টুকরো খবর
আইআইটি: বৈঠক ২৭শে
অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ২৭ জুন দিল্লিতে আইআইটি কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। গত মাসে আইআইটি-র মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বল। প্রথমে কানপুর, তার পরে মুম্বই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়। কাল দিল্লি আইআইটিও জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির পরীক্ষা নেবে তারা। আইআইটিগুলির বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারছেন না আগামী বছরে কী ধাঁচে পরীক্ষা হবে। মান অবনতির আশঙ্কায় সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছেও তদ্বির করেন আইআইটিগুলি-র শিক্ষক সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া আইআইটি ফ্যাকাল্টি ফেডারেশন’। তাদের বক্তব্য, অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে আইআইটিগুলিতে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছে সিব্বলের গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই কমিটি ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে। একাধিক আইআইটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের সংগঠন প্রধানমন্ত্রীকে জানায় এই ব্যবস্থা চালু হলে আইআইটি-র মান পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পরে তিনি সংগঠনের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন, অভিন্ন প্রবেশিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা হবে না। মন্ত্রক এখন দ্রুত বিষয়টি নিরসন করতে চাইছে। তাই আজ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী বছর থেকে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা আদৌও চালু করা যাবে কিনা, সেই বিতর্কের সমাধান খুঁজতেই এই বৈঠক।

কামাখ্যায় শুরু অম্বুবাচী মেলা
কালীর সাজে বহুরূপী। কামাখ্যা মন্দিরের সামনে শুক্রবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
তিরিশ ফুট জটা নিয়ে জটা বাবা, কলকে হাতে ফরাসি বাবা, কালো পোষাকে নাগা বাবা, এক ঠাঙে দাঁড়ানো ব্যায়াম বাবা আর পোশাকহীন নাঙ্গা বাবা। সেই সঙ্গে, লাল মা, জটা মা, ত্রিশূল মা, গাঁজা মায়ের দলও পিছিয়ে নেই। সব বাবা, মায়েদের মিলনমেলায়, অম্বুবাচীতেচাঁদের হাট কামাখ্যা। আজ থেকে শুরু হল অম্বুবাচীর মেলা। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে বন্ধ হল মন্দির। খুলবে ২৫ জুন সকাল ৭টায়। তারপরই পুজো দেওয়া ও দেবীর রক্তবস্ত্রের জন্য কাড়াকাড়ি শুরু হবে। এই বছর অন্তত লাখ দশেক মানুষের সমাগম হতে চলেছে নীলচল পাহাড়ের বুকে। সব ধর্মশালা, হোটেলেই ঠাঁই নাই অবস্থা। কামাখ্যা থেকে ভূবনেশ্বরী যাওয়ার পথে লাইন ধরে লঙ্গরখানা আর শৌচালয়ের সারি। মাটিতে, সিঁড়িতে, মাঠে, পায়ে চলা সেতুর প্রতি ইঞ্চি জুড়ে কেবল ঠাঁই জোগাড়ের লড়াই চলছে। এলাকা দখল নিয়ে সন্ন্যাসীদের মধ্যেও যুদ্ধ হচ্ছে দফায় দফায়। কামাখ্যা-ভূবনেশ্বরী চত্বরে ২৬০টি জলের কল ও একটি অস্থায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স তো আছেই। গোটা দেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীর ঢল সামলাতে নীলাচল পাহাড়ে ৬০০-র বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে কর্তব্যরত ৪১০ জন পুলিশকর্মী। বসানো হয়েছে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়া থাকছে স্কাউট ও এনসিসির ১৬০ জন্য ক্যাডেট। ব্রহ্মপুত্রে দিবারাত্র টহল দেবে জল পুলিশ ও এনডিআরএফ। এমজি রোড, ডিজি রোড, টিআর ফুকন রোড সহ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

গুয়াহাটিতে ধস নেমে মৃত তিন
খোদ মহানগরে ধস নেমে, দুই শিশু-সহ তিন জনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটির বেতকুচি এলাকার লালুং গাঁওতে। পুলিশ জানায়, কাল রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ, পাহাড়ের কোলে থাকা শিশরাম চৌধুরির বাড়ির উপরে বিরাট এক চাঁই ধসে পড়ে। তাদের ঘরে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন শ্যালিকা শিখা বৈশ্য, তাঁর ছেলে অনুজ বৈশ্য (৩) ও মা ভানু বৈশ্য। তাঁদের বাড়ি কৈলাসনগর। রাতে, গৃহকর্তা শিশরামের ছেলে রাহুল চৌধুরি (৭) ও ভাই নিমারাম চৌধুরি (৩৮) অনুজকে নিয়ে একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। পাথরের চাঁই ঘরটিকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। ঘুমের মধ্যেই সকলে মারা যায়। অন্য ঘরে ছিলেন শিশ, তাঁর স্ত্রী বিমলা ও ভানু বৈশ্য। তাঁরা জখম হলেও বিপদমুক্ত। রাহুল বেতকুটি হাইস্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পড়শিরা জানান, ধস নামার শব্দ ও জখমদের চিৎকারে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। জখম শিশু দু’টিকে কোনও মতে বের করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, সেখানে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে জানান। এনডিআরএফ বাহিনী ঘণ্টাখানেক পরে, পাথর সরিয়ে নিমারামের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি রাজস্থানের শিকার জেলার বাসিন্দা ছিলেন। জেলাশাসক আশুতোষ অগ্নিহোত্রী জানান, যে বাড়ির উপরে ধস নামে, সেটি বেআইনি বাড়ি ছিল। জেলা প্রশাসন পরিকল্পনাহীন ভাবে পাহাড়ের গায়ে বসতি গড়তে মানা করেছে। কিন্তু বাসিন্দারা মানছেন না।

সাংমার আহ্বান
রাইসিনা-দৌড়ের অঙ্কের লড়াইয়ে নামার আগে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে যুক্তির লড়াইয়ে আহ্বান জানালেন পূর্ণ সাংমা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে সদ্য এনসিপি ত্যাগ করা সাংমার দাবি, দেশের অর্থনীতি ডুবছে। দুর্নীতিও যে কত, তার কোনও হিসেব নেই। আজ তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি ও অভাবনীয় দুর্নীতির জন্য কে বা কারা দায়ী, তা মানুষের জানা দরকার। তাই তা নিয়ে বিতর্ক প্রয়োজন। সেটা হওয়া দরকার রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে নামা দুই প্রার্থীর মধ্যেই।” সাংমা কি তবে প্রণববাবুকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন? আত্মবিশ্বাসী সাংমার জবাব, “গণতন্ত্র মানেই বিতর্ক। আমি সেটাই চাইছি।” রাইসিনা-দৌড়ে তিনিই জিতবেন, এমন মন্তব্যও করেন সাংমা। জানান, তৃণমূলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।

গর্তে এখনও আটকে মাহি
প্রায় চল্লিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গেল না পাঁচ বছরের মাহিকে। বুধবার গভীর রাতে গুড়গাঁও-এর খো গ্রামে বাড়ির সামনে ৭০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট মাহি। উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী নেমেছে। ওই গর্তের সমান্তরাল আর একটি গর্ত খোঁড়ার কাজ চলছে। গর্তের ভিতর নলে করে অক্সিজেন পাঠানোও হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে মাহির হাত দেখা গেলেও কোনও সাড়াশব্দ করছে না সে। নির্বিঘ্নে উদ্ধার কাজ চালনোর জন্য আশপাশের কয়েকটি বাড়ি খালি করে দিয়েছে পুলিশ। গুড়গাঁও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এয়ার ইন্ডিয়াকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পরামর্শ
শুধু কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না। বরং, মূলধন সংগ্রহ করতে বাজারে শেয়ার ছাড়ুক এয়ার ইন্ডিয়া। খরচ কমাতে চালু করুক স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প। ঘাড়ে চেপে থাকা লোকসানের বোঝা নামিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটিকে এই পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ডি এম ধর্মাধিকারীর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির দাবি, সংস্থায় এমন প্রায় ৭,০০০ কর্মী রয়েছেন, যাঁরা অবসর নেবেন আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই। ফলে তাঁদের কাছে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পটি আকর্ষণীয় হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০০৭-এ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া-র সংযুক্তি ঘটে। কিন্তু ভাঁড়ারের বেহাল দশা সংস্থাকে লাভের মুখ দেখতে দেয়নি। এর থেকে বেরিয়ে আসতেই দেশ-বিদেশের সম্পত্তির হিসাব করে বাজারে শেয়ার ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পকে আকর্ষণীয় করতে প্রস্তাব রেখেছে তাঁদের সংস্থার শেয়ার দেওয়ার।

কুয়োর বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু ৩ জনের
একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। কাল সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে নালন্দা জেলার ঢাকা থানার পোরাজিত গ্রামে। মৃতদের নাম, ব্রিজলাল প্রসাদ (৩৫), বলদেও প্রসাদ (৬০) এবং কাইনু লাল প্রসাদ (৩৫)। ব্রিজলাল ওই পরিবারের জামাই। পুলিশ সুত্রে খবর, কাল সন্ধ্যায় মাঠে শুকোতে দেওয়া গম তুলে আনতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। মাঠের মাঝেই আছে পরিত্যক্ত ৫০ ফুট গভীর একটি কুয়ো। দীর্ঘদিন এলাকার মানুষ ওই কুয়োটি ব্যবহার না করলেও তাতে জলও ছিল। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় কুয়োটির মধ্যে বিষাক্ত গ্যাস জমাট বেঁধে ছিল। কাল সন্ধ্যায় প্রথমে পা পিছলে কুয়োর মধ্যে পড়ে যান ওই পরিবারের জামাই ব্রিজলাল প্রসাদ। তাঁকে উদ্ধার করে তুলে আনতে দড়ি বেঁধে নীচে নামেন ব্রিজলালের এক শ্যালক কাইনু লাল। দীর্ঘক্ষণ পরেও কাইনু উঠে না আসায় তাঁর কাকা বলদেও নামেন কুয়োর ভিতরে। কিন্তু তিনিও আর উপরে উঠে আসেননি। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে আজ সকালে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। থানার ওসি শৈলৈন কুমার বলেন, “তিনজন উঠে না আসায় গ্রামের চতুর্থ এক ব্যক্তিও কুয়োয় নামার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরও একই দশা হবে ভেবে ভয়ে গ্রামবাসীরা তাঁকে নীচে নামতে দেননি। গ্যাসে দম বন্ধ হয়েই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।”

হাসপাতালে ঢুকে ধর্ষণ, অভিযোগ তরুণীর
জামশেদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবার দেখশোনা করতে গিয়ে কাল রাতে বহিরাগত এক যুবকের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। হাসপাতালের একটি ঘরে বলপূর্বক ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে সাকচি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। এই ব্যাপারে পূর্ব সিংভূম জেলার এসএসপি অখিলেশকুমার ঝা বলেন,“ওই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কোনও যোগসূত্র নেই। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে ঠিকই। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষিতা এবং ধর্ষণকারীর মধ্যে পূর্ব সম্পর্ক রয়েছে। ওই তরুণীর যোগাযোগেই বহিরাগত যুবক হাসপাতালে এসেছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাইনি অপবাদে তিনজনকে খুন। ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় ডাইনি অপবাদে কাল রাতে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই যুবক ছেলেকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে গুমলার খেরা ডিপটোলি গ্রামে। জেলার পুলিশ সুপার যতীন নারওয়াল জানিয়েছেন, নিহতদের নাম: বিরসা ভগত (৫৩), তারা ভগত (২২) এবং ভিচার ভগত ২৪)। পুলিশ জানিয়েছে, ডাইনি অপবাদ দিয়ে একটি পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে মারার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গতকাল রাতেই খেরা ডিপটোলি গ্রামে পুলিশ হানা দেয়। নিহতদের পরিবারের দায়ের করা অভিযুক্তেরা গা-ঢাকা দিয়েছে। আরও দুই গ্রামবাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নাগা দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত ছয়
দুই নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মৃত্যু হল চার জঙ্গি ও দুই গ্রামবাসীর। গত কাল, মণিপুরের তামেংলং জেলায় ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাটি নিয়ে কোনও পক্ষই সঠিক তথ্য দিতে নারাজ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওচোং এলাকায় এনএসসিএন (খাপলাং) ও জেলিয়াংগ্রং ইউনাইটেড ফ্রন্টের মধ্যে গত কাল দফায় দফায় গুলির লড়াই হয়। লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে দুই গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। খাপলাং বাহিনীর ক্যাপ্টেন আইমপোউ, লুংচুই ও এজেকেই নামে তিন জঙ্গি মারা যায়। তবে, খাপলাংরা দাবি করে জেলিয়াংগ্রংরা নয়, আই-এম বাহিনীর গুলিতেই তাদের সদস্যরা মারা গিয়েছে। তবে, আই-এম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মোতিহারিতে দু’জনকে খুন
দুই ব্যক্তিকে এক জেলা থেকে তুলে এনে অন্য জেলায় খুন করা হল। কাল রাতে বিহারের মোতিহারি জেলার ফুলবেড়িয়া ঘাটে ঘটে এই ঘটনা। নিহতদের নাম বৈদ্যনাথ সাহানি (৩৮) ও নরেশ সাহানি (৩৫)। পুলিশ জানায়, সীতামঢ়ী জেলার বরগেনিয়া থেকে দু’জনকে বেঁধে নিয়ে আসা হয়। তারপর ফুলবেড়িয়া ঘাটে তাদের গুলি করে মারা হয়। কী কারণে এই খুন তা জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান, নিহত হত্যাকারী সকলেই সমাজবিরোধী। এসডিপিও জানকী নন্দন চৌধুরী বলেন, “সমাজবিরোধীদের নিজেদের বিরোধেই খুন বলে মনে হচ্ছে।”

ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত
কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৫২ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ভিজিল্যান্সের হাতে ধরা পড়লেন এক আধিকারিক। গয়া জেলার বারাচাট্টি ব্লকের উমাকান্ত বর্মা নামে ওই আধিকারিক আজ রোজগার সেবক অশোক কুমারের থেকে ওই টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। আগে ১০০ দিনের কাজের বিনিময়ে কমিশন বাবদ ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন ওই আধিকারিক। ভিজিল্যান্সের এডিজি পি কে ঠাকুর এ দিন বলেন, “অশোক কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন ভিজিল্যান্সের লোকজন ফাঁদ পেতে তাঁকে গ্রেফতার করে।”

দশ জনকে যাবজ্জীবন
ছ’ বছর আগে জমির বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় আজ গয়ার জেলা আদালত অভিযুক্ত দশজনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ দিল। এই সঙ্গেই প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে বলেছে আদালত। গয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পারভেজ আলম এ দিন এই রায় দেন। গয়ার আলিপুর থানার বোশাইয়া গ্রামে ২০০৬ সালে ২৮ এপ্রিল খুড়তুতো দুই ভাইয়ের মধ্যে একটি আমবাগানের জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ বাধে। মহেন্দ্র সিংহের সঙ্গে রামাশিস সিংহের বিবাদে ওই দিন গুলিতে মৃত্যু হয় মহেন্দ্র সিংহের ভাই ব্রজকিশোর এবং ভাইপো রবিরঞ্জনের। মহেন্দ্র সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে ১০ জন গ্রেফতার হলেও একজন ফেরার। এ দিন দশ জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.