টুকরো খবর
প্রতিযোগিতার শর্ত ভাঙায় ১১টি সিমেন্ট সংস্থাকে জরিমানা
কৃত্রিম ভাবে বাজারে সিমেন্টের দর বাড়ানোর জন্য ১১টি সংস্থাকে জরিমানা করল প্রতিযোগিতা কমিশন। যার মোট পরিমাণ ৬,৩০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে আছে: আলট্রাটেক সিমেন্ট ও তার শাখা গ্রাসিম, এসিসি, অম্বুজা, ইন্ডিয়া সিমেন্ট, জেপি, মাদ্রাজ, সেঞ্চুরি, জেকে, বিনানি সিমেন্ট, লাফার্জ ইন্ডিয়া। এ ছাড়া, জরিমানা করা হয়েছে সিমেন্ট নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (সি এম এ)-কেও । জরিমানার পরিমাণ সংস্থাগুলির ২০০৯-’১০ এবং ২০১০-’১১ অর্থবর্ষের মুনাফার প্রায় অর্ধেক। পরিকাঠামো নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, কৃত্রিম ভাবে দর বাড়াতে নিজেদের কারখানার সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করেনি সংস্থাগুলি। যার ফলে বাজারে জোগান কমে যাওয়ায় এক দিকে ক্রেতাকে বেশি দাম দিয়ে সিমেন্ট কিনতে হয়েছে। অন্য দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতিও। সংস্থাগুলিকে ৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে দর নির্ধারণ বা সরবররাহে প্রভাব ফেলা থেকে দূরে থাকতেও সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে তারা। আর, সিএমএ-কে বলা হয়েছে, সংস্থাগুলির কাছ থেকে সিমেন্টের খুচরো ও পাইকারি দর সংগ্রহ না করতে। সিমেন্ট নির্মাতাদের উৎপাদন ও সরবরাহের পরিসংখ্যানও সদস্য সংস্থাগুলির সঙ্গে ভাগ না করতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের ভিসা সরল করতে উদ্যোগ
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ভিসা ব্যবস্থা সরল করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্স (ফিও)-এর সভায় এ কথা জানান কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম। তিনি বলেন, “ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক কাজে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ।” একই ভিসায় একাধিকবার সে দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা চালুর কথাও ভাবছেন তাঁরা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে আমদানি-রফতানির নিয়ম শিথিল করেছে দু’দেশ। কিন্তু সীমান্ত বাণিজ্যে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে অনলাইন ব্যবস্থা-সহ পরিকাঠামোর অভাব থাকায় ব্যবসায়ীরা হয়রান হচ্ছেন বলে অভিযোগ বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) ওমর ফারুকের। বাণিজ্য বাড়াতে শীঘ্রই ভারতে দু’দেশের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন করা হবে বলে জানান ফিও-র পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান আর কে অগ্রবাল।

রেটিং সংস্থাগুলিকে একহাত নিল কেন্দ্র
ব্যাঙ্ক-সহ ভারতের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নেতিবাচক পূর্বাভাসের জন্য ফিচ, এসঅ্যান্ডপি-র মতো আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলিকে তুলোধোনা করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সভায় এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা দফতরের সচিব ডি কে মিত্তল। তাঁর দাবি, “দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় মূলধনের ঘাটতি নেই। কেন্দ্র ভবিষ্যতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও মূলধন জোগানোর কথা ঘোষণা করায় চিন্তারও কারণ নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন হঠাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে পূর্বাভাস নেতিবাচক করা হল, তা নিয়ে আমরা অন্ধকারে।” তাঁর অভিযোগ, “বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটালের মধ্যে এ রকম পূর্বাভাস সঙ্কটকেই আরও তীব্র করবে। কারণ, এতে হাল ভাল থাকা অর্থনীতিগুলি সম্পর্কেও আস্থার ভিত নড়ে যাবে।” মিত্তলের দাবি, গত ৬ মাসে এমন কিছু ঘটেনি, যাতে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে পারে।

গত অর্থবর্ষে ১৫৪টি অনিয়মের তদন্ত করেছে সেবি
গত অর্থবর্ষে (২০১১-’১২) দেশে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত ১৫৪টি আর্থিক অনিয়মের ঘটনার তদন্ত করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)। ২০১০-’১১ সালের ১০৪টি ঘটনার তুলনায় তা অনেকটাই বেশি। আর তার আগের বছর যে সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৩টি। গত অর্থবর্ষের ১৫৪টি মামলার মধ্যে অবশ্য মাত্র ৭৪টি ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে সেবি। যার মধ্যে ৭০টির সমাধানই হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত। ২০১০-’১১ সালে ৮২ এবং তার আগের বছর ৭৪টি ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ করেছিল বাজার নিয়ন্ত্রক। সেবি সূত্রে খবর, জালিয়াতির হাত ধরে গত তিন বছরে তাদের করা তদন্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই।

পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ
আরও বেশি পর্যটক টানতে কালনা-নবদ্বীপ-মায়াপুরকে নদীর মাধ্যমে সংযুক্ত করছে রাজ্য সরকার। এই তিন জায়গার মধ্যে স্টিমার চলাচল চালু হবে, থাকবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-র ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পর্যটন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে এই কথা জানান পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ। তিনি জানান, হাইওয়ে থেকে বীরভূমের তারাপীঠে ঢোকার মুখে একটা তোরণ তৈরি হবে। গোটা রাস্তায় থাকবে আলোর ব্যবস্থা। মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি সেখানকার নদীরও সংস্কার হবে বলে জানান তিনি। চুরুলিয়ায় কাজী নজরুল ইসলামের বাসভুমি ও তার সংলগ্ন কিছু জায়গা নিয়ে একটি পর্যটন-চক্র তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান রচপাল সিংহ।

বাজারে নতুন ‘ক্রিম’
এ বার বাজারে এল অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ‘অ্যাটিটিউড হোয়াইটেনিং ক্রিম’। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে একটি হোটেলে সংস্থার পূর্বাঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট দীপ্তরাগ ভট্টাচার্য ওই ক্রিম বিপণনের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। সংস্থার আশা, মূলত কিশোরী ও অল্পবয়স্কা মহিলাদের জন্য, যাঁরা বিশেষভাবে ত্বককে ফর্সা, নিখুঁত ও ঝলমলে রাখতে চান তাঁদের কাছে সমাদর পাবে। সংস্থার দাবি, চলতি বছরে তারা অ্যামওয়ে হেলথি এজিং ক্যাটিগরিতে ৬ টি নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পণ্য ইতিমধ্যেই বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন।

নয়া বিধি সেবি-র
স্টক এক্সচেঞ্জ এবং মূলধনী বাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকানা এবং পরিচালনা সংক্রান্ত নয়া বিধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল সেবি। সেই অনুযায়ী প্রতিটি স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সব সময়ে ন্যূনতম ১০০ কোটি টাকার নিট সম্পদ থাকা বাধ্যতামূলক। সেগুলির অন্তত ৫১% শেয়ারও সাধারণের হাতে থাকা চাই। তবে এক বা একাধিক ব্যক্তি এ ধরনের এক্সচেঞ্জে ৫ শতাংশের বেশি মালিকানা রাখতে পারবেন না। এ দিকে ‘রাজীব গাঁধী ইক্যুইটি সেভিংস স্কিম’ অনুযায়ী শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধা মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছেন সেবি চেয়ারম্যান ইউ কে সিংহ। এই দিন মুম্বইয়ে সিআইআই আয়োজিত সভায় সিংহ বলেন, “আমরা কেন্দ্রকে বলেছি, সাধারণ লগ্নিকারীদের পক্ষে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ারে বিনিয়োগই সব থেকে ভাল রাস্তা।” উল্লেখ্য, বাজেটে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করতে বিনিয়োগের উপর কর ছাড়ের ব্যবস্থা করেছেন। এর জন্য তিনি রাজীব গাঁধী ইকুইটি সেভিংস স্কিম শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু করেন। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ৫০ শতাংশ কর ছাড় পেতে পারেন লগ্নিকারী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.