উত্তরের চিঠি
নাব্যতা হারাচ্ছে উত্তরের তোর্সা
কোচবিহার শহর ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে উত্তরের ঐতিহ্যবাহী নদী তোর্সা। এই অঞ্চলেও যথেচ্ছ হারে বৃক্ষচ্ছেদন হচ্ছে। যথারীতি মাটি ক্ষয়ে গিয়ে তৈরি হচ্ছে ভূমিধস। আর সেই পলি গিয়ে জমছে তোর্সায়। যার ফলে নাব্যতা হারাচ্ছে তোর্সা।
কোচবিহার জেলার নানা জায়গার ওপর দিয়ে তোর্সা নদী প্রবাহিত। কোনও কোনও স্থানে নদীর ভাঙন এমন বিপজ্জনক আকার নিয়েছে যে আতঙ্কিত হচ্ছেন সেই এলাকার লোকজন। এখনই নজর না দিলে আগামী বর্ষায় কোচবিহারবাসীরা যে বন্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে দূষণ। কোচবিহার শহরের আবর্জনার ভার বহন করতে হয় এই তোর্সা নদীকেই। যাবতীয় আবর্জনা এই নদীতেই জমে। যার ফলে শুধু নাব্যতা হ্রাস নয়, বোরালী, মৌরলা, ট্যাংরা, পাথরচাটা-র মতো নদীর মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে আগামী প্রজন্ম হয়ত শুধু ইতিহাস বইতে পড়বে তোর্সা, তার মীন সন্তানদের ইতিবৃত্ত।

চালু হোক বার্নিশ ঘাট

তিস্তা নদীর ওপর সড়ক সেতুটির বেহাল অবস্থা। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ডুয়ার্স ও জলপাইগুড়ির মানুষের দৈনন্দিন দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে। তিস্তা সেতুটির আর কোনও বিকল্প নেই। সেবক পাহাড়ের সেতুটি থাকলেও সেটি সরু ও পাহাড়ের চড়াই-উৎরাইয়ের জন্য তা দিয়ে যাতায়াতের অসুবিধে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে বার্নিশ ফেরি ঘাটটি চালু করা দরকার। তিস্তা সড়ক সেতুটি স্থাপিত হওয়ার পূর্বে ডুয়ার্স তথা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগকারী রাস্তা ছিল এই বার্নিশ ঘাট। ১৯৬৬-তে তিস্তা সেতু চালু হয় এবং বার্নিশ ফেরি ঘাট বন্ধ বয়ে যায়। কিন্তু বহু আগে ওই বার্নিশ ফেরি ঘাটের মাধ্যমেই যাতায়াত করত শহর জলপাইগুড়ির লোকজন। বর্তমানে তিস্তা সেতুটির রেলিং ভেঙে গিয়েছে। খুব সাবধানে যাতায়াত করতে হয়। যার ফলে যানজট তৈরি হয়। জেলা শহরের সঙ্গে অন্যান্য স্থানের যোগাযোগে খুবই অসুবিধেয় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। অফিস ও স্কুলের সময় এই সেতু দিয়ে যাওয়া আসা করাই মুশকিল। প্রচুর সময় নষ্ট হয়। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। নিত্য দিনের এই ভয়ঙ্কর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সত্ত্বর বার্নিশ ঘাটটি চালু করা দরকার। পূর্বের মতো বার্নিশ ঘাট থেকে নৌকা পথে জলপাইগুড়িতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। হয়ত সময় খানিক বেশি লাগবে। এটিই বর্তমানের সংকট থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ। বার্নিশ ঘাট চালু হলে উপেক্ষিত শহর আবার তার প্রাচীন রূপ ফিরে পাবে।
রবীন্দ্রভবনের দুরবস্থা
বালুরঘাট শহরের সদাব্যস্ত প্রেক্ষাগৃহ ‘রবীন্দ্রভবন’। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশ সবচেয়ে বেশি অনুষ্ঠিত হয় শহরের এই মঞ্চে। বিভিন্ন সময়ে বহু বিখ্যাত শিল্পী আমন্ত্রিত হয়ে এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন এবং বর্তমানেও করে থাকেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মঞ্চ এবং প্রেক্ষাগৃহটির অবর্ণনীয় দুর্দশা চলছে। মঞ্চের কাঠের পাটাতন এবং বসার আসন ছাড়া সমস্ত দিক দিয়ে প্রেক্ষাগৃহের ভেতর বাইরে সর্বত্র দৈন্য ও অব্যবস্থার চিহ্ন ধরা পড়ে। পর্দাগুলো ছেঁড়া ও বিবর্ণ। প্রেক্ষাগৃহের ছাদ ও দেওয়াল থেকে ঝুল ঝুলছে। ছাদের কয়েকটি টালি খুলে গিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে। ভেতরে ও বাইরে দেওয়ালের রঙ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। উপযুক্ত সাজঘর নেই। মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় নেই। পুরুষ শৌচালয়ে আলোর ব্যবস্থা নেই। রাতে টর্চ ছাড়া যাওয়া বিপজ্জনক। যাঁরা এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন এবং যাঁরা অনুষ্ঠান দেখতে আসেন সকলেই ভুক্তভোগী। শহরের বিভিন্ন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিগত ভাবে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা আলাদা ভাবে বহু বার এই সব অব্যবস্থার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও প্রতিকার হয়নি।
চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.