্ত্র-সহ ধৃত
উদ্ধার হওয়া হেরোইন
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড় কেজি হেরোইন উদ্ধার করল বেলদা থানার পুলিশ। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। শুক্রবার সকালে খাকুড়দার কাছে বাগগেড়িয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথা থেকে এই হেরোইন এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মাদকদ্রব্যের খোঁজে এখন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে। শুক্রবার সকালে এক গোপন-সূত্রে পুলিশ খবর পায়, বাগগেড়িয়াতে কয়েকজন হেরোইনের কারবার করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হাতেনাতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আশপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে কোনও দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খড়্গপুর লোকাল থানার দক্ষিণ-খেলাড় গ্রাম থেকেও অস্ত্র-সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কমল দাস (৩৬)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যক্তি একটি পাইপগান নিয়ে স্থানীয়দের ভয় দেখাচ্ছিলেন। স্থানীয়রাই তাকে ধরে ফেলে। রাতে পুলিশ পাইপগান-সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের সঙ্গে সমাজবিরোধীদের যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে টাকা ছিনতাই
পেট্রোল-পাম্প থেকে টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে এক পাম্পকর্মীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা-ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করল ৪ দুষ্কৃতী। শুক্রবার দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা এলাকার আঙ্গুয়ায়, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। সোনাকনিয়ার ওই পাম্পটির কর্মী অমরেশ পয়ড়্যাকে আহত অবস্থায় দাঁতন-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য অন্যান্য দিনের মতোই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন অমরেশবাবু। পথে হঠাৎ দুটি মোটরবাইকে ৪ সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে তাঁর পথ আটকায়। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ধস্তাধস্তিও হয় দু’পক্ষে। এর পরেই দুষ্কৃতীরা অমরেশবাবুকে ভোজালি দিয়ে আঘাত করে ব্যাগটি নিয়ে পালায়। ঘটনার সময়ে সোনাকনিয়া রুটের এক বাসকর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনিও আহত হন। স্থানীয়রা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা দু’রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালায়। কিছু পরে টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। দাঁতন থানার আইসি মিহিরলাল নস্কর জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই পাম্প থেকে যে এ দিন টাকা নিয়ে যাওয়া হবে তা জেনেই পরিকল্পনা-মাফিক এই ছিনতাই করা হয়। ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে ওড়িশার দুষ্কৃতীরাও যুক্ত বলে ধারণা পুলিশের।

গণ-ধর্ষণে অভিযুক্ত ৩ জনের জেলহাজত
ঠান্ডা-পানীয় খাওয়ানোর নাম করে ডেকে রামজীবনপুরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত ৩ জনকে ১৪ দিনের জন্য জেল-হেফাজতে পাঠাল আদালত। শুক্রবার ধৃতদের ঘাটালের এসিজেএম অম্বরীষ ঘোষের এজলাসে হাজির করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে রামজীবনপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বরপুরের বেরাপাড়ায় ওই ঘটনটি ঘটে। ঘটনার খবর ছড়াতে অভিযুক্ত ৩ যুবককে প্রথমে পাকড়াও করেন এলাকাবাসীই। বুধবার পুলিশ ওই ৩ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকার মা ‘আটক’ শ্যামল মল্লিক, বিমল মল্লিক ও কালীপদ মণ্ডল-সহ মোট ৭ জনের নামে চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেই আটক ওই তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই নাবালিকা এখনও কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

কিশোরীকে ধর্ষণ, ধৃত ১
এগারো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গড়বেতা থানার গোপালশোলে। শুক্রবারই ওই কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ জুন ঘটনাটি ঘটে। বাড়িতে অন্য কেউ না-থাকার সুযোগে গোপালশোলের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে গ্রামেরই নলিন পাত্র (৪৮)। ওই দিন পরিবারের অন্যরা যখন কাঠ কাঠতে জঙ্গলে গিয়েছিল, তখনই একা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে সে-দিন ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতে পারেনি। কিশোরীর পরিবারকে ধর্ষণকারী প্রৌঢ় প্রলোভনও দেখায় বলে অভিযোগ। শেষমেশ, শুক্রবার সকালে গড়বেতা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। গড়বেতারই লেদাকামারে এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে শুক্রবার। অভিযুক্ত পলাতক।

বিজেপি-র বিক্ষোভ এবং ‘জেল-ভরো’
মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ে বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের মাসুল-বৃদ্ধি এবং রাজ্যে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার জেলায়-জেলায় ‘বিক্ষোভ-সভা’ এবং ‘জেল-ভরো’র কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। মেদিনীপুরে এ দিন দুপুরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে আসেন। কালেক্টরেট-মোড়ে বিক্ষোভ-সভা হয়। পরে কালেক্টরেটের মধ্যে ঢুকতে গেলে বিজেপি-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, অবনী ঘোষ, সোমনাথ সিংহ প্রমুখ।

গ্রেফতারের দাবি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক বিক্রম সাহার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ‘অভিযুক্ত’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ফের জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। শুক্রবার যুব-তৃণমূল নেতা সৌরভ বসু, মহিলা নেত্রী মৌ রায়-রা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবি জানান। বৃহস্পতিবারই এ ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। পুলিশ সুপারও জানান, এ ক্ষেত্রে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। এখন সিআইডি-ই ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর সৌরভ বলেন, “সিপিএমের জেলা সম্পাদককে দ্রুত গ্রেফতার করা জরুরি। পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘কাউকে গ্রেফতারের আগে কিছু তথ্যপ্রমাণ থাকা দরকার। সিআইডি নিশ্চয়ই তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করছে।” এ দিন অবশ্য পুলিশ সুপারের কাছে কোনও লিখিত স্মারকলিপি জমা দেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.